বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় হঠাৎ করেই ‘গণভোট’ শব্দটি আমাদের আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে। অথচ গণতন্ত্রের চর্চায় এই পদ্ধতিটি খুবই স্পর্শকাতর ও দায়িত্বশীল ব্যবহারের দাবি রাখে। কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যেভাবে এই শব্দটি ব্যবহৃত হচ্ছে, তাতে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি আদৌ প্রয়োজন, না কি এটি এক ধরনের রাজনৈতিক কৌশল মাত্র?
গণভোট মূলত একটি সরাসরি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি, যেখানে জনগণ একটি নির্দিষ্ট ইস্যুতে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলে মত প্রকাশ করে। এটি কার্যকর তখনই হয়, যখন রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট সিদ্ধান্ত দরকার হয়, যা সংসদ বা প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নয়, সরাসরি জনমতের ভিত্তিতে নিতে হয়। তবে, বর্তমান যে প্রস্তাব বা আলোচনার পটভূমি, তা এই মূল দর্শনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলেই মনে হয়।
রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে এই কমিশনের সহসভাপতি করা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের সদস্য হিসেবে রয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফররাজ হোসেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে এবং এই মর্মে পদক্ষেপ সুপারিশ করার জন্য এই কমিশন গঠন করা হয়েছে। অথচ মানুষের মৌলিক চাহিদা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়নি। জাতীয় ঐক্যমত কমিশন প্রথম পর্যায়ে ৩৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সাথে আলাদাভাবে বৈঠক করে ১৬৬টি মূল প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করে, এবং পরে ২০টি অমীমাংসিত মৌলিক প্রস্তাব নিয়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা শুরু করে। তার মধ্যে প্রতিটি বিভাগকে প্রদেশ করারও প্রস্তাব ছিল, তা জাতির জন্য আত্মঘাতী প্রস্তাব। বিশ্বের প্রতিটি দেশে তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতি ভিন্ন ভিন্ন গতি-প্রকৃতির। আমেরিকার সংবিধানের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার করা একেবারেই অনুচিত। আমেরিকার সংবিধানে উচ্চ কক্ষ ও নিম্ন কক্ষ আছে। আমেরিকার সংবিধান অনুসরণ করে বাংলাদেশের বাস্তবতায় উচ্চ কক্ষ কি আদৌও প্রয়োজন?
ঐক্যমত কমিশনের ১৬৬টি মূল প্রস্তাবের মধ্যে দুই পর্বের আলোচনায় ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোট ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐক্যমত ও সিদ্ধান্ত হয় । এর মধ্যে কিছু প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজন ছিল বলে মনে হয় না। যেমন, কুমিল্লা ও ফরিদপুর নতুন বিভাগ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এরকম অনেক প্রস্তাব আছে, যা সংস্কার প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করা একেবারেই অনুচিত। ১১টি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবে ঐক্যমত হয় এবং ১০টি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবে কয়েকটি দল ভিন্নমত সিদ্ধান্ত দেন । ১৭ অক্টোবর শুক্রবার বিকাল ৪.৩৭ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুছের সভাপতিত্বে জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়।
৩০টি দলের মধ্যে এনসিপি সহ পাঁচটি দল জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। ২৫টি দল অংশগ্রহণ করলেও গণফোরাম জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেনি। বিএনপির সহ ২৪টি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৫৬ টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও অনিবন্ধিত দলসহ প্রায় ২০০টি দল আছে। এর মধ্যে ২৪টি দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলে জুলাই সনদের স্বীকৃতি হবে? জাতির প্রশ্ন? জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনিভিত্তির জন্য গণভোটের মাধ্যমে জনগণের রায় নেয়ার কথা বলা হচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বাধীনতার পর থেকে তিনবার গণভোট হয়েছে।
