ঢাকা , বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সদরপুরে “মেসার্স মা বাবার দোয়া” বেকারিতে মানা হচ্ছেনা নিয়মনীতি

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আড়াইরশি গ্রামের মেসার্স মা বাবার দোয়া বেকারিতে মানা হচ্ছেনা কোন প্রকার নিয়মনীতি। বেকারির মালিক ফারুকের নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রমিকরা ইচ্ছা খুসি মতো অত্তান্ত নোংরা পরিবেশে
খালি হাতেই পন্য তৈরি সহ প্যাকেটজাত করছে বিভিন্ন ধরনের বিস্কিট, রুটি, কেক, ক্রিমরোল, বাটারবন, টোস্ট, সহ বিভিন্ন প্রকার খাদ্য সামগ্রি। স্বরজমিনে উক্ত বেকারিতে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। শ্রমিকরা তাদের ইচ্ছা খুসি মতো কোন প্রকার নিয়মনীতি না মেনেই তৈরি করছে বিভিন্ন প্রকার খাদ্য সামগ্রী।

.

বি,এস,টি,আই’র নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক বেকারিতে খাদ্য পন্য তৈরির সময়ে শ্রমিকদের হাতে গ্লোবস্‌ থাকা বাধ্যতামূলক হলেও শ্রমিকরা নোংরা খালি হাতেই উৎপাদিত পন্য তৈরী সহ প্যাকেটজাত করছে।

.

উৎপাদিত পন্যর গায়ে তৈরির তারিখ এবং মেয়াদ উত্তির্নের তারিখ থাকা বাধ্যতামূলক হওয়া সত্বেও দেওয়া হচ্ছেনা উৎপাদিত এবং মেয়াদ উত্তির্নর তারিখ। এছাড়াও নিয়োগ কৃত শ্রমিকদের এন,আই,ডি কার্ড রাখা বাধ্যতামূলক হলেও বেকারির মালিকের কাছে নেই কোন এন,আই,ডি কার্ডের কপি।

.

শ্রমিকদের এন,আই,ডি কার্ড না থাকার কারনে শ্রমিকরা কোন অপরাধ মূলক কাজে জরিত হলেও নেওয়া যাচ্ছেনা আইনগত ব্যবস্থা। সম্প্রতি এই বেকারির দুই শ্রমিক এই এলাকার অপ্রাপ্ত দুই মেয়ে ভাগিয়ে নিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব হয়নি।

.

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই মেসার্স মা বাবার বেকারিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দারি না থাকার কারনে রাতের আধারে বিভিন্ন প্রকার ভ্যাজাল ও অসাস্থকর সামগ্রী দিয়ে খাদ্য পন্য তৈরি করা হয়ে থাকে। যা খেয়ে শিশুরা বিভিন্ন প্রকার রোগে আক্রান্ত হয়। এলাকাবাসীর আরো অভিযোগ, এই বেকারিতে নেই বি,এস,টি,আর কোন অনুমোদন।

.

তার পরেও দীর্ঘদিন যাবত চলে আসছে এই মা বাবার দোয়া বেকারির উৎপাদন। কেন উৎপাদিত পন্যের প্যাকেটে উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদ উত্তির্নের তারিখ লেখা হয়না জানতে চাইলে বেকারির মালিক ফারুক জানান, এগুলো লাগেনা। কারন আজ তৈরি করলে কালকের মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়।

.

সদরপুর উপজেলা সেনেটারি ইন্সপেক্টর তোফাজ্জেল হোসেনে কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই খাদ্য পন্য তৈরী এবং প্যাকেটজাত করার সময়ে হাতে গ্লোবস্‌ থাকা বাধ্যতামূলক।

.

তবে তিনি গত বছরের সেপ্টেম্বরে পি,আর,এলে চলে গেছেন বলে এই বিষয়ে তার কিছু করার নেই বলে জানান তিনি। বিষয়েটি বি,এস,টি আইয়ের তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরি বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

সদরপুরে “মেসার্স মা বাবার দোয়া” বেকারিতে মানা হচ্ছেনা নিয়মনীতি

error: Content is protected !!

