ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বেনাপোলে যুবদলের যৌথ কর্মীসভা Logo পাংশা সরকারী কলেজে জুলাই শহিদ দিবস পালিত Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে মহম্মদপুর Logo কুষ্টিয়া চাঁদা তোলা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ Logo কিছু কিছু দল বাংলাদেশকে মৃত্যুপুরী বানাচ্ছেঃ -মোমিন মেহেদী Logo মধুখালীতে কাঁচা মরিচের দাম হঠাৎ কম হওয়ায় কৃষকেরা হতাশ Logo কালুখালী থেকে কুষ্টিয়া আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে হামলার শিকার Logo ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের উদ্যোগে ‌‌ আলোচনা সভা ‌ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়া সীমান্তে পৃথক অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও শর্টগানসহ আটক ২ Logo জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির ‌ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত 
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গোদাগাড়ীর কৃতীসন্তান বিএমডিএ চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান আর নেই

সেলিম সানোয়ার পলাশঃ

 

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামান আর নেই। শুক্রবার (২৩ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজশাহী উপশহরের বাসায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

.

আসাদুজ্জামানের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করা বিএমডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম জানান, আসাদুজ্জামান কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। কয়েক দিন ধরে তাঁর জ্বরও ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। তবে এর আগেই তিনি মারা যান।

.

ড. এম আসাদুজ্জামান মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর দুই সন্তানই বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। ছেলে জাতিসংঘে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত। সন্তানদের দেশে ফেরার পরই তাঁর দাফন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান ঘনিষ্ঠ সহকর্মী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম।

.

ড. এম আসাদুজ্জামানের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভার কেল্লাবারুইপাড়া এলাকায়।

.

আট ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ। তাঁর বড় ভাই ড. এম এনামুল হক বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি)। আরেক ভাই প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ব্যারিস্টার হক ১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন এবং বিএনপি সরকারের আমলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

.

তার ভাই মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দীন তিনি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সামরিক সচিব বর্তমানে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।

.

গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ড. এম আসাদুজ্জামানকে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)-এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৯২ সালে বিএমডিএ প্রতিষ্ঠার পেছনে তিনি ছিলেন অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা এবং প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই সংস্থাটির কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি পূর্বে বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বেনাপোলে যুবদলের যৌথ কর্মীসভা

error: Content is protected !!

গোদাগাড়ীর কৃতীসন্তান বিএমডিএ চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান আর নেই

আপডেট টাইম : ০৩:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
সেলিম সানোয়ার পলাশ, গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

সেলিম সানোয়ার পলাশঃ

 

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামান আর নেই। শুক্রবার (২৩ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজশাহী উপশহরের বাসায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

.

আসাদুজ্জামানের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করা বিএমডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম জানান, আসাদুজ্জামান কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। কয়েক দিন ধরে তাঁর জ্বরও ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। তবে এর আগেই তিনি মারা যান।

.

ড. এম আসাদুজ্জামান মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর দুই সন্তানই বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। ছেলে জাতিসংঘে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত। সন্তানদের দেশে ফেরার পরই তাঁর দাফন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান ঘনিষ্ঠ সহকর্মী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম।

.

ড. এম আসাদুজ্জামানের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভার কেল্লাবারুইপাড়া এলাকায়।

.

আট ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ। তাঁর বড় ভাই ড. এম এনামুল হক বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি)। আরেক ভাই প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ব্যারিস্টার হক ১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন এবং বিএনপি সরকারের আমলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

.

তার ভাই মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দীন তিনি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সামরিক সচিব বর্তমানে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।

.

গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ড. এম আসাদুজ্জামানকে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)-এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৯২ সালে বিএমডিএ প্রতিষ্ঠার পেছনে তিনি ছিলেন অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা এবং প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই সংস্থাটির কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি পূর্বে বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।


প্রিন্ট