সাহিদা পারভীনঃ
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার প্রাচীন ঐতিহ্যের মধ্যে মদাপুর ইউনিয়নের শিবানন্দপুর গ্রামের বট ও পাকুরগাছ অন্যতম। গাছগুলোর আনুমানিক বয়স ৪শ বছর। কথিত আছে প্রাচীনকালে এই এলাকায় নদী ছিলো।এই নদীকুলের ১৬০০ খ্রীস্টাব্দে অজ্ঞাত নামের এক সন্যাসী বট ও পাকুর গাছ রোপন করেন।
১৯৩৮ সালে বটগাছটির পাশে গড়ে ওঠে গড়িয়ানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। গাছটি গ্রামের পরিবেশের ভারসম্য রক্ষার পাশাপাশি ছায়াদানে অনন্য ভূমিকা রাখে। বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলার জায়গা গাছটি।
৬ বছর আগে গড়িয়ানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন আরজিনা খাতুন। যোগদানের পর থেকেই পুরনো এই গাছটির প্রতি কু দৃষ্টি পরে আরজিনা বেগমের। প্রথম প্রথম সে ডালপালা কেটে গাছটি মারা চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে কাজ হয়না। বুধবার সকালে প্রধান শিক্ষক আরজিনা খাতুন শ্রমিক ডেকে গাছটি কেটে ফেলার উদ্যোগ নেয়।
ইউনুচ মন্ডল,ফিরোজ মোল্লা,রব্বেল ফকির,সামসুল মন্ডল,রেজেক ফকিরসহ শতাধিক এলাকাবাসী বাঁধা দিলে সে জানায়,এটি কাটার জন্য কালুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার,শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলী তাকে গাছটি কাটার অনুমতি দিয়েছে।
এসময় এলাকাবাসী বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলে তিনি গাছ কাটা বন্ধ করেন।
এ সংবাদ শোনার পর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এলাকাবাসী তাকে জানান, আরজিনা খাতুন যোগদানের পর বিদ্যালয়ের ৪ টি টিউবয়েল বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করেছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনে রাখা ২শ টি ষ্ট্রীলের বেঞ্চ ভাংগুড়ি হিসেবে বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করেছে। তিনি ৩ বছর বিদ্যালটির শ্লিপ প্রকল্পের টাকা কাজ না করে আত্মসাত করেছে। এলাকাবাসী শিক্ষক আরজিনা খাতুনের অপকর্মের তদন্ত ও শাস্থি দাবী করেন।
প্রিন্ট

বালিয়াকান্দিতে মোবাইলকোট পরিচালনায় দুই ট্রলি চালককে জরিমানা 
সাহিদা পারভীন, কালুখালি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি 




















