ঢাকা , শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo তানোরে বিএনপি নেতার গাড়ী বহরে হামলার ঘটনায় মামলা Logo আলফাডাঙ্গার সেই আলোচিত ইউপি সদস্য গ্রেফতার Logo ফরিদপুরে কৃষি বিপণন সম্পর্কিত আইন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo লালপুর বাগাতিপাড়া উপজেলাকে মডেল এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হবেঃ -তাইফুল ইসলাম টিপু Logo নলছিটি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা Logo কালুখালীতে বিএনপির সচেতনতামূলক পথসভা Logo নাটোরে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের এক টাকায় স্বাস্থ্যসেবা Logo রূপগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের তৈরি সংগঠন প্রগতির কার্যালয়ে আগুন Logo খাগড়াছড়িতে জাবারাং এর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Logo সমিতির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বিএনপির কর্মীসভায় মঞ্চে ওসি হাত ঝাঁকিয়ে বক্তব্য দিয়ে ভাইরাল

ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার

বিএনপির কর্মীসভায় দলীয় নেতার মতো বক্তব্য দিয়ে ভাইরাল হয়েছেন কুষ্টিয়ার খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাঈনুল ইসলাম। কুষ্টিয়ায় বিএনপির কর্মীসভায় মঞ্চে উঠে তিনি দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

 

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জানিপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এই কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওসি শেখ মাঈনুল ইসলাম মঞ্চে উঠে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “১৫-১৬ বছর কীভাবে, কোথায় ছিলেন, কেমন কষ্ট করেছেন, আপনারা তা আমার চেয়ে ভালো জানেন। আপনাদের এমন অনেক কিছু আমি নিজেও অনুভব করেছি।” তিনি আরও বলেন, “আমি পুলিশ, তবে আমি নিজেও অনেক নির্যাতিত ছিলাম। ৫ তারিখের গণঅভ্যুত্থান না হলে আমি এখানে ওসি হতে পারতাম না। এটা আমি সব সময় বলি এবং স্বীকার করি।”

 

ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই এর প্রতি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, কারণ একজন পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষ থেকে এমন রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া সাধারণত অপেশাদার হিসেবে বিবেচিত হয়।

 

ওসি শেখ মাঈনুল ইসলাম তার বক্তব্যে আরও বলেন, “অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার পর আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন। এখন আপনাদের উচিত সেই সুযোগটি সদ্ব্যবহার করা। কোনো ঝামেলা সৃষ্টি করবেন না, অন্যথায় তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিতে পারে।” এরপর তিনি বক্তব্য দেন, “এই প্রোগ্রামটা আপনাদেরই, আমি কেন পুলিশ আসবো? তারপরও আমি এসেছি, কারণ আমার থানার সামনে।” তিনি বিএনপির নেতাদের অনুরোধ করেন, “সব ধরনের হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে যান।”

 

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই এ বক্তব্যকে অপেশাদার এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে এমন মন্তব্য না করার পরামর্শ দিয়েছেন। পরে, একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, যে উদ্দেশ্যটি ছিল দুই বিএনপি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করা, সে কারণে এমন বক্তব্য দিয়েছেন ওসি।

 

তবে তিনি নিজের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “বিএনপির দুই পক্ষকে থামাতে আমি এমন বক্তব্য দিয়েছি, আর এর বাইরে আমার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।”


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

তানোরে বিএনপি নেতার গাড়ী বহরে হামলার ঘটনায় মামলা

error: Content is protected !!

বিএনপির কর্মীসভায় মঞ্চে ওসি হাত ঝাঁকিয়ে বক্তব্য দিয়ে ভাইরাল

আপডেট টাইম : ৮ ঘন্টা আগে
ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার :

ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার

বিএনপির কর্মীসভায় দলীয় নেতার মতো বক্তব্য দিয়ে ভাইরাল হয়েছেন কুষ্টিয়ার খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাঈনুল ইসলাম। কুষ্টিয়ায় বিএনপির কর্মীসভায় মঞ্চে উঠে তিনি দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

 

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জানিপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এই কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওসি শেখ মাঈনুল ইসলাম মঞ্চে উঠে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “১৫-১৬ বছর কীভাবে, কোথায় ছিলেন, কেমন কষ্ট করেছেন, আপনারা তা আমার চেয়ে ভালো জানেন। আপনাদের এমন অনেক কিছু আমি নিজেও অনুভব করেছি।” তিনি আরও বলেন, “আমি পুলিশ, তবে আমি নিজেও অনেক নির্যাতিত ছিলাম। ৫ তারিখের গণঅভ্যুত্থান না হলে আমি এখানে ওসি হতে পারতাম না। এটা আমি সব সময় বলি এবং স্বীকার করি।”

 

ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই এর প্রতি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, কারণ একজন পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষ থেকে এমন রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া সাধারণত অপেশাদার হিসেবে বিবেচিত হয়।

 

ওসি শেখ মাঈনুল ইসলাম তার বক্তব্যে আরও বলেন, “অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার পর আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন। এখন আপনাদের উচিত সেই সুযোগটি সদ্ব্যবহার করা। কোনো ঝামেলা সৃষ্টি করবেন না, অন্যথায় তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিতে পারে।” এরপর তিনি বক্তব্য দেন, “এই প্রোগ্রামটা আপনাদেরই, আমি কেন পুলিশ আসবো? তারপরও আমি এসেছি, কারণ আমার থানার সামনে।” তিনি বিএনপির নেতাদের অনুরোধ করেন, “সব ধরনের হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে যান।”

 

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই এ বক্তব্যকে অপেশাদার এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে এমন মন্তব্য না করার পরামর্শ দিয়েছেন। পরে, একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, যে উদ্দেশ্যটি ছিল দুই বিএনপি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করা, সে কারণে এমন বক্তব্য দিয়েছেন ওসি।

 

তবে তিনি নিজের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “বিএনপির দুই পক্ষকে থামাতে আমি এমন বক্তব্য দিয়েছি, আর এর বাইরে আমার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।”


প্রিন্ট