নাটোরে লালপুরে বিলমাড়ীয়া ও আড়বাব ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাগজ কলমে চিকিৎসক পদায়ন থাকলেও সেখানে বসেন না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসেই চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে এখানে ১জন মেডিকেল অফিসার, ১ জন মিডওয়াইফ, ১জন উপ-সহকারী, ১জন ফার্মাসিস্ট, ও ১জন এম,এল,এস,এস থাকার কথা। কিন্তু বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২১-২২ আগষ্ট) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় গ্রামীণ এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চলছে, শুধু এমএলএসএস দিয়ে। সবমিলিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থা।
এখানকার জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগই গ্রামের নিম্ন আয়ের নদী ভাঙ্গা ও কৃষক। রোগীদের যাতায়াত ও আর্থিক কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে বড় ভরসা হলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন গ্রামের নিম্নআয়ের মানুষজন।
স্থানীয় নাগশোষা গ্রামের মাসুদ রানা জানান, এখানে ডাঃ হানিয়ারা নামে ডাক্তার আছেন বলে শুনেছি কিন্তু এসে পাইনা একদিনও, শারীরিক যে কোনো সমস্যা হলে আমাদের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয়। তিনি আরও বলেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দেরিতে খোলা হলেও নির্দিষ্ট সময়ের আগে বন্ধ করে দেয়।
উপজেলা আরেটি প্রতিষ্ঠান আড়বাব ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেম অবস্থা এখানেও ১জন মেডিকেল অফিসার, ১ জন মিডওয়াইফ, ১জন উপ-সহকারী, ১জন ফার্মাসিস্ট, ও ১জন উপ- সহকারী মেডিকেল অফিসার একলাসুর রহমানের ডিউটি থাকলেও তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডিউটি করেন।
তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আছে তিনি ম্যাক্সিমাম রোগীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ বসে সরাসরি বলেন বাহিরে পাইভেট প্রতিষ্ঠান ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিয়ে আসেন। সে স্থানীয় হওয়ায় তাকে কেউ কিছু বলার মত ক্ষমতাও রাখে না।
আড়বাব উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার একলাছুর রহমান বলছেন আমরা টি এইচ এ এর আন্ডারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ কাজ করি আমাদের ওখানে অফিস নেই বসার জায়গা নেই।
বিলমাড়িয়ার উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান তিনি ব্যক্তিগত কাজে পাবনা আছেন। ছুটি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি তার সদউত্তর দিতে পারেনি।
- আরও পড়ুনঃ মাগুরাতে বদলি আদেশ পাওয়ার পর পেছনের তারিখে ফাইলপত্র ও ব্যাংক চেক স্বাক্ষরকালে ডিসির বাসভবন ঘেরাও
আরও জানা যায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রেটি উন্নত চিকিৎসা দেয়ার লক্ষ্যে ডাঃ হানিয়ারা খাতুন নামে একজন মেডিকেল অফিসারের পদায়ন থাকলেও তিনি নিয়মিত বাসেন না, এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ওখানে সপ্তাহে দুইদিন যায় বাকি দিনগুলো স্যারের নির্দেশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটি করি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এ,কে,এম শাহাব উদ্দিন জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটের কারণে, মেডিকেল অফিসারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটি করানো হয়।
প্রিন্ট