হানিফ উদ্দিন সাকিব, হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর বিছিন্ন দ্বীপ উপজেলার হাতিয়া তমরোদ্দি পুলিশ ফাঁড়ি থানা সংলগ্নে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে দুই হিন্দু বাড়িতে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার দু’টি।
মঙ্গলবার(২৮ জানুয়ারি) সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগী ও প্রতিবেশীদের থেকে জানা যায়, গতকাল দুপুরে দুইজন অপরিচিত নারী বোরকা পরিহিত অবস্থায় তাদের বাড়িতে ঢুকে। পরে বাড়ির মহিলাদের সাথে কথা বলাবস্থায় হঠাৎ পানি খাওয়ার জন্য বলে। পরে টিউবওয়েল থেকে পানি পান করে পাকঘরের পাশ হয়ে চলে যায়। পরক্ষণে বিপ্লবদের বাড়ির বিপ্লব ও তার স্ত্রী টিউবওয়েল থেকে পানি এনে দুপুরের খাওয়ার শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। সন্ধ্যায় ঝিমানো ভাব না কাটায় তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। পরে বাড়িতে এসে বিশ্রাম নিতেই ভোর হয়ে। আশপাশ থেকে আওয়াজ উঠার পর তারা উঠে দেখে আলমারি সহ সবকিছু এলোমেলো।
ভুক্তভোগী পিংকি রাণী বণিক জানান , সোমবার দুপুরে তারা খাবার খাওয়ার পর তার স্বামী বিপ্লব বনিক অসুস্থ হয়ে পড়ে । তখন সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে আসে। রাতে আমরা গভীর ঘুমে মগ্ন হয়ে পড়ি। সকালে দেখি আলমারি খোলা। কোনো মালামাল নাই, সব নিয়ে গেছে। সে জানায়, অপরিচিত ঐ দুই নারী সম্ভবত টিউবওয়েলে নেশা জাতীয় কিছু দিয়ে গেছে। যার ফলে আমাদের এই সর্নাশ। সে আরো জানায়, রাতে যখন তারা সবাই ঘুমিয়ে পড়ে তখন রান্নাঘরের জানালা ভেঙ্গে চোর ভিতরে ঢুকে এবং মাঝখানের লোহার দরজা ভেঙে তারা মূল ঘরের ভিতর প্রবেশ করে। পরে আলমারি ভেঙে নিজেদের ছয় ভরি স্বর্ণ এবং বন্দকী ২৬ ভরি স্বর্ণ সহ মোট ৩২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়ে যায়।
এদিকে, একই রাতে পাশের বাড়ির তমরদ্দি বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সহদেব সাহা জানান, বাজার থেকে বাড়িতে এসে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আলমারি ভাঙ্গা। পরে দেখি নগদ ১০ হাজার টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়ে গেছে। তিনি ধারণা করে বলেন, সম্ভবত খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে লুটেরার দল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ফলে এতবড় ঘটনার পরও রাতে আমরা একটুও টের পায়নি।
এবিষয়ে আজ দুপুরে হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম আজমল হুদা জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল দেখে আসি। এবং অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান তিনি।
প্রিন্ট