ঢাকা , শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সদরপুরে নববর্ষ উদযাপন প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত Logo এসএসসি পরিক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক Logo বোয়ালমারীতে বাড়তি ভাড়া আদায় করায় গোল্ডেন লাইন পরিবহনকে জরিমানা Logo নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ৩ মামলায় আ’লীগের ৪৮ নেতাকর্মী কারাগারে Logo নড়াইলে সেনা অভিযানে দেশীয় অস্ত্র, ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক ৬ Logo মুকসুদপুরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এস এস সি পরীক্ষা Logo ফরিদপুরে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী বাধন র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার Logo প্রশ্ন পত্র ফাঁসে জড়িত শিক্ষক সালামের খুঁটির জোর কোথায় ? Logo পাটের জিনোম আবিষ্কারক মাকসুদুল আলমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে আলোচনা সভা Logo থানায় মামলা নিতে ওসির অনীহা, পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় পরিবারের আর্তনাদ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

হাসপাতালের বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টার থেকে ক্যাশ বাক্স ছিনতাই

কাজী নূর, যশোর জেলা প্রতিনিধি

যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টার থেকে ক্যাশ বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের হিসাব সহকারী কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

 

হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, যশোর জেনারেল হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের গেট ভেতর থেকে বন্ধ করে তিনজন ব্যক্তি—নবদ্বীপ ঢালী, প্রিয়ব্রত দে ও একজন অপরিচিত ব্যক্তি—বহির্বিভাগের টিকিট বিক্রি করছিলেন। তারা সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ১,৫৩১টি টিকিট বিক্রি করেন, যার মূল্য দাঁড়ায় ১৫,৩১০ টাকা (প্রতি টিকিট ১০ টাকা হারে)।

 

এ সময়, হাসপাতালের হিসাব সহকারী কামাল হোসেন টিকিট কাউন্টারে প্রবেশ করে নবদ্বীপ ঢালী ও প্রিয়ব্রত দে’র কাছে ২ হাজার টাকা দাবি করেন। তবে টিকিট কাউন্টার ব্যবস্থাপনা দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানান, সরকারি ক্যাশের হিসাব থেকে ১ টাকাও দিতে পারবেন না। এর পর তাদের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে কামাল হোসেন ক্যাশ বাক্সটি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান।

 

বিষয়টি জানাজানি হলে নবদ্বীপ ঢালী তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ড. হারুন অর রশিদকে বিষয়টি অবহিত করেন। তত্ত্বাবধায়ক হাসপাতালের হিসাব সহকারীকে তার কক্ষে ডেকে ক্যাশ বাক্সটি গোনেন। সাধারণত একটি ক্যাশ বাক্সে ৬,৪৬০ টাকা থাকার কথা থাকলেও, সেখানে ৫,৯৫০ টাকা পাওয়া যায়। বাকি ৫১০ টাকা নিজের পকেট থেকে দিয়ে হিসাব ঠিক করেন তত্ত্বাবধায়ক।

 

এ বিষয়ে হিসাব সহকারী কামাল হোসেন বলেছেন, “কাউন্টার থেকে ক্যাশ বক্স ছিনতাই করেছি কি না, তা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। যে যাকে প্রশ্ন করবে, সে তার কাছে উত্তর দিয়েছে।”

 

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ড. হারুন অর রশিদ বলেন, “ক্যাশ বক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা সত্য, তবে কামাল হোসেন ৫১০ টাকা নিজের পকেট থেকে দিয়ে হিসাব মিটিয়েছেন। তিনি মাদকাসক্ত, যার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।”

 

আরও পড়ুনঃ তানোরের গোল্লাপাড়া বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন

 

এই ঘটনা নিয়ে হাসপাতালের মধ্যে চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও, প্রশাসনিক পক্ষ থেকে এখনও কোনো তীব্র ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সদরপুরে নববর্ষ উদযাপন প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

হাসপাতালের বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টার থেকে ক্যাশ বাক্স ছিনতাই

আপডেট টাইম : ১২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
কাজী নূর, যশোর জেলা প্রতিনিধি :

কাজী নূর, যশোর জেলা প্রতিনিধি

যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টার থেকে ক্যাশ বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের হিসাব সহকারী কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

 

হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, যশোর জেনারেল হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের গেট ভেতর থেকে বন্ধ করে তিনজন ব্যক্তি—নবদ্বীপ ঢালী, প্রিয়ব্রত দে ও একজন অপরিচিত ব্যক্তি—বহির্বিভাগের টিকিট বিক্রি করছিলেন। তারা সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ১,৫৩১টি টিকিট বিক্রি করেন, যার মূল্য দাঁড়ায় ১৫,৩১০ টাকা (প্রতি টিকিট ১০ টাকা হারে)।

 

এ সময়, হাসপাতালের হিসাব সহকারী কামাল হোসেন টিকিট কাউন্টারে প্রবেশ করে নবদ্বীপ ঢালী ও প্রিয়ব্রত দে’র কাছে ২ হাজার টাকা দাবি করেন। তবে টিকিট কাউন্টার ব্যবস্থাপনা দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানান, সরকারি ক্যাশের হিসাব থেকে ১ টাকাও দিতে পারবেন না। এর পর তাদের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে কামাল হোসেন ক্যাশ বাক্সটি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান।

 

বিষয়টি জানাজানি হলে নবদ্বীপ ঢালী তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ড. হারুন অর রশিদকে বিষয়টি অবহিত করেন। তত্ত্বাবধায়ক হাসপাতালের হিসাব সহকারীকে তার কক্ষে ডেকে ক্যাশ বাক্সটি গোনেন। সাধারণত একটি ক্যাশ বাক্সে ৬,৪৬০ টাকা থাকার কথা থাকলেও, সেখানে ৫,৯৫০ টাকা পাওয়া যায়। বাকি ৫১০ টাকা নিজের পকেট থেকে দিয়ে হিসাব ঠিক করেন তত্ত্বাবধায়ক।

 

এ বিষয়ে হিসাব সহকারী কামাল হোসেন বলেছেন, “কাউন্টার থেকে ক্যাশ বক্স ছিনতাই করেছি কি না, তা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। যে যাকে প্রশ্ন করবে, সে তার কাছে উত্তর দিয়েছে।”

 

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ড. হারুন অর রশিদ বলেন, “ক্যাশ বক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা সত্য, তবে কামাল হোসেন ৫১০ টাকা নিজের পকেট থেকে দিয়ে হিসাব মিটিয়েছেন। তিনি মাদকাসক্ত, যার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।”

 

আরও পড়ুনঃ তানোরের গোল্লাপাড়া বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন

 

এই ঘটনা নিয়ে হাসপাতালের মধ্যে চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও, প্রশাসনিক পক্ষ থেকে এখনও কোনো তীব্র ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।


প্রিন্ট