ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার রেলস্টেশন এলাকায় রেলের জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ প্রক্রিয়া স্থানীয়দের বাধার মুখে পন্ড হয়ে যায়। পরে রেল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন সেখান থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে কতৃপক্ষ। তবে দুপুর আড়াইটার দিকে পৌরসভার শিবপুর রেলগেট এলাকায় দোকান ও বাড়িঘর উচ্ছেদ করতে গেলে স্থানীয় লোকজন রেলওয়ে কতৃপক্ষকে বাঁধা দেয়।
এ সময় বাধার মুখে রেলওয়ে কতৃপক্ষ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি, থানা পুলিশ ও রেলওয়ে পুলিশ, নিরাপত্তা কর্মী নিজেদের নিরাপদ রাখতে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে আশ্রয় নেন।
পাকশী অঞ্চলের রেলওয়ের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, উচ্ছেদের আগেই রেলওয়ে কতৃপক্ষ মাইকিং করে সকলকে সতর্ক করিয়ে দেন। বোয়ালমারী রেলস্টেশনের আশপাশ থেকে অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলেন। এরপরও অবৈধ দখলকারীরা তাদের দখলকৃত দোকান ও ঘরের মালামাল সরিয়ে নেননি।
উচ্ছেদ অভিযানে স্থানীয়দের বাধাদান প্রসঙ্গে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযানে আসে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষদের বলা হয়েছিল যাদের বৈধভাবে লিজ নেয়া বা আবেদন করা আছে, তাদের যেন উচ্ছেদ না করা হয়। পরে শুনেছি তাদের দোকান বা ঘর উচ্ছেদ করতে গেলে স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বাধা প্রদান করে। পরে আমার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেলওয়ে কর্তৃপক্ষদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসে।
এই উচ্ছেদ অভিযানে ১২ থেকে ১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টিনের ঘর ভেঙে দেওয়া হয়। বোয়ালমারীর পৌরসভার শিবপুর রেলগেট এলাকার বাসিন্দা আলামিন মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, আমার ব্যক্তি মালিকানা জমিতে নির্মাণ করা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অন্যায়ভাবে ভেঙ্গে দেয় তারা।
তিনি বলেন, আশে পাশে আরো কয়েকটি দোকান একই ভাবে ভাঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষ। পরে বিষয়টির প্রতিবাদ করা হয়।
প্রিন্ট