১৯৭২ সালে সংবিধানের পরে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর রাজনৈতিক সংকট তীব্রতর হলে, ১৯৭৭ সালে জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। রাজনৈতিক বৈধতা অর্জন এবং তাঁর প্রতি জনগণের আস্থা প্রদর্শনের জন্য তিনি গণভোটের আয়োজন করেন।
১৯৭৭ সালের ৩০ মে অনুষ্ঠিত ওই গণভোটের প্রশ্ন ছিল, ‘আপনি কি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘোষিত নীতি ও কর্মসূচিতে আস্থা রাখেন?’ ভোটারদের জন্য দুটি বিকল্প ছিল- ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ভোটার উপস্থিতি ছিল ৮৮ শতাংশ। ‘হ্যা’ ভোট পড়ে ৯৮.৮৭ শতাংশ ‘না’ ভোট পড়ে প্রায় ১.১৩ শতাংশ।
দ্বিতীয় গণভোট অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালে ২১ মার্চ। তখন ক্ষমতায় ছিলেন সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। এ গণভোটের উদ্দেশ্য ছিল এরশাদের সামরিক শাসনের প্রতি জনগণের আস্থা প্রদর্শন। নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৭২ শতাংশ এবং ৯৪.৫ শতাংশ ভোটার এরশাদের পক্ষে ভোট দেন।
১৯৯১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আরও একটি ‘সাংবিধানিক’ গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। সেই গণভোটে ভোটারদের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছিল, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ( দ্বাদশ সংশোধনী) বিল,১৯৯১-এ রাষ্ট্রপতির সম্মতি দেওয়া উচিত কি না?’ এই গণভোটের উদ্দেশ্য ছিল সরকারব্যবস্থার পুনঃ প্রবর্তন। এই ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের প্রধান হলেও প্রধানমন্ত্রী হন নির্বাহী প্রধান।
এ ছাড়া দ্বাদশ সংশোধনীতে উপরাষ্ট্রপতির পদটি বিলুপ্ত করা এবং সংসদ কর্তৃক রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়টিও ছিল। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই গণভোটে প্রায় ৮৪ শতাংশ ভোটার সংসদীয় ব্যবস্থার পক্ষে ভোট দেন। গণভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশে সংসদীয় সরকারব্যবস্থা ফিরে আসে।
শেখ হাসিনার শাসনামলে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে ব্যাপক পরিবর্তন করা হয়। সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদ সংশোধনের মাধ্যমে গণভোটের বিধান বাতিল করা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনের আগে সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে সংবিধানের প্রস্তাবনার, অনুচ্ছেদ ৮, ৪৮, ৫৬, ৫৮, ৮০, ৯২ক এবং স্বয়ং ১৪২ অনুচ্ছেদ সংশোধন করতে গণভোটের বিধান ছিল। এখন প্রশ্ন দাঁড়ায়, বিদ্যমান সংবিধানে যেহেতু গণভোটের বিধান নেই, তাহলে কোন আইনি কর্তৃত্ব বলে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। আর ভবিষ্যতে তা কার্যকর করা হবে। জুলাই সনদের ৮৪টি প্রশ্নে ‘হ্যা’ বা ‘না’ ভোট করা কি সম্ভব হবে?
পঞ্চদশ সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে গত বছর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। বিএনপি, জামায়াতসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল ‘ইন্টারভেনর’ হিসেবে সেই রিট পিটিশনের শুনানিতে অংশ নেয় এবং পুরো পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের আবেদন জানায়।
২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে পঞ্চদশ সংশোধনীতে বাদ দেওয়া ১৪২ অনুচ্ছেদ পুনরায় বহাল করার কথা বলা হয়। এ রায়কে এখনই চূড়ান্ত বলে ধরে নেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ, এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল এবং পরবর্তী সময়ে রিভিউ পিটিশনের আইনসিদ্ধ সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশের সাংবিধানিক ইতিহাসে আদালতের রায়ের পর সেই রায়ের আলোকে সংসদ কর্তৃক প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার নজির রয়েছে। বর্তমানে যেহেতু সংসদ বহাল নেই, কাজেই সংবিধান সংশোধন করা সম্ভব নয়। সংবিধান সংশোধন করতে হলে পরবর্তী সংসদকেই সেটা করতে হবে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংবিধান ও আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়েই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু ঐকমত্য কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলো কর্তৃক সম্মত হওয়া গণভোটের কোনো আইনি বিধান আসলে এখন নেই। ‘গণভোট আইন, ১৯৯১’–এর মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত গণভোট আয়োজন করলে তা আইনসিদ্ধ হবে না। কারণ, এ আইনে শুধু সংসদে পাস হওয়া কোনো বিল নিয়ে গণভোট করার কথা বলা হয়েছে।
