ঢাকা , শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নতুন বছরে যুগল সৌন্দর্য দেখতে পদ্মা পাড়ে দর্শনার্থীর ভিড় !

ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার

এবার থার্টি ফার্স্টের জমকালো আয়োজন না থাকলেও, বছরের প্রথম সূর্যোদয় দেখতে সকাল থেকেই ভেড়ামারা-পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে দুপাড়ে যুগল সৌন্দর্য লালন সেতু ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দেখার জন্য ভিড় করেছে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা দর্শনার্থীরা।

 

প্রতি বছর বর্ষ-বিদায় ও নতুন বছর বরণ করতে এবার ও উপচে পড়া ভিড়। পরিবার ও প্রিয়জনদের সাথে নিয়ে মেতেছেন আনন্দ-উচ্ছ্বাসে। আজ বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন তারা।

 

যুগল সৌন্দর্য লালনশাহ্ সেতু ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে পদ্মা পাড়ে ভীড় জমাচ্ছে।

 

একদিকে অপরূপ সৌন্দর্য আর অপরদিকে প্রজন্মের সাক্ষী হয়ে ১০৯ বছরের ঐতিহ্যবাহী দেশের বৃহত্তম হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও পাশেই লালন শাহ সেতু দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

 

তাই রূপ-মাধুর্যে ভরা পাকশীর জোড়া সেতু এলাকায় মানুষের দারুণ ভিড়। এছাড়াও নৌকায় চরে এপাড় ভেড়ামারায় পদ্মা পাড়ে মনি পার্ক ও আধ্যাত্মিক সাধক পুরুষ হযরত সোলাইমান শাহ্ চিশতী (র:) মাজার দেখার জন্য সেখানে ও পরিবার-পরিজন নিয়ে ভীড় করে দেখা গেছে।

 

এছাড়াও পাকশী মানুষের চাহিদার অন্যতম কারণ-ঐতিহ্যবাহী পাকশী পেপার মিল, ফুরফুরা শরীফ, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর, বিশাল অঞ্চল নিয়ে পশ্চিম রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয়, বিবিসি বাজার ,পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্র ও রিসোর্টসহ ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থাপনা।

 

এখানকার প্রকৃতির রূপ দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থী আব্দুল ছালামশাহ্ তিনি বলেন, পদ্মা নদীর ওপর লালরঙা হার্ডিঞ্জ ব্রিজটি শত বছর পার হলে ও এ ব্রিজের সৌন্দর্য এক চিলতেও নষ্ট হয়নি শুনে ঘুরতে এসেছি।

 

নতুন বছরে ঘুরতে দর্শনার্থীর ঢল নেমেছে পাবনার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু এলাকায়।

 

পদ্মার পাদ দেশে নির্মাণাধীন রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু মিলে এই এলাকা যেন সৌন্দর্যের আধারে পরিণত হয়েছে।

 

হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে ঘুরতে আসা দিনাজপুরের নজরুল ইসলাম নামের এক যুবক জানান, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, লালন শাহ সেতু ও রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও জিকে সেচ প্রকল্প দেখতে এসেছি। খুবই ভালো লাগলো। দিনের আলো বাড়লে এই এলাকায় সমাগম আরও বাড়বে।

 

পিয়াস নামের আরেক দর্শনার্থী বলেন, পদ্মা নদীর ঢেউ দর্শনার্থীদের হৃদয়কে ভরিয়ে দিয়েছে। ব্রিজের পাশাপাশি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও লালন শাহ সেতু এখানকার সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

নতুন বছরে যুগল সৌন্দর্য দেখতে পদ্মা পাড়ে দর্শনার্থীর ভিড় !

আপডেট টাইম : ০১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার :

ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার

এবার থার্টি ফার্স্টের জমকালো আয়োজন না থাকলেও, বছরের প্রথম সূর্যোদয় দেখতে সকাল থেকেই ভেড়ামারা-পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে দুপাড়ে যুগল সৌন্দর্য লালন সেতু ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দেখার জন্য ভিড় করেছে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা দর্শনার্থীরা।

 

প্রতি বছর বর্ষ-বিদায় ও নতুন বছর বরণ করতে এবার ও উপচে পড়া ভিড়। পরিবার ও প্রিয়জনদের সাথে নিয়ে মেতেছেন আনন্দ-উচ্ছ্বাসে। আজ বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন তারা।

 

যুগল সৌন্দর্য লালনশাহ্ সেতু ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে পদ্মা পাড়ে ভীড় জমাচ্ছে।

 

একদিকে অপরূপ সৌন্দর্য আর অপরদিকে প্রজন্মের সাক্ষী হয়ে ১০৯ বছরের ঐতিহ্যবাহী দেশের বৃহত্তম হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও পাশেই লালন শাহ সেতু দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

 

তাই রূপ-মাধুর্যে ভরা পাকশীর জোড়া সেতু এলাকায় মানুষের দারুণ ভিড়। এছাড়াও নৌকায় চরে এপাড় ভেড়ামারায় পদ্মা পাড়ে মনি পার্ক ও আধ্যাত্মিক সাধক পুরুষ হযরত সোলাইমান শাহ্ চিশতী (র:) মাজার দেখার জন্য সেখানে ও পরিবার-পরিজন নিয়ে ভীড় করে দেখা গেছে।

 

এছাড়াও পাকশী মানুষের চাহিদার অন্যতম কারণ-ঐতিহ্যবাহী পাকশী পেপার মিল, ফুরফুরা শরীফ, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর, বিশাল অঞ্চল নিয়ে পশ্চিম রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয়, বিবিসি বাজার ,পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্র ও রিসোর্টসহ ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থাপনা।

 

এখানকার প্রকৃতির রূপ দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থী আব্দুল ছালামশাহ্ তিনি বলেন, পদ্মা নদীর ওপর লালরঙা হার্ডিঞ্জ ব্রিজটি শত বছর পার হলে ও এ ব্রিজের সৌন্দর্য এক চিলতেও নষ্ট হয়নি শুনে ঘুরতে এসেছি।

 

নতুন বছরে ঘুরতে দর্শনার্থীর ঢল নেমেছে পাবনার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু এলাকায়।

 

পদ্মার পাদ দেশে নির্মাণাধীন রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু মিলে এই এলাকা যেন সৌন্দর্যের আধারে পরিণত হয়েছে।

 

হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে ঘুরতে আসা দিনাজপুরের নজরুল ইসলাম নামের এক যুবক জানান, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, লালন শাহ সেতু ও রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও জিকে সেচ প্রকল্প দেখতে এসেছি। খুবই ভালো লাগলো। দিনের আলো বাড়লে এই এলাকায় সমাগম আরও বাড়বে।

 

পিয়াস নামের আরেক দর্শনার্থী বলেন, পদ্মা নদীর ঢেউ দর্শনার্থীদের হৃদয়কে ভরিয়ে দিয়েছে। ব্রিজের পাশাপাশি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও লালন শাহ সেতু এখানকার সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।


প্রিন্ট