ঢাকা , সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নোয়াখালী-৪ সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী রিমান্ড শেষে কারাগারে

বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতের বিচারক ইকবাল হোসাইন এই আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. সাবজেল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, গত মঙ্গলবার ১ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৭ এর একটি দল।
পুলিশ জানায়, দুই দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সুধারাম থানা থেকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রটে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে রিমান্ড আবেদন বা অন্য কোনো শুনানি না থাকায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর তাকে কড়া নিরাপত্তায় জেলা কারাগারে পৌঁছে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীতে ২০১৩ সালে ট্রাক শ্রমিক খোকন নিহতের ঘটনায় চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর একরামুল করিম চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে আওয়ামী লীগের ৫৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। খোকনের বাবা মজিবুল হক বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় এ মামলা করেন। ওই মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালনের জন্য নোয়াখালীর সদর উপজেলার দত্তেরহাটের দত্ত বাড়ির মোড়ে জমায়েত হন বিএনপি-জামায়াতের কর্মী-সমর্থকরা। খোকন সে সময় নিজ বাড়ি থেকে দত্তেরহাট শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে যাচ্ছিলেন।
সেখানে সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, সাবেক সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন জেহান, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, নোয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেলসহ আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি-জামায়াতের মিছিলে হামলা চালায়। সে সময় একরামুলসহ অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে খোকন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

নোয়াখালী-৪ সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী রিমান্ড শেষে কারাগারে

আপডেট টাইম : ১১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
মোস্তফা আলী রিমন, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি :
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতের বিচারক ইকবাল হোসাইন এই আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. সাবজেল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, গত মঙ্গলবার ১ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৭ এর একটি দল।
পুলিশ জানায়, দুই দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সুধারাম থানা থেকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রটে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে রিমান্ড আবেদন বা অন্য কোনো শুনানি না থাকায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর তাকে কড়া নিরাপত্তায় জেলা কারাগারে পৌঁছে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীতে ২০১৩ সালে ট্রাক শ্রমিক খোকন নিহতের ঘটনায় চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর একরামুল করিম চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে আওয়ামী লীগের ৫৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। খোকনের বাবা মজিবুল হক বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় এ মামলা করেন। ওই মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালনের জন্য নোয়াখালীর সদর উপজেলার দত্তেরহাটের দত্ত বাড়ির মোড়ে জমায়েত হন বিএনপি-জামায়াতের কর্মী-সমর্থকরা। খোকন সে সময় নিজ বাড়ি থেকে দত্তেরহাট শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে যাচ্ছিলেন।
সেখানে সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, সাবেক সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন জেহান, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, নোয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেলসহ আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি-জামায়াতের মিছিলে হামলা চালায়। সে সময় একরামুলসহ অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে খোকন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

প্রিন্ট