ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বাঘার পদ্মায় নিখোঁজ দুই শিশুর একজনের মরদেহ উদ্ধার

-ছবিঃ প্রতীকী।

রাজশাহী বাঘার পদ্মায় গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই শিশুর মধ্যে সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জান্নাত খাতুন (৮) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যজন এখনও নিখোঁজ। উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে তারা নিঁখোজ হয়।

গতকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে পদ্মা নদীর মানিকচর এলাকায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে শিশু জান্নাত (৮) ও ঝিলিক খাতুন (১২) নিখোঁজ হয়। জান্নাত কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাংলাবাজার চর এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম মন্ডলের মেয়ে। ঝিলিক চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পাটগ্রামের মনির হোসেনের মেয়ে। তারা পরস্পর ফুপাতো মামাতো বোন।

 

দুই শিশুর স্বজনরা জানান, মানিকচর গ্রামের আবদুল মান্নানের মেয়ের সঙ্গে নূর মোহাম্মদের ছেলে বিয়ে হয়েছে। বিয়ের দাওয়াত খেতে সপরিবারে তারা কুষ্টিয়া থেকে ঈদের পর দিন বাঘা উপজেলায় বেড়াতে আসেন। দাওয়াত খেয়ে রোববার (১৪ এপ্রিল) তাদের নিজ নিজ বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা ছিল। তবে পদ্মা নদীর তীরে বাড়ি হওয়ায় ওই দুই শিশু গোসল করতে নামে। নদীতে নেমেই তারা নিখোঁজ হয়।

 

পরে স্বজনরা খুঁজে না পেলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। রোববার (১৪ এপ্রিল) দিনভর রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ডুবুরি দল নিখোঁজ শিশুদের সন্ধানে কাজ করে। তাদের সন্ধান না পেয়ে রাতে উদ্ধার তৎপরতা সাময়িক বন্ধ করে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিখোঁজের স্থান থেকে একটু দূরেই জান্নাত নামের এক শিশুর মরদেহ ভেসে ওঠে।

 

স্থানীয়রা ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশকে খবর দেন। নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিশুর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। নিখোঁজ অপর শিশুর সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।

 

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক আক্তার হামিদ খান জানান, যেখানে শিশু দুটি নিখোঁজ হয়েছিল সেটি ভারতীয় সীমান্তর্তী দুর্গম চর এলাকা।

 

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জুয়েল বলেন, সকালে জান্নাত নামের এক শিশুর মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নৌ পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহটি নিজেদের হেফাজতে নেয়। আইন প্রক্রিয়া শেষে শিশুর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

বাঘার পদ্মায় নিখোঁজ দুই শিশুর একজনের মরদেহ উদ্ধার

আপডেট টাইম : ০৬:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪

রাজশাহী বাঘার পদ্মায় গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই শিশুর মধ্যে সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জান্নাত খাতুন (৮) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যজন এখনও নিখোঁজ। উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে তারা নিঁখোজ হয়।

গতকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে পদ্মা নদীর মানিকচর এলাকায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে শিশু জান্নাত (৮) ও ঝিলিক খাতুন (১২) নিখোঁজ হয়। জান্নাত কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাংলাবাজার চর এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম মন্ডলের মেয়ে। ঝিলিক চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পাটগ্রামের মনির হোসেনের মেয়ে। তারা পরস্পর ফুপাতো মামাতো বোন।

 

দুই শিশুর স্বজনরা জানান, মানিকচর গ্রামের আবদুল মান্নানের মেয়ের সঙ্গে নূর মোহাম্মদের ছেলে বিয়ে হয়েছে। বিয়ের দাওয়াত খেতে সপরিবারে তারা কুষ্টিয়া থেকে ঈদের পর দিন বাঘা উপজেলায় বেড়াতে আসেন। দাওয়াত খেয়ে রোববার (১৪ এপ্রিল) তাদের নিজ নিজ বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা ছিল। তবে পদ্মা নদীর তীরে বাড়ি হওয়ায় ওই দুই শিশু গোসল করতে নামে। নদীতে নেমেই তারা নিখোঁজ হয়।

 

পরে স্বজনরা খুঁজে না পেলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। রোববার (১৪ এপ্রিল) দিনভর রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ডুবুরি দল নিখোঁজ শিশুদের সন্ধানে কাজ করে। তাদের সন্ধান না পেয়ে রাতে উদ্ধার তৎপরতা সাময়িক বন্ধ করে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিখোঁজের স্থান থেকে একটু দূরেই জান্নাত নামের এক শিশুর মরদেহ ভেসে ওঠে।

 

স্থানীয়রা ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশকে খবর দেন। নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিশুর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। নিখোঁজ অপর শিশুর সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।

 

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক আক্তার হামিদ খান জানান, যেখানে শিশু দুটি নিখোঁজ হয়েছিল সেটি ভারতীয় সীমান্তর্তী দুর্গম চর এলাকা।

 

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জুয়েল বলেন, সকালে জান্নাত নামের এক শিশুর মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নৌ পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহটি নিজেদের হেফাজতে নেয়। আইন প্রক্রিয়া শেষে শিশুর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।