আলিফ হোসেনঃ
রাজশাহীর তানোরে এক মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে পাগল বলে কটাক্ষ করাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’পক্ষ অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন ইউসুফ আলী (৪৫), ইনসান আলী (৪১), আইয়ুব আলী (৩৫), ও কাওছার আলী (৩৮)। এদের মধ্যে গুরুতর ইউসুফ ও ইনসান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে(রামেক) চিকিৎসাধীন রয়েছে। তানোর পৌর এলাকার গোকুলমথুরা মহল্লার পাকা রাস্তার মোড়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
.
জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলে মানসিক প্রতিবন্ধী আলমগীর হোসেন (৩০) ধান আনার উদ্দেশ্যে মাথায় বস্তা নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় একই গ্রামের টিটু (৫৫) তাকে ‘পাগল’ বলে কটুক্তি করেন। এতে আলমগীর ক্ষিপ্ত হয়ে কথা কাটাকাটি শুরু করলে টিটু তাকে মারধর করে।এনিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে টিটুর নির্দেশে তার পক্ষের কয়েকজন বাবু (৩৫), আলমাস (৪০), জনি (২৮), ও রনি (৩০) লাঠি-শোটা ও দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায়। তারা আলমগীরের চাচাতো ভাই ইউসুফ আলী (৪৫), ইনসান আলী (৪১), আইয়ুব আলী (৩৫), ও কাওছার আলী (৩৮)-কে মারধর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে মাথা ফেটে যায়।আহতদের মধ্যে ইউসুফ ও ইনসানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
.
তানোর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
.
স্থানীয়রা জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারপিট শুরু করে। টিটু পক্ষের লোকজন দা হাসুয়া দিয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী আলমগীরের লোকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। তাদের এমন মারপিটে পুরো মহল্লায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। যারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষকে আঘাত করেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। দিতে হবে কঠিন শাস্তি। যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।
.
এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা এসে রিপোর্ট দিলে সে মোতাবেক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে পরিস্থিতি শান্ত আছে। নিয়োমিত পুলিশ টহল দিচ্ছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। অপরাধীরা কোন ছাড় পাবে না বলেও হুশিয়ারি করেন ওসি।
প্রিন্ট