কুষ্টিয়ার খোকসায় ৬০টি পূজামণ্ডপে মহাসপ্তমীতে জমে উঠেছে শারদীয় দুর্গোৎসব। গত বুধবার মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। শিশিরভেজা শরতের কাশফুলের কোমল শুভ্রতায় প্রকৃতির বুকে অনাবিল আনন্দের বন্যা নিয়ে এসেছে এই উৎসব।
প্রতি বছরই খোকসায় মাতৃরূপী শ্রীশ্রীদুর্গাদেবীর আরাধনা উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় এবং এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আগামী ১৩ অক্টোবর রবিবার বিজয় দশমীর মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হবে।
পুলিশ প্রশাসন ও খোকসা পূজা উদযাপন কমিটির সূত্রে জানা যায়, এ বছর ৬০টি পূজামণ্ডপে প্রতিমা তৈরী ও আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপন হচ্ছে। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জানান, “আমরা সবাই মিলে মাতৃ আরাধনায় নিজেদের সমর্পণ করতে পেরে আনন্দিত।” তিনি আগামী দিনগুলোতে সার্বজনীন দুর্গোৎসব সুন্দর ও সার্থক করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র মালাকার বলেন, “আমি আশা করি, আপামর জনসাধারণ সকল দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে পূজারী শুভদিনে মাতৃ আরাধনায় নিজেকে সমর্পণ করবে।” তিনি সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
গত বছর ৬৩টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করা হয়েছিল। এ বছর বৈরী আবহাওয়ার কারণে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ৬০টি পূজামণ্ডপে দুর্গা উৎসব পালন করছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইরুফা সুলতানা বলেন, “ইতিমধ্যে মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”
থানা অফিসার ইনচার্জ আননুর জায়েদ জানান, “পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনগত সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে পূজা মন্দিরে একজন এসআই-এর নেতৃত্বে টহল পুলিশ ও আনসার রাখা হয়েছে।” তিনি শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রিন্ট