চাটমোহরে নির্যাতনের শিকার মুন্নী খাতুন (২০) নামের এক নির্যাতিত গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। মুন্নীর ৬ মাসের একটি সন্তানও রয়েছে।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের কুমারগাড়া গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। সে ওই গ্রামের জনি হোসেনের স্ত্রী।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জনি পালিয়ে গেলেও পুলিশ চাপাতি,ছুরি,রামদা,হাসিয়াসহ দেশীয় অস্ত্র জব্দ করে। এ ব্যাপারে মুন্নীর বাবা উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা গ্রামের আবু বক্কার চাটমোহর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। মুন্নীকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, কুমারগাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে জনির সাথে ২ আগে বিয়ে হয় পার্শ্বডাঙ্গা গ্রামের আবু বক্কারের মেয়ে মুন্নীর। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের জন্য মুন্নীকে নির্যাতন শুরু করে জনি। সম্প্রতি নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়।
গত বৃহস্পতিবার মুন্নীকে বেধরক মারপিট করা হয়। বিষয়টি জানার পর মুন্নীর বাবাসহ তার স্বজনরা শুক্রবার কুমারগাড়া গ্রামে আসেন। কিন্তু জনি ও তার পরিবারের সদস্যরা মুন্নীর পিতাকে নানা রকম হুমকি দিতে থাকে এবং বাড়িতে ঢুকতে দেয়না। এক পর্যায়ে মুন্নীর বাবা বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার ও চাটমোহর থানায় জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ মুন্নীকে উদ্ধার করে এবং জনির বাড়ি তল্লাশী করে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান,ঘটনাটি জানার পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। মেয়েটি নির্যাতন সইতে না পেরে পালানোর চেষ্টাও করে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জনির বাড়ি থেকে কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রিন্ট