আলিফ হোসেনঃ
রাজশাহীর তানোরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মুদি দোকানদার ইকবাল ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে। গত ১৮ মার্চ মঙ্গলবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত রোববার বিকেলে উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের (ইউপি) চাঁন্দুড়িয়া বাজারে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গত সোমবার রাতে ভিকটিমের পিতা বাদি হয়ে তানোর থানায় মামলা করেছেন।
এদিকে মামলায় আসামি করা হয়েছে চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের দেওতলা গ্রামের ইকবাল হোসেন (২৮), তার বাবা আনছার আলী (৬৫) এবং একই গ্রামের চা দোকানি আবদুল মালেক (৬০)। মামলার পর পরই আসামিরা গা-ঢাকা দিয়েছে।
এদিকে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন বিকেলে ওই কলেজছাত্রী তার শিক্ষকের বাসায় গাইড নিতে যাচ্ছিলেন। পথে পূর্বপরিচিত মুদি দোকানি ইকবাল ওই ছাত্রীকে ডাকেন। ওই ছাত্রী দোকানে গেলে ইকবালের সহযোগী চা দোকানদার মালেক মুদি দোকানের শাটার নামিয়ে দেন। পরে মুদি দোকানদার ইকবাল ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। ঘটনা জানাজানি হলে সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে তার দোকান থেকে বের করে দেন ইকবাল। পরে অভিযুক্তের বাবা আনছার আলী ওই ছাত্রীকে উল্টো দোষারোপ করে তার পরিবারের কাছে রেখে আসেন।
এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মঙ্গলবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
প্রিন্ট