ইসমাইল হােসেন বাবু, ষ্টাফ রিপাের্টারঃ
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির বিরুদ্ধে একটি মহলের অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়ার মণ্ডল ফিলিং স্টেশনের বিপরীতে মাস্টার কমিউনিটি সেন্টার অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি।
এ সময় কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির বিরুদ্ধে পদবঞ্চিত নেতাদের ‘বিএনপি নেতাদের চাঁদাবাজির কারণে চালের দাম বৃদ্ধি’ ও লালন বিজ্ঞান ও কলা বিশ্ববিদ্যালয় জেলা বিএনপি নেতাদের দখলে নেয়ার অভিযোগসহ নানান অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির নেতারা।
জেলা বিএনপির ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ। সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার বলেন, গৌতম চাকির মদের দোকান থেকে জেলা বিএনপির নামে মাসে দুই লাখ করে টাকা নেয়া হয়। গৌতম চাকি বেঁচে আছেন আপনারা তার কাছে প্রশ্ন করুন জেলা বিএনপির নামে তার কাছে থেকে কোনো টাকা পয়সা নেয়া হয় কিনা? মিথ্যাচারের সীমা থাকা উচিৎ। এমন নির্লজ্জ অপপ্রচার না চালানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে আগামী দিনের জন্য অপেক্ষা করারও অনুরোধ জানাচ্ছি।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘স্বৈরাচারের দোসরদের সঙ্গে আঁতাত করে বিলাসী জীবনযাপন করা ব্যক্তিরা ৫ আগস্টের পর এখন জেলা বিএনপির নেতা সাজার চেষ্টা চালাচ্ছেন। স্বৈরাচারের আমলে জেলার শত শত বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ায় কেউ কেউ কারাগারে আবার অনেকেই পলাতক থেকে মানবেতর জীবনযাপন করেছে। স্বৈরাচারের দোসররা তাদের ওপর চালিয়েছে অকথ্য নির্যাতন। সেদিন তাদের সাহায্য সহযোগিতা করার কেউ ছিল না। আমরা সেদিন নিজেরা বিপদে থেকেও সাধ্যমত বিপদগ্রস্ত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারের শাসনামলে কুষ্টিয়ায় প্রতিষ্ঠিত লালন বিজ্ঞান ও কলা বিশ্ববিদ্যালয়ে হানিফের স্ত্রীকে বাদ দিয়ে ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। সেখানে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও আমি মালিকানা নিয়েছি। যার সঙ্গে বিন্দুমাত্র সংশ্রব নেই আমাদের। আমরা আপনাদের অনুরোধ জানাবো আপনার অনুসন্ধান করে দেখুন। ওদের বক্তব্যের কোনো সত্যতা পাবেন না।
এ সময় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নেতারা বলেন, পদবঞ্চিত ব্যানারে জেলা বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের বিরুদ্ধে ডাহা মিথ্যাচার করা হচ্ছে। তারা বলছে জেলা বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা কুষ্টিয়ায় চালকল মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করার জন্য চালের দাম বেড়ে গেছে। এ কথা পাগল আর আহাম্মক ছাড়া কেউ বিশ্বাস করবে না।
তারা আরও বলেন, এ বাপারে আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি কোনো চালকল মালিক যদি বলতে পারেন আমরা তাদের কাছে চাঁদা চেয়েছি, তাহলে আমরা দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়াবো। আপনারা চালকল মালিকদের কাছে জিজ্ঞাসা করুন জেলা বিএনপির কোনো নেতা বা কর্মী তাদের কাছে চাঁদা চেয়েছে কিনা। চাঁদা নেয়ার জন্য যদি কুষ্টিয়াতে চালের দাম বাড়ে তাহলে সারা দেশে চালের দাম বাড়লো কেন? তাহলে কি জেলা বিএিনপির দায়িত্বশীল নেতারা সারা দেশে চালকল মালিকদের কাছে চাঁদাবাজি করেছে?
প্রিন্ট