ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনে করোনা পরীক্ষা করা জন্য আ্যন্টিজেন কিট সংকট দেখা দিয়েছে। আ্যন্টিজেন কিট এ পরীক্ষা করলে তাৎক্ষনিক ভাবে জানা যেতো রুগী করোনা পজিটিভ কিনা। কিট সংকট থাকায় আজ ৩১জুলাই রবিবার দুপুর থেকে হঠাৎকরে বন্ধু হয়ে যায় করোনা পরীক্ষা। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে ।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিটের সংকটে পরীক্ষা বন্ধ। এই ব্যাপারে মুঠোফোনে কথা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ নূরুল আমীন ও ডাঃ শুভাশীষ সাহা শুভ ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্যমেডিকেল অফিসার (অন্তঃবিভাগ) অতিরিক্ত দায়িত্ব মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) জানান, গত দেড় মাস আগে প্রায় ২৭শ’ ৫০টি আ্যন্টিজেন কিট এসেছিলো। ভেড়ামারা উপজেলায় করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় তা ব্যবহার বেশী হওয়ায় কিট আজ থেকে সংকট দেখা দিয়েছে। তাঁরা কিটের চাহিদা ঢাকায় পাঠিয়েছেন। শিগগিরই কিট পাওয়ার আশা তাঁর। দুই একদিনের মধ্যে আবার কিট চলে আসবে। সমস্যা নেই পিসি আর এ পরীক্ষা করা হবে বলে তারা জানান।
ভেড়ামারা করোনা সংক্রমণ উপজেলার পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়েছে। দিন দিন করোনা সংক্রমণ ব্যাপকহারে ভয়াবহ রুপনিচ্ছে এখানে।
প্রথম দিকে এই পরীক্ষায় মানুষের আগ্রহ কম ছিল। পরে এক সপ্তাহের মধ্যে অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায় এবং কিট সংকট দেখা দেওয়ায় ৩১জুলাই রবিবার থেকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আজ প্রায় ১৫/২০ পরীক্ষা করাতে এসে মানুষ ফিরে যেতে দেখা যায়।
তার মধ্যে আমিরুল ইসলাম ও আর্জিনা খাতুন জানান, আ্যন্টিজেন কিট এ পরীক্ষা করলে তাৎক্ষনিক ভাবে জানা যেতো করোনা পজিটিভ কিনা। পরীক্ষা করলে অন্তত বাড়িতে তিনি সতর্ক থাকতে পারবেন। বাড়ির অন্য সদস্যরা নিরাপদে থাকতে পারবেন। এ কারণে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালু রাখার জন্য দ্রুত অ্যান্টিজেন কিট পাওয়ার জন্য জোরদাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর কাছে।
নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষার সাথে জড়িতদের অনেকে জানিয়েছেন, এখন নমুনা সংগ্রহ কমিয়ে দেয়া হযেছে এবং একেবারে প্রয়োজন ছাড়া পরীক্ষা করা হচ্ছে না।
প্রিন্ট