এ রকম অবস্থায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে ১৯৯১ সালের এই আইনটিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন এনে গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে গত ডিসেম্বরে দেওয়া হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের আলোকে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীকে সাংবিধানিক ভিত্তি ধরতে হবে। গণভোটের সিদ্ধান্ত হলে সেটি বাস্তবায়নের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২–এর সংশোধনও প্রয়োজন পড়বে। বিদ্যমান আইনের এসব সংশোধন ছাড়া গণভোট অনুষ্ঠান আইনসংগত হবে না।
বাংলাদেশের মতো একটি বহুমাত্রিক রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বাস্তবতায় গণভোট আয়োজন মানে একটি সংবেদনশীল পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করা। এমন একটি সময়ে, যখন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা নেই, নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে আছে চরম সন্দেহ ও অবিশ্বাস—তখন গণভোটের ডাক দেওয়া রাজনৈতিক সৌন্দর্যের চেয়ে বরং সংঘাতের ইঙ্গিত বহন করে।
এখানে প্রশ্ন উঠে, কে বা কারা এই গণভোটের উদ্যোগ নেবে? কোন কর্তৃত্বে? এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—এর ফলাফল কি সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য হবে? যদি তা না হয়, তবে এই প্রক্রিয়া কেবল আরও বিভাজন তৈরি করবে এবং জনমতকে ব্যবহারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
ইংরেজ শাসকেরা ভারতে নিজেদের স্বার্থে হিন্দু-মুসলিমদের ব্যবহার করেছে। দেখা যায়, নেহেরু এবং জিন্নাহ তাঁদের বক্তব্যকে ইংরেজদের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে পারেনি।
গ্রেট ব্রিটেন দ্বিজাতিতত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন জওহরলাল নেহেরু ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নেতৃত্বে ভারতবর্ষকে ভারত ও পাকিস্তান আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ভাগ করে দেন। এর মধ্যে পূর্ববঙ্গ এবং কাশ্মীরের অর্ধেকের বেশি অংশ পাকিস্তানের মধ্যে ও অর্ধেকের কম অংশ ভারতের মধ্যে বন্টন করে দেন। এই বিভাজন ও পাকিস্তানের বৈষম্যের কারণে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। আর কাশ্মীর এখনও স্বাধীন হওয়ার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। তেমনিভাবে বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জাতিকে বিভাজন করার জন্য এই গণভোটের আয়োজন করছে তাঁদের নিযুক্ত এজেন্টের মাধ্যমে।
উভয় ক্ষেত্রেই এটা স্পষ্ট, গণভোটের এই প্রস্তাব একধরনের অশনি সংকেত বহন করছে—যা রাজনৈতিক সংকটকে প্রশমিত করার পরিবর্তে আরও ঘনীভূত করতে পারে।
আমাদের দেশের গণতন্ত্র এখনো পরিপক্বতার স্তরে পৌঁছায়নি। যে দেশে গত ৫৪ বছরে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারেনি, সেখানে গণভোটের মতো একটি জটিল প্রক্রিয়া কতটা বাস্তবসম্মত—তা ভেবে দেখা জরুরি। তারচেয়ে বরং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ, সমঝোতা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি।
গণভোট নয়, আমাদের প্রয়োজন গণশুনানি, গণসংলাপ এবং জনগণের প্রকৃত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। এখনও সময় আছে—গণভোটের মতো অপ্রয়োজনীয়, বিভাজনমূলক পদক্ষেপের দিকে না গিয়ে, রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবেই সমাধানের পথ খোঁজা হোক। না হলে এই ধরনের কৌশল ভবিষ্যতে আরও বড় সংকট ডেকে আনবে, যার খেসারত দিতে হবে গোটা জাতিকে।
প্রিন্ট

বালিয়াকান্দিতে মোবাইলকোট পরিচালনায় দুই ট্রলি চালককে জরিমানা 
ডেস্ক রিপোর্ট 




















