ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের ফুলবাড়ী উপজেলায় মতবিনিময় সভা Logo তানোরে যাতায়াতের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ Logo মাগুরাতে এসএমসি’র পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo রূপগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন Logo অর্থনৈতিক শুমারি উপলক্ষে স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo প্রত্যন্ত গ্রামে নারী ফুটবল প্রীতি ম্যাচ উপভোগ করলেন হাজারো দর্শক Logo বাঘায় উপজেলা শুমারি স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা Logo ফরিদপুরে দুই দিনব্যাপী তথ্য মেলা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নাগরপুরে প্রায় ২০ ঘন্টাই লোডশেডিং

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় জনজীবনে ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। এদিকে রমজানের শেষ পর্যায়ে সেহরি ও ইফতার সময়েও বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় স্থানীয় জনতা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। এতে লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণ হিসেবে টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন নাগরপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মোহাম্মদ মেশবাহুল হকে’র অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছে জনসাধারণ। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নাগরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপর তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণার প্রকাশ করছে স্থানীয় নেটিজনরা।
গয়হাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা কাঠ ব্যবসায়ী সানি ইসলাম বলেন, দিনে-রাতে মিলিয়ে ১৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। সেচের পাম্প ঠিকমতো চালানো যাচ্ছে না। মামুদনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. স্বপন মিয়া জানায়, আমাদের কোলকুষ্টিয়া গ্রামে ২০ থেকে ২১ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। নাগরপুর সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা নাইম হাসান জানায়, সদর এলাকায় ১২ ঘন্টাই লোডশেডিং হচ্ছে।
ধুবড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শাহজাদা হোসেন জানায়, কৃষ্ণদিয়ারকোল এলাকায় ২১ থেকে ২২ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ মিলছে না। বেকড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মানব তরফদার জানায়, বড়টিয়া গ্রামে ১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। সহবতপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আহাম্মেদ শাকিব জানায়, ইরতা এলাকায় ১৬ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। ভারড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন জানায়, আটাপাড়া ও আগদিঘুলিয়া সহ আশেপাশের গ্রামে ঠিকমতো ১ ঘন্টাও বিদ্যুৎ সরবরাহ মিলছে না।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নাগরপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মোহাম্মদ মেশবাহুল হক বলেন, বর্তমানে সারাদেশে এভাবেই লোডশেডিং চলছে। নাগরপুর উপজেলা ব্যতিক্রম নয়। বিদ্যুৎ চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম ফলে অতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে। পাশাপাশি ময়মনসিংহ জেলায় বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকার কারণে টাঙ্গাইল জেলার বিদ্যুৎ দিয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করা হচ্ছে। আশাকরি বৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ অবস্থা স্বাভাবিক হবে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

error: Content is protected !!

নাগরপুরে প্রায় ২০ ঘন্টাই লোডশেডিং

আপডেট টাইম : ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪
সোলায়মান, নাগরপুর উপজেলা (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় জনজীবনে ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। এদিকে রমজানের শেষ পর্যায়ে সেহরি ও ইফতার সময়েও বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় স্থানীয় জনতা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। এতে লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণ হিসেবে টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন নাগরপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মোহাম্মদ মেশবাহুল হকে’র অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছে জনসাধারণ। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নাগরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপর তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণার প্রকাশ করছে স্থানীয় নেটিজনরা।
গয়হাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা কাঠ ব্যবসায়ী সানি ইসলাম বলেন, দিনে-রাতে মিলিয়ে ১৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। সেচের পাম্প ঠিকমতো চালানো যাচ্ছে না। মামুদনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. স্বপন মিয়া জানায়, আমাদের কোলকুষ্টিয়া গ্রামে ২০ থেকে ২১ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। নাগরপুর সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা নাইম হাসান জানায়, সদর এলাকায় ১২ ঘন্টাই লোডশেডিং হচ্ছে।
ধুবড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শাহজাদা হোসেন জানায়, কৃষ্ণদিয়ারকোল এলাকায় ২১ থেকে ২২ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ মিলছে না। বেকড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মানব তরফদার জানায়, বড়টিয়া গ্রামে ১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। সহবতপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আহাম্মেদ শাকিব জানায়, ইরতা এলাকায় ১৬ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। ভারড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন জানায়, আটাপাড়া ও আগদিঘুলিয়া সহ আশেপাশের গ্রামে ঠিকমতো ১ ঘন্টাও বিদ্যুৎ সরবরাহ মিলছে না।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নাগরপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মোহাম্মদ মেশবাহুল হক বলেন, বর্তমানে সারাদেশে এভাবেই লোডশেডিং চলছে। নাগরপুর উপজেলা ব্যতিক্রম নয়। বিদ্যুৎ চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম ফলে অতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে। পাশাপাশি ময়মনসিংহ জেলায় বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকার কারণে টাঙ্গাইল জেলার বিদ্যুৎ দিয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করা হচ্ছে। আশাকরি বৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ অবস্থা স্বাভাবিক হবে।

প্রিন্ট