আলিফ হোসেনঃ
রাজশাহীর তানোরের বিভিন্ন সড়কে এখন আতঙ্কের নাম বালু বোঝাই ওভার লোড ড্রাম ট্রাক। ড্রাম ট্রাক ছাড়াও ট্রাক,ট্রাক্টর ও ভুটভুটিতে ওভার লোড বেপরোয়া গতি এবং প্রায় খোলা অবস্থায় বালু নিয়ে যাওয়ায় হারহামেশাই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। এলাকাবাসী ট্রাকগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিলেও রহস্যজনক কারনে নীরব প্রশাসন। উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় রাত দিন বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বালু-মাটি বোঝাই ওভার লোড ড্রাম ট্রাক।
জানা গেছে, উপজেলার তানোর-চৌবাড়িয়া রাস্তার লব্যাতলা ফসলি জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে হিমাগার। জায়গা ভরাটের জন্য ভরাট এবং বালু নেওয়া হচ্ছে ড্রাম ট্রাকে করে। বেপরোয়া গতি ও বালু নামমাত্র পর্দা দিয়ে ঢেকে নিয়ে যাওয়ায় ড্রাম ট্রাক থেকে বালু উড়ে এসে পথচারী, স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, মোটরসাইকেল চালক ও সব ধরনের যানবাহনের চালকদের চোখে মুখে পড়ায় বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।রাস্তার পাশেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট বাজার থাকায় ট্রাকের কারণে সড়কে চলাচলকারীরাও থাকেন চরম আতঙ্কে। হর্ণ, ধুলা বালি আর কালো ধোঁয়ায় নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ, সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সড়ক। শুধু তাই নয়, বালু ও ধুলোর কারনে শ্বাস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। এছাড়াও গ্রামীণ রাস্তায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে চার থেকে পাঁচগুন বেশী ওজনের ড্রাম ট্রাক চলাচল করায় রাস্তা নষ্ট হচ্ছে দ্রুত।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিক ও মুন্তাজ বলেন, প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে ওভার লোড ড্রাম ট্রাক চলাচল করে। কোন নিয়ম মানে না এরা। বেপরোয়া গতিতে চালায় গাড়ী। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে।
আহসান জানান, সড়কের পাশেই আমার বাড়ী। ঘরের জানালা দরজা খুলে রাখা যায় না। দরজা জানালা খুললেই বালুর ট্রাকের বেপরোয়া চলাচলের কারনে ধুলাবালীতে বাড়ী ঘর ভরে হয়ে যায়।
মোটরসাইকেল চালক শফিকুল জানান, ট্রাকগুলো বালু নেওয়ার সময় নাম মাত্র পর্দা দিয়ে ঢেকে নিয়ে যায়। এতে বাতাসে বালুগুলো উড়ে আমাদের চোখে মুখে এসে পড়ে। বালুর কারনে শুধু আমাদের বাইক চালকদের না, সব ধরনের যানবাহনের চালকদের সমস্যা হয়।
অটোরিকশা চালক আমির বলেন, ড্রাম ট্রাকগুলো অনেক বড়। এই ড্রাম ট্রাক গুলো সিএনজি, অটোরিকশা, ব্যাটারীচালিত অটোরিকশাকে কোন পাত্তা দেয় না। এই ট্রাকগুলোর কারনে সড়কে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে সমস্যা হয়।
স্থানীয় সচেতন মহলের ভাষ্য,এলাকায় শিল্পকারখানা হোক সেটা তারাও চাই। তবে ভাতের থালায় লাথি দিয়ে নয়(তিন ফসলি জমি নষ্ট করে নয়)। এক ফসলি বা পতিত জমিতে করা যেতে পারে।
এ বিষযে সড়ক বিভাগ (সওজ) রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল হাকিমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগায়োগ করা হলে মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের প্রত্যাশা মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
প্রিন্ট