ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo লালপুরের পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৫ Logo ফরিদপুরে আ.লীগের ব্যানারে মিছিল দেওয়ার প্রস্তুতিকালে বিএনপি নেতার ছেলেসহ আটক ৮ Logo বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলন Logo শ্রমিকদল নেতাদের সহযোগীতায় জোরপূর্বক জমি দখলে শসস্ত্র হামলা Logo ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সদের একদফা দাবিতে দেশব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত Logo ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা Logo আলফাডাঙ্গায় শিক্ষকদের সংবর্ধনা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করলেন জেলা প্রশাসক Logo মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ Logo ভূরুঙ্গামারীতে নাশকতা বিরোধী বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতা গ্রেফতার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

যাত্রী রেখে ট্রেন চলে যাওয়ার অভিযোগ, স্টেশন মাস্টার অবরুদ্ধ

সাইফুল ইসলাম, নাটোর জেলা প্রতিনিধি

খুলনাতে এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য পরিবারের ১৪ সদস্যের সাথে নাটোর স্টেশনে সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আসাদুজ্জামান। বুধবার রাতে তারা সকলেই এসেছেন রাজশাহী থেকে। সবাই খুলনায় যাবেন বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। টিকিট কেটে নাটোর রেল স্টেশনের ২ নং প্লাটফর্মে কনকনে শীতের মধ্যে জুবুথুবু হয়ে বসে সময় কাটাচ্ছিলেন সবাই। আরো অনেক যাত্রী প্লাটফর্মে সীমান্ত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ট্রেনের নির্ধারিত সময় ছিল রাত্রি ১১ টা ৩০ মিনিটে। প্রায় ২৯ মিনিট দেরীতে ১১টা ৫৯ মিনিটের দিকে ট্রেনটি নাটোর স্টেশনে আসে।

 

কিন্তু ট্রেনটি প্লাটফর্মে প্রবেশের পর পরই সামান্য সময়, প্রায় ১ মিনিট কাল থেমেই টানতে শুরু করে। এ সময় হুড়োহুড়ি করে ট্রেনে উঠতে গিয়ে অনেকেই হোঁচট খেয়ে প্লাটফর্মের ওপর পড়ে যান। অনেক যাত্রী তাদের নির্ধারিত বগি (কম্পার্টমেন্ট) খুঁজতে গিয়ে ট্রেনে উঠতে পারেননি। ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের আগেই স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ায় প্রায় অর্ধশত যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারেননি। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন ট্রেনে উঠতে না পারা যাত্রীরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা নাটোর স্টেশন মাস্টারকে অবরুদ্ধ করে। পরে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেলওয়ে স্টেশনের এক কর্মচারী জানান, কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল প্লাটফর্ম এলাকা। ট্রেনটিতে ভিড় ছিল খুব। খুলনায় পরীক্ষা দিতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ভিড় ছিল। নাটোর স্টেশনে যাত্রীর সংখ্যা ছিল কয়েকগুণ বেশি। কুয়াশার কারণে অনেকেই তাদের নির্ধারিত কম্পার্টমেন্ট খুঁজতে গিয়ে সময় অতিবাহিত করায় ট্রেন ছেড়ে দেয়ায় তারা উঠতে পারেননি।

 

যাত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, স্বল্প সময় দাঁড়ানোর কারণে তিনি ও পরিবারের ১৪ সদস্য ট্রেনে উঠতে পারেননি। ২ নং প্লাটফর্মে সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢুকতেই আবার ছেড়ে চলে যায়। বিষয়টি স্টেশন মাস্টারকে এসে জানালে তিনি কোন ব্যবস্থা না করে উল্টাপাল্টা কথা বলেন।

 

নাটোর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শামীম হোসেন বলেন, এই রুটে বিকল্প কোন গাড়ি নেই, যে তাদেরকে তুলে দেবো। কন্ট্রোল রুমকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গাড়ি ছেড়ে আসলে আমি লাইন ক্লিয়ার দিয়ে দেই। প্যাসেঞ্জার ক্লিয়ারেন্স গার্ডের দেখার বিষয়। সেটা হয়ত গার্ড দেখেনি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

লালপুরের পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৫

error: Content is protected !!

