ঢাকা , বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

বগুড়ায় পূর্বশত্রুতার জেরে সিএনজি থামিয়ে হামলা

রামদা দিয়ে কুপিয়ে রুবেল পাইকারকে গুরুতর আহত, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

এস. এম সালমান হৃদয়ঃ

বগুড়ায় জমি-জমা সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধকে কেন্দ্র করে চারমাথা এলাকায় সিএনজি থামিয়ে এক যুবকের ওপর ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। রামদা ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত রুবেল পাইকার (৩০) বর্তমানে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর মাঝে অবস্থান করছেন। শনিবার (২৩ নভেম্বর ২০২৫) বিকেল ৪টার দিকে এই নৃশংস হামলা ঘটে। ঘটনাটি নিয়ে রুবেলের স্ত্রী মোছাঃ হাওয়া বেগম সদর থানায় ১০ জন নামীয় ও ২/৩ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেছেন।

 

এজাহারে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে—মোঃ রানা পাইকার (৩৫), মোঃ সাজু পাইকার (৪৫), মোঃ সেতু পাইকার (৩৪) তিনজনই মোঃ রফিকুল পাইকারের সন্তান। এছাড়া মোঃ রাজু পাইকার (৪০) ও মোঃ নূরন্নবী পাইকার (৩৫); পিতা মোঃ আজাহার পাইকার। আরও রয়েছে মোঃ সিয়াম পাইকার (৪০), পিতা মৃত বাদশা পাইকার; মোঃ সাদিক পাইকার (৩০), পিতা মোঃ নুর ইসলাম; মোঃ মামুন পাইকার (১৯) এবং মোঃ সুলতান সরকার। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকেও ঘটনায় জড়িত হিসেবে এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

 

অভিযোগে বলা হয়, দুপুরে আদালতে মামলার বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ শেষে রুবেল পাইকার, তার ভাসুর ও চাচী শ্বাশুড়ী চারমাথা বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে সিএনজিতে ওঠেন। ঠিক সেই সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আসামীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সিএনজির গতিরোধ করে। তারা রুবেলকে জোরপূর্বক নামিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো রামদা দিয়ে মাথা, কপাল, হাত, পা ও পিঠে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। প্রতিহত করতে গিয়ে রুবেলের ডান হাতের অনামিকা আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।

 

হামলার সময় রুবেলের চাচী শ্বাশুড়ী মোছাঃ বেলি বেগম এগিয়ে গেলে ৫ ও ৬ নম্বর আসামীসহ আরও কয়েকজন তাকে নির্মমভাবে মারধর, কিল-ঘুষি ও কাপড় টানাটানি করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। এসময় ৯ নম্বর আসামী রুবেলের পকেট থেকে প্রায় ২৫ হাজার টাকা মূল্যমানের স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেয়।

 

স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা স্থান ত্যাগ করে। পরে গুরুতর আহত রুবেলকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

বগুড়ায় পূর্বশত্রুতার জেরে সিএনজি থামিয়ে হামলা

আপডেট টাইম : ১৩ ঘন্টা আগে
এস. এম সালমান হৃদয়, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :

এস. এম সালমান হৃদয়ঃ

বগুড়ায় জমি-জমা সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধকে কেন্দ্র করে চারমাথা এলাকায় সিএনজি থামিয়ে এক যুবকের ওপর ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। রামদা ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত রুবেল পাইকার (৩০) বর্তমানে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর মাঝে অবস্থান করছেন। শনিবার (২৩ নভেম্বর ২০২৫) বিকেল ৪টার দিকে এই নৃশংস হামলা ঘটে। ঘটনাটি নিয়ে রুবেলের স্ত্রী মোছাঃ হাওয়া বেগম সদর থানায় ১০ জন নামীয় ও ২/৩ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেছেন।

 

এজাহারে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে—মোঃ রানা পাইকার (৩৫), মোঃ সাজু পাইকার (৪৫), মোঃ সেতু পাইকার (৩৪) তিনজনই মোঃ রফিকুল পাইকারের সন্তান। এছাড়া মোঃ রাজু পাইকার (৪০) ও মোঃ নূরন্নবী পাইকার (৩৫); পিতা মোঃ আজাহার পাইকার। আরও রয়েছে মোঃ সিয়াম পাইকার (৪০), পিতা মৃত বাদশা পাইকার; মোঃ সাদিক পাইকার (৩০), পিতা মোঃ নুর ইসলাম; মোঃ মামুন পাইকার (১৯) এবং মোঃ সুলতান সরকার। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকেও ঘটনায় জড়িত হিসেবে এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

 

অভিযোগে বলা হয়, দুপুরে আদালতে মামলার বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ শেষে রুবেল পাইকার, তার ভাসুর ও চাচী শ্বাশুড়ী চারমাথা বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে সিএনজিতে ওঠেন। ঠিক সেই সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আসামীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সিএনজির গতিরোধ করে। তারা রুবেলকে জোরপূর্বক নামিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো রামদা দিয়ে মাথা, কপাল, হাত, পা ও পিঠে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। প্রতিহত করতে গিয়ে রুবেলের ডান হাতের অনামিকা আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।

 

হামলার সময় রুবেলের চাচী শ্বাশুড়ী মোছাঃ বেলি বেগম এগিয়ে গেলে ৫ ও ৬ নম্বর আসামীসহ আরও কয়েকজন তাকে নির্মমভাবে মারধর, কিল-ঘুষি ও কাপড় টানাটানি করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। এসময় ৯ নম্বর আসামী রুবেলের পকেট থেকে প্রায় ২৫ হাজার টাকা মূল্যমানের স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেয়।

 

স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা স্থান ত্যাগ করে। পরে গুরুতর আহত রুবেলকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।


প্রিন্ট