ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বেনাপোলে যুবদলের যৌথ কর্মীসভা Logo পাংশা সরকারী কলেজে জুলাই শহিদ দিবস পালিত Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে মহম্মদপুর Logo কুষ্টিয়া চাঁদা তোলা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ Logo কিছু কিছু দল বাংলাদেশকে মৃত্যুপুরী বানাচ্ছেঃ -মোমিন মেহেদী Logo ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের উদ্যোগে ‌‌ আলোচনা সভা ‌ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়া সীমান্তে পৃথক অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও শর্টগানসহ আটক ২ Logo জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির ‌ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত  Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে চোরাকারবারি ধরতে গিয়ে বিজিবির ফাঁকা গুলি, ১০টি মহিষ আটক Logo প্রয়াত বুড়ি মা’র তিরোধান বার্ষিকী স্মরণে দৌলতপুরের আনন্দ ধামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাধুসঙ্গ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

রাজশাহী চিড়িয়াখানা পুনরুদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন

মনোয়ার হোসেনঃ

রাজশাহী চিড়িয়াখানায় বাঘ, ভাল্লুক, সিংহসহ সকল প্রকার পশু পাখি পুনরুদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১২ টায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানার সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

.

মানববন্ধনে চিড়িয়াখানায় পূনরায় বাঘ, ভাল্লুক, সিংহসহ সকল প্রকার পশু পাখি পুনরুদ্ধার ও পূর্ণবাসনের দাবি তুলেন সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন দ্রুত সকল পশু পাখি পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিবেন, তা না হলে আমরা রাজশাহীবাসী কঠোর আন্দোলনে যাব বলে হুঁশিয়ারি দেন মানববন্ধনে উপস্থিত সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।

.

এসময় মানববন্ধনে সাবেক কাউন্সিলর ও রাজশাহী মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান বাধন ও রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি মোস্তাক, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ভূইয়াসহ রাজশাহীর সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

.

১৯৭২ সালে কার্যক্রম শুরু হয় রাজশাহী চিড়িয়াখানার । প্রায় ৩৩ একর জমিতে নির্মিত উদ্যানটি ১৯৯৬ সালে জেলা পরিষদ থেকে সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

.

চিড়িয়াখানায় এক সময় বাঘ, সিংহসহ অনেক পশুপাখি ছিল। ১৯৯৭ সালের জুনে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে ৬ বছর ৪ মাস বয়সের একটি বাঘ আনা হয়। নাম দেওয়া হয় সম্রাট। আগে চিড়িয়াখানায় একটি সিংহ ও একটি সিংহী ছিল। এখন সেই খাঁচাও নেই। চিড়িয়াখানায় একসময় উট, হায়েনা ছিল। ভালুকের জন্য ছিল একসঙ্গে যুক্ত দুটি নতুন খাঁচা। বানর, গাধা ও হরিণের জন্য নতুন খাঁচা তৈরি করা হয়েছিল। এখন শুধু হরিণের খাঁচা আছে কিন্তু হরিণ নাই। বলতে গেলে চিড়িয়াখানার অর্থই পালটে গেছে, নেই কোনো পশু পাখি।

.

মানববন্ধনে দেখে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা একজন আগন্তুক বলেন, আগে এসে যে মজা পেয়েছিলাম, এখন আর সেটি নেই, যা দেখছি সব আর্টিফিশিয়াল। সঙ্গে বাচ্চারা এসেছে। ওরা বাঘ, ভালুক, বানরসহ বিভিন্ন পশুপাখি দেখতে চায়। কিন্তু সেসব নেই। শিশুদের মানসিক বিকাশে বইয়ে বিভিন্ন পশুপাখির ছবি দেওয়া হয়। শিশুরা চিড়িয়াখানায় গিয়ে বাস্তবে সেই পশুপাখি দেখে বেশি আনন্দ পায়। মানসিক বিকাশের জন্য এটা খুবই জরুরি। কিন্তু এখন যা করা হলো, তা কংক্রিটের। চিড়িয়াখানার অর্থই পালটে গেছে। গত তিন বছরে নীরবে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করা হয়েছে। আমরা দ্রুত এর পুনরুদ্ধার চাই।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বেনাপোলে যুবদলের যৌথ কর্মীসভা

error: Content is protected !!

রাজশাহী চিড়িয়াখানা পুনরুদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট টাইম : ০৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
মনোয়ার হোসেন, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি :

মনোয়ার হোসেনঃ

রাজশাহী চিড়িয়াখানায় বাঘ, ভাল্লুক, সিংহসহ সকল প্রকার পশু পাখি পুনরুদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১২ টায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানার সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

.

মানববন্ধনে চিড়িয়াখানায় পূনরায় বাঘ, ভাল্লুক, সিংহসহ সকল প্রকার পশু পাখি পুনরুদ্ধার ও পূর্ণবাসনের দাবি তুলেন সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন দ্রুত সকল পশু পাখি পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিবেন, তা না হলে আমরা রাজশাহীবাসী কঠোর আন্দোলনে যাব বলে হুঁশিয়ারি দেন মানববন্ধনে উপস্থিত সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।

.

এসময় মানববন্ধনে সাবেক কাউন্সিলর ও রাজশাহী মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান বাধন ও রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি মোস্তাক, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ভূইয়াসহ রাজশাহীর সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

.

১৯৭২ সালে কার্যক্রম শুরু হয় রাজশাহী চিড়িয়াখানার । প্রায় ৩৩ একর জমিতে নির্মিত উদ্যানটি ১৯৯৬ সালে জেলা পরিষদ থেকে সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

.

চিড়িয়াখানায় এক সময় বাঘ, সিংহসহ অনেক পশুপাখি ছিল। ১৯৯৭ সালের জুনে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে ৬ বছর ৪ মাস বয়সের একটি বাঘ আনা হয়। নাম দেওয়া হয় সম্রাট। আগে চিড়িয়াখানায় একটি সিংহ ও একটি সিংহী ছিল। এখন সেই খাঁচাও নেই। চিড়িয়াখানায় একসময় উট, হায়েনা ছিল। ভালুকের জন্য ছিল একসঙ্গে যুক্ত দুটি নতুন খাঁচা। বানর, গাধা ও হরিণের জন্য নতুন খাঁচা তৈরি করা হয়েছিল। এখন শুধু হরিণের খাঁচা আছে কিন্তু হরিণ নাই। বলতে গেলে চিড়িয়াখানার অর্থই পালটে গেছে, নেই কোনো পশু পাখি।

.

মানববন্ধনে দেখে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা একজন আগন্তুক বলেন, আগে এসে যে মজা পেয়েছিলাম, এখন আর সেটি নেই, যা দেখছি সব আর্টিফিশিয়াল। সঙ্গে বাচ্চারা এসেছে। ওরা বাঘ, ভালুক, বানরসহ বিভিন্ন পশুপাখি দেখতে চায়। কিন্তু সেসব নেই। শিশুদের মানসিক বিকাশে বইয়ে বিভিন্ন পশুপাখির ছবি দেওয়া হয়। শিশুরা চিড়িয়াখানায় গিয়ে বাস্তবে সেই পশুপাখি দেখে বেশি আনন্দ পায়। মানসিক বিকাশের জন্য এটা খুবই জরুরি। কিন্তু এখন যা করা হলো, তা কংক্রিটের। চিড়িয়াখানার অর্থই পালটে গেছে। গত তিন বছরে নীরবে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করা হয়েছে। আমরা দ্রুত এর পুনরুদ্ধার চাই।


প্রিন্ট