যাত্রী রেখে ট্রেন চলে যাওয়ার অভিযোগ, স্টেশন মাস্টার অবরুদ্ধ

আপডেট টাইম : ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
মোঃ সাইফুল ইসলাম, নাটোর জেলা প্রতিনিধি :

সাইফুল ইসলাম, নাটোর জেলা প্রতিনিধি

খুলনাতে এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য পরিবারের ১৪ সদস্যের সাথে নাটোর স্টেশনে সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আসাদুজ্জামান। বুধবার রাতে তারা সকলেই এসেছেন রাজশাহী থেকে। সবাই খুলনায় যাবেন বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। টিকিট কেটে নাটোর রেল স্টেশনের ২ নং প্লাটফর্মে কনকনে শীতের মধ্যে জুবুথুবু হয়ে বসে সময় কাটাচ্ছিলেন সবাই। আরো অনেক যাত্রী প্লাটফর্মে সীমান্ত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ট্রেনের নির্ধারিত সময় ছিল রাত্রি ১১ টা ৩০ মিনিটে। প্রায় ২৯ মিনিট দেরীতে ১১টা ৫৯ মিনিটের দিকে ট্রেনটি নাটোর স্টেশনে আসে।

 

কিন্তু ট্রেনটি প্লাটফর্মে প্রবেশের পর পরই সামান্য সময়, প্রায় ১ মিনিট কাল থেমেই টানতে শুরু করে। এ সময় হুড়োহুড়ি করে ট্রেনে উঠতে গিয়ে অনেকেই হোঁচট খেয়ে প্লাটফর্মের ওপর পড়ে যান। অনেক যাত্রী তাদের নির্ধারিত বগি (কম্পার্টমেন্ট) খুঁজতে গিয়ে ট্রেনে উঠতে পারেননি। ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের আগেই স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ায় প্রায় অর্ধশত যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারেননি। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন ট্রেনে উঠতে না পারা যাত্রীরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা নাটোর স্টেশন মাস্টারকে অবরুদ্ধ করে। পরে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেলওয়ে স্টেশনের এক কর্মচারী জানান, কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল প্লাটফর্ম এলাকা। ট্রেনটিতে ভিড় ছিল খুব। খুলনায় পরীক্ষা দিতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ভিড় ছিল। নাটোর স্টেশনে যাত্রীর সংখ্যা ছিল কয়েকগুণ বেশি। কুয়াশার কারণে অনেকেই তাদের নির্ধারিত কম্পার্টমেন্ট খুঁজতে গিয়ে সময় অতিবাহিত করায় ট্রেন ছেড়ে দেয়ায় তারা উঠতে পারেননি।

 

যাত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, স্বল্প সময় দাঁড়ানোর কারণে তিনি ও পরিবারের ১৪ সদস্য ট্রেনে উঠতে পারেননি। ২ নং প্লাটফর্মে সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢুকতেই আবার ছেড়ে চলে যায়। বিষয়টি স্টেশন মাস্টারকে এসে জানালে তিনি কোন ব্যবস্থা না করে উল্টাপাল্টা কথা বলেন।

 

নাটোর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শামীম হোসেন বলেন, এই রুটে বিকল্প কোন গাড়ি নেই, যে তাদেরকে তুলে দেবো। কন্ট্রোল রুমকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গাড়ি ছেড়ে আসলে আমি লাইন ক্লিয়ার দিয়ে দেই। প্যাসেঞ্জার ক্লিয়ারেন্স গার্ডের দেখার বিষয়। সেটা হয়ত গার্ড দেখেনি।


প্রিন্ট