শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বোয়ালমারী পৌরসভা ও উপজেলা শাখার নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল করেন ৫ আগষ্ট সোমবার। আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হওয়ায় বিক্ষুব্ধ জনতা বোয়ালমারীতে ভাস্কর্য ও আওয়ামীলীগ অফিস ভাংচুর করেন।
সেইসাথে বোয়ালমারী থানার সকল পুলিশ বাহিনী না থাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয় ও আতংক বিরাজ করছে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বোয়ালমারীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও জানমালের নিরাপত্তার জন্য ৭ আগষ্ট বুধবার মাগরীবের নামাজের পরে বোয়ালমারী বাজারে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাকর্মীদের সাথে দেখা করে খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের আশ্বস্ত করেন বোয়ালমারী উপজেলা ও পৌরসভা জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতারা। জামায়াত-শিবিরের নেতারা বাজারে হিন্দুদের প্রত্যেকটা দোকানে গিয়ে তাদের সাথে সাক্ষাত করেন এবং বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা শ্যামল কুমার সাহার সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় জামায়াত নেতারা শ্যামল কুমার সাহাকে আশ্বস্ত করেন যে, হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করবে। আপনারা আমাদের ভাই। আমরা মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করতে চাই। আপনাদের নিরাপত্তা দেয়া আমাদের ইবাদতের অংশ৷ আপনাদের ওপরে কেউ হামলা করতে পারবে না।
এতে স্বস্তি বোধ করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। তখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা তাদের এই মহতি উদ্যোগকে স্বাগতম জানান এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ বলেন, আপনারা আমাদের অভয় দেয়ায় আমাদের মনোবল দৃঢ় হয়ে গেল।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
এ সময় জামায়াতে ইসলামীর বোয়ালমারী উপজেলার আমীর মাওঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারী হাফেজ মাওঃ বিলাল হোসাইন, পৌরসভার আমীর মাওঃ সৈয়দ নিয়ামুল হাসান, সেক্রেটারী আবু নাছির মোল্যা, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাবেক নেতা হাফেজ মাওঃ সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, বোয়ালমারী বাজারে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আমজাদ হোসেন খাঁন, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ আলমগীর হোসেন সহ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রিন্ট