ঢাকা , বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

চাঞ্চল্যকর সাত বছর বয়সী শিশু জায়ান রহমান হত্যা মামলা

আলফাডাঙ্গায় চাঞ্চল্যকর শিশু হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে প্রতিবেশী গ্রেফতার

মিজান উর রহমানঃ

 

আলফাডাঙ্গায় চাঞ্চল্যকর শিশু হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে এক প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সাত বছর বয়সী শিশু জায়ান রহমান হত্যার ঘটনায় এলাকায় শোক ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে ইউনুচ মোল্যা (৪৫) নামে এক প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঝুলন্ত মরদেহে ব্যবহৃত রশির সূত্র ধরে ইউনুচকে গ্রেফতার করা হয়।

 

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর ২০২৫) বিকেল ৩টায় ইউনুচ মোল্যাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার তাকে নিজ বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। গ্রেপ্তারকৃত ইউনুচ মোল্যা আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত মনির উদ্দিন মোল্যার ছেলে।

 

থানা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে পাকুড়িয়া গ্রামের গ্রীস প্রবাসী পলাশ মোল্যা ও সিনথিয়া দম্পতির ছেলে জায়ান রহমানের ঝুলন্ত মরদেহ বাড়ির পাশের বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহতের মা সিনথিয়া বেগম অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হিসেবে বের হয়ে আসে, শিশুটিকে হত্যার পর যে রশি দিয়ে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয় ঐ রশিটি । পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, পার্শ্ববর্তী টাবনী বাজারের একটি মুদি দোকান থেকে ঘটনার ১০/১২ দিন আগে ইউনুচ মোল্যা একটি রশি কিনেছিলেন, যা উদ্ধার হওয়া রশির সঙ্গে মিল রয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে ইউনুচকে সন্দেহের তালিকায় এনে হেফাজতে নেয় পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইউনুচ রশি কেনার বিষয়টি অস্বীকার করলে পুলিশের সন্দেহ দানা বাঁধে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুজন বিশ্বাস জানান, ‘মামলার অধিকতর তদন্তের স্বার্থে এবং হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।’

 

আলফাডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে কিছুটা সম্পৃক্ততা ও রশি কেনার বিষয়ে মিথ্যা বলার কারণে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

চাঞ্চল্যকর সাত বছর বয়সী শিশু জায়ান রহমান হত্যা মামলা

আলফাডাঙ্গায় চাঞ্চল্যকর শিশু হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে প্রতিবেশী গ্রেফতার

আপডেট টাইম : ৫ ঘন্টা আগে
মিজান উর রহমান, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :

মিজান উর রহমানঃ

 

আলফাডাঙ্গায় চাঞ্চল্যকর শিশু হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে এক প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সাত বছর বয়সী শিশু জায়ান রহমান হত্যার ঘটনায় এলাকায় শোক ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে ইউনুচ মোল্যা (৪৫) নামে এক প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঝুলন্ত মরদেহে ব্যবহৃত রশির সূত্র ধরে ইউনুচকে গ্রেফতার করা হয়।

 

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর ২০২৫) বিকেল ৩টায় ইউনুচ মোল্যাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার তাকে নিজ বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। গ্রেপ্তারকৃত ইউনুচ মোল্যা আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত মনির উদ্দিন মোল্যার ছেলে।

 

থানা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে পাকুড়িয়া গ্রামের গ্রীস প্রবাসী পলাশ মোল্যা ও সিনথিয়া দম্পতির ছেলে জায়ান রহমানের ঝুলন্ত মরদেহ বাড়ির পাশের বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহতের মা সিনথিয়া বেগম অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হিসেবে বের হয়ে আসে, শিশুটিকে হত্যার পর যে রশি দিয়ে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয় ঐ রশিটি । পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, পার্শ্ববর্তী টাবনী বাজারের একটি মুদি দোকান থেকে ঘটনার ১০/১২ দিন আগে ইউনুচ মোল্যা একটি রশি কিনেছিলেন, যা উদ্ধার হওয়া রশির সঙ্গে মিল রয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে ইউনুচকে সন্দেহের তালিকায় এনে হেফাজতে নেয় পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইউনুচ রশি কেনার বিষয়টি অস্বীকার করলে পুলিশের সন্দেহ দানা বাঁধে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুজন বিশ্বাস জানান, ‘মামলার অধিকতর তদন্তের স্বার্থে এবং হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।’

 

আলফাডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে কিছুটা সম্পৃক্ততা ও রশি কেনার বিষয়ে মিথ্যা বলার কারণে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’


প্রিন্ট