নাগেশ্বরী মনিয়ারহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত স্লিপের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে প্রভাব খাটিয়ে একই প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করছেন খাদিজা সুলতানা কেয়া।
কথিত উপজেলা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনর প্রভাব খাটিয়েও বহাল তবীয়তে এখানো আছেন
স্লিপের টাকা আত্মসাৎকারী প্রধান শিক্ষিকা কেয়া।
বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ স্লিপের টাকা আত্মসাৎ ও প্রতিষ্ঠানের পুরাতন মালামাল বিক্রয় করা টাকা আত্মসাৎদের অভিযোগ সহ নানা অভিযোগ উঠেছে মনিয়ার হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও কমিটির বিরুদ্ধে।
বিভিন্ন সময় বদলীর আদেশ হলেও স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে আদেশ প্রত্যাহার করে স্বপ্রতিষ্ঠানে থাকেন দূর্নীতির স্বার্থে।
প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা সুলতানা কেয়া‘র দূর্নীতির কু-কৃর্তী ঢাকতে নিজের পছন্দ মত লোক দিয়ে বার বার নিয়ম বর্হিভূত ভাবে গোপনে কমিটি গঠন করে। বিগত ১০ বছরে বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত স্লিপের টাকা উন্নয়নের খাতে ব্যয় না করে আত্মসাৎদের অভিযোগ ওঠেছে। বরাদ্দ অর্থের ব্যয়ের হিসাব জন সম্মুখে প্রকাশ ও বিগত সকল কমিটির সদস্যদের যোগসাজশে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দূর্নীতির অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছে অবিভাবক ও সচেতনমহল ।
মনিয়ার হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দীর্ঘ্য ১০ বছর ধরে চলা অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করছে অবিভাবক ও এলাকাবাসী ।
সর্বশেষ ২০২১ সালে এলাকাবাসী ও সচেতন অবিভাবকদের প্রতিবাদের চাপে পড়ে সিলেকশনে একটি কমিটি গঠন হলেও প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা সুলতানা কেয়া‘র পছন্দ মত না হওয়ায় পুরনায় কিছু অসাধু ব্যক্তিদের দিয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে সভাপতি করে এডহক কমিটি গঠন করে বিদ্যালয়কে দুর্নীতির আর্তুরঘর বানিয়েছে।
বিদ্যালয়ের অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে অবিভাবকদেরকে জামায়াত শিবির ট্যাগ লাগিয়ে মামলার হুমকি দিতো। ফলে মামলার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস দেখাত না কেয়ার বিরুদ্ধে।
স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর ভোল্ট পাল্টিয়ে হাসনাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও অত্র বিদ্যালয়ের সাবেক ভুয়া ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রুহুল আমিনের ছত্রছায়ায় স্বরুপে ফিরেছে খাদিজা সুলতানা কেয়া।
অতীতে কেয়ার বিরুদ্বে সহকারী শিক্ষিকাকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে মাতৃত্বকালীন ভুয়া ছুটি (অন্যের ধার করা সন্তানকে) নিজের সন্তান দেখিয়ে ছুটি প্রদানের অভিযোগ থাকলেও সেই সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও আওয়ামী দলীয় দাপটে বহাল তবীয়তে থেকে যান কেয়া।
সে সময় কেয়ার বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করেনি কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও প্রধান শিক্ষিকা ও সহকারী শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঠিক সময়ে ও নিয়মিত না আসা, পাঠদান ঠিক মত না করা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শ্রেনীকক্ষে কমলমতি শিশুদের পাঠদান,গরমে সিলিং ফ্যানের নেই কোন ব্যবস্থা,প্রাক প্রাথমিক শাখায় শেখন শেখানো নেই কোন উপকরণ। ১৬ ডিসেম্বর,বার্ষিক ক্রিয়া প্রতিযোগিতাসহ কোন উৎসবেই পালন করা হয় না অত্র বিদ্যালয়ে এমনটি দাবি করেছে এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার লুতফর রহমান বলেন অভিযোগের বিষয় সহকারী শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সহকারী শিক্ষা অফিসার রাশেদুল হক মন্ডলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অভিযোগের আলোকে বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি, সমাধানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয় জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সিব্বির আহাম্মেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানায় অভিযোগের আলোকে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রিন্ট