সদরপুরে “মেসার্স মা বাবার দোয়া” বেকারিতে মানা হচ্ছেনা নিয়মনীতি

আপডেট টাইম : ২ মিনিট আগে
বিশেষ প্রতিনিধি :

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আড়াইরশি গ্রামের মেসার্স মা বাবার দোয়া বেকারিতে মানা হচ্ছেনা কোন প্রকার নিয়মনীতি। বেকারির মালিক ফারুকের নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রমিকরা ইচ্ছা খুসি মতো অত্তান্ত নোংরা পরিবেশে
খালি হাতেই পন্য তৈরি সহ প্যাকেটজাত করছে বিভিন্ন ধরনের বিস্কিট, রুটি, কেক, ক্রিমরোল, বাটারবন, টোস্ট, সহ বিভিন্ন প্রকার খাদ্য সামগ্রি। স্বরজমিনে উক্ত বেকারিতে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। শ্রমিকরা তাদের ইচ্ছা খুসি মতো কোন প্রকার নিয়মনীতি না মেনেই তৈরি করছে বিভিন্ন প্রকার খাদ্য সামগ্রী।

.

বি,এস,টি,আই’র নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক বেকারিতে খাদ্য পন্য তৈরির সময়ে শ্রমিকদের হাতে গ্লোবস্‌ থাকা বাধ্যতামূলক হলেও শ্রমিকরা নোংরা খালি হাতেই উৎপাদিত পন্য তৈরী সহ প্যাকেটজাত করছে।

.

উৎপাদিত পন্যর গায়ে তৈরির তারিখ এবং মেয়াদ উত্তির্নের তারিখ থাকা বাধ্যতামূলক হওয়া সত্বেও দেওয়া হচ্ছেনা উৎপাদিত এবং মেয়াদ উত্তির্নর তারিখ। এছাড়াও নিয়োগ কৃত শ্রমিকদের এন,আই,ডি কার্ড রাখা বাধ্যতামূলক হলেও বেকারির মালিকের কাছে নেই কোন এন,আই,ডি কার্ডের কপি।

.

শ্রমিকদের এন,আই,ডি কার্ড না থাকার কারনে শ্রমিকরা কোন অপরাধ মূলক কাজে জরিত হলেও নেওয়া যাচ্ছেনা আইনগত ব্যবস্থা। সম্প্রতি এই বেকারির দুই শ্রমিক এই এলাকার অপ্রাপ্ত দুই মেয়ে ভাগিয়ে নিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব হয়নি।

.

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই মেসার্স মা বাবার বেকারিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দারি না থাকার কারনে রাতের আধারে বিভিন্ন প্রকার ভ্যাজাল ও অসাস্থকর সামগ্রী দিয়ে খাদ্য পন্য তৈরি করা হয়ে থাকে। যা খেয়ে শিশুরা বিভিন্ন প্রকার রোগে আক্রান্ত হয়। এলাকাবাসীর আরো অভিযোগ, এই বেকারিতে নেই বি,এস,টি,আর কোন অনুমোদন।

.

তার পরেও দীর্ঘদিন যাবত চলে আসছে এই মা বাবার দোয়া বেকারির উৎপাদন। কেন উৎপাদিত পন্যের প্যাকেটে উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদ উত্তির্নের তারিখ লেখা হয়না জানতে চাইলে বেকারির মালিক ফারুক জানান, এগুলো লাগেনা। কারন আজ তৈরি করলে কালকের মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়।

.

সদরপুর উপজেলা সেনেটারি ইন্সপেক্টর তোফাজ্জেল হোসেনে কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই খাদ্য পন্য তৈরী এবং প্যাকেটজাত করার সময়ে হাতে গ্লোবস্‌ থাকা বাধ্যতামূলক।

.

তবে তিনি গত বছরের সেপ্টেম্বরে পি,আর,এলে চলে গেছেন বলে এই বিষয়ে তার কিছু করার নেই বলে জানান তিনি। বিষয়েটি বি,এস,টি আইয়ের তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরি বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।


প্রিন্ট