ঢাকা , শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

বরগুনায় চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে শিক্ষা কর্মকর্তার মামলা

-বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন।

শাকিল মিয়াঃ

 

সংবাদ প্রকাশের জেরে বরগুনায় চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন। গত ৩০ অক্টোবর তিনি বরগুনা সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

 

মামলার আসামিরা হলেন বৈশাখী টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি রাসেল শিকদার, এ ওয়ান টিভির প্রতিনিধি জয়নাল আবেদীন রাজু এবং আরও দুই সাংবাদিক।

 

জানা গেছে, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে অফিসের প্রশিক্ষণ কক্ষের পাশের অংশে বসবাস করে আসছিলেন। বিষয়টি জানার পর কয়েকজন সাংবাদিক তথ্য ও ছবি সংগ্রহে অফিসে যান। সেখানে দেখা যায়, অফিসের তৃতীয় তলায় তিনটি কক্ষ তিনি নিজ ব্যবহারের জন্য দখলে রেখেছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি অফিসেই একসময় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন।

 

অফিসে বসবাসের ছবি ও সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ৩০ অক্টোবর শিক্ষা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন চাঁদাবাজির অভিযোগে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ঘটনার পর বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর, বরগুনা জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির মৃধা ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান তাপস এক যৌথ বিবৃতিতে এ মামলাকে হয়রানিমূলক বলে উল্লেখ করে দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

 

বৈ শাখী টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সফিকুল ইসলাম রাসেল শিকদার বলেন, আমিসহ কয়েকজন সাংবাদিক তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৭ অক্টোবর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যাই।

 

জসিম উদ্দিন স্যার নিজেই আমাদের তার থাকার রুম দেখিয়ে বলেন ‘আমার বিরুদ্ধে আপনারা সংবাদ প্রকাশ করেন, যাতে আমাকে বদলি করা হয়।’ এরপর আমরা সংবাদ প্রকাশ করি। কয়েকদিন পর দেখি আমাদের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়েছে।

 

বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মোবাইল ফোনে বলেন, আমি ঢাকায় আছি। মামলার বিষয়ে আমি কোনো বক্তব্য দিতে চাই না। সাংবাদিকেরা পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) সঙ্গে কথা বলুন। এরপরই তিনি ফোনটি কেটে দেন।

 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে বসবাসের অনুমোদন আছে কিনা, তা আমার জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নরসিংদীতে ট্রাকসহ ১৪৮ বস্তা জিরা উদ্ধার, দুই ডাকাত গ্রেফতার

error: Content is protected !!

বরগুনায় চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে শিক্ষা কর্মকর্তার মামলা

আপডেট টাইম : ১১:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
শাকিল মিয়া, বরগুনা জেলা প্রতিনিধি :

শাকিল মিয়াঃ

 

সংবাদ প্রকাশের জেরে বরগুনায় চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন। গত ৩০ অক্টোবর তিনি বরগুনা সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

 

মামলার আসামিরা হলেন বৈশাখী টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি রাসেল শিকদার, এ ওয়ান টিভির প্রতিনিধি জয়নাল আবেদীন রাজু এবং আরও দুই সাংবাদিক।

 

জানা গেছে, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে অফিসের প্রশিক্ষণ কক্ষের পাশের অংশে বসবাস করে আসছিলেন। বিষয়টি জানার পর কয়েকজন সাংবাদিক তথ্য ও ছবি সংগ্রহে অফিসে যান। সেখানে দেখা যায়, অফিসের তৃতীয় তলায় তিনটি কক্ষ তিনি নিজ ব্যবহারের জন্য দখলে রেখেছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি অফিসেই একসময় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন।

 

অফিসে বসবাসের ছবি ও সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ৩০ অক্টোবর শিক্ষা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন চাঁদাবাজির অভিযোগে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ঘটনার পর বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর, বরগুনা জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির মৃধা ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান তাপস এক যৌথ বিবৃতিতে এ মামলাকে হয়রানিমূলক বলে উল্লেখ করে দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

 

বৈ শাখী টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সফিকুল ইসলাম রাসেল শিকদার বলেন, আমিসহ কয়েকজন সাংবাদিক তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৭ অক্টোবর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যাই।

 

জসিম উদ্দিন স্যার নিজেই আমাদের তার থাকার রুম দেখিয়ে বলেন ‘আমার বিরুদ্ধে আপনারা সংবাদ প্রকাশ করেন, যাতে আমাকে বদলি করা হয়।’ এরপর আমরা সংবাদ প্রকাশ করি। কয়েকদিন পর দেখি আমাদের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়েছে।

 

বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মোবাইল ফোনে বলেন, আমি ঢাকায় আছি। মামলার বিষয়ে আমি কোনো বক্তব্য দিতে চাই না। সাংবাদিকেরা পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) সঙ্গে কথা বলুন। এরপরই তিনি ফোনটি কেটে দেন।

 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে বসবাসের অনুমোদন আছে কিনা, তা আমার জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।


প্রিন্ট