ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পরিবেশের জন্যে ঝুঁকি পাটকাঠি ছাই মিল বন্ধের দাবীতে মধুখালীতে মানববন্ধন Logo কুষ্টিয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের আয়োজনে দোয়া ও আলোচনা সভা Logo ফরিদপুরে দুইদিন ব্যাপী রিপোর্ট রাইটিং প্রশিক্ষনের উদ্বোধন Logo পাংশা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo সালথায় সনদ জালিয়াতি ও ভুয়া নিয়োগে একই প্রতিষ্ঠানে একাধিক শিক্ষকের চাকরি Logo লালপুরে আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ Logo রাজাপুরে ৫৩ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা, অজ্ঞাত ১৫০ Logo ঠাকুরগাঁওয়ে তিন নারী ও এক পুরুষকে আটক Logo ফরিদপুরে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভূরুঙ্গামারীতে অভাবে তারনায় এক দিনের কন্যা শিশুকে অন্যের হাতে দিয়ে দিলেন দম্পতি

ভূরুঙ্গামারীতে অভাবের তাড়নায় একদিন বয়সী কন্যা সন্তানকে অন্যের হাতে তুলে দিলেন বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের গনাইরকুটি গ্রামের সঠিবারি নামক এলাকায়। ওই গ্রামের মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম বেগম একদিন আগে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। অভাবের সংসারে সন্তানের ভরণ পোষণ দিতে না পারার শঙ্কায় একদিন বয়সী সন্তানকে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রতিবেশি এক মামাত বোনের হাতে তুলে দেন। এটি উক্ত দম্পতির পঞ্চম সন্তান বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী নাজমুল, শহিদুল ও আকবর আলী জানান, শফিকুলের নিজস্ব কোনো জমি ও ঘর বাড়ি নেই। সে অন্যের বাড়িতে থাকে। স্থলবন্দরে পাথর ভাঙা শ্রমিকের কাজ করে খুব কষ্ট করে সংসার চালায়। এই লোকের বর্তমানে ৩টি বাচ্চা আছে। এই নিয়ে দুটি মেয়ে বাচ্চা দত্তক দেয়।
শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১৩ বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছরের মাথায় প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। কয়েক বছর পর আরো একট ছেলের জন্ম হয়। এর পর আমার স্ত্রীর টাইফয়েড জ্বর হয়। তার পর থেকে স্ত্রী কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। এর কিছু দিন পরে আরো একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিলে সেটাকে এক প্রতিবেশির কাছে দত্তক দেই। পরের বছর চতুর্থ কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। ওই মেয়ের বয়স এখন ৩ বছর। এর পর গত শুক্রবার পঞ্চম সন্তান জন্ম নিলে শনিবার সকালে প্রতিবেশি এক নিঃসন্তান মামাতো বোনকে দেয়ার জন্য ওই মামার হাতে তুলে দেই।
শফিকুল আরো বলেন, আমি সোনাহাট স্থলবন্দরে পাথর ভাঙ্গা শ্রমিকের কাজ করি। আমার থাকার কোন ঘর নাই। অন্যরে বাড়িতে আশ্রিত থাকি। এই সামান্য আয় দিয়ে অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসা, ৩ সন্তানের ভরণ পোষণ ও সংসারের খরচ চালানো আমার পক্ষে সম্ভব না। তাই বাধ্য হয়ে বুকের ধনকে অন্যরে হাতে তুলে দিয়েছি।
শিশুকে দত্তক নেওয়া পরিবারের সদস্য আকবর আলী জানান, আমার মেয়ে ‘নিঃসন্তান হওয়ায় শিশুটিকে দত্তক নিয়েছি। আমার মেয়ে ঢাকায় থাকে।
সংস্লিষ্ট ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন বলেন, পূর্বে একটি সন্তান দত্তক দেয়ার কথা শুনেছি  কিন্তু আজকের বিষয়টা জানিনা তবে লোকটা খুব অভাবী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস বলেন  বিষয়টি আনি জানিনা তবে খোঁজ খবর নিবো।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পরিবেশের জন্যে ঝুঁকি পাটকাঠি ছাই মিল বন্ধের দাবীতে মধুখালীতে মানববন্ধন

error: Content is protected !!

ভূরুঙ্গামারীতে অভাবে তারনায় এক দিনের কন্যা শিশুকে অন্যের হাতে দিয়ে দিলেন দম্পতি

আপডেট টাইম : ০৭:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
আরিফুল ইসলাম জয়, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
ভূরুঙ্গামারীতে অভাবের তাড়নায় একদিন বয়সী কন্যা সন্তানকে অন্যের হাতে তুলে দিলেন বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের গনাইরকুটি গ্রামের সঠিবারি নামক এলাকায়। ওই গ্রামের মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম বেগম একদিন আগে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। অভাবের সংসারে সন্তানের ভরণ পোষণ দিতে না পারার শঙ্কায় একদিন বয়সী সন্তানকে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রতিবেশি এক মামাত বোনের হাতে তুলে দেন। এটি উক্ত দম্পতির পঞ্চম সন্তান বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী নাজমুল, শহিদুল ও আকবর আলী জানান, শফিকুলের নিজস্ব কোনো জমি ও ঘর বাড়ি নেই। সে অন্যের বাড়িতে থাকে। স্থলবন্দরে পাথর ভাঙা শ্রমিকের কাজ করে খুব কষ্ট করে সংসার চালায়। এই লোকের বর্তমানে ৩টি বাচ্চা আছে। এই নিয়ে দুটি মেয়ে বাচ্চা দত্তক দেয়।
শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১৩ বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছরের মাথায় প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। কয়েক বছর পর আরো একট ছেলের জন্ম হয়। এর পর আমার স্ত্রীর টাইফয়েড জ্বর হয়। তার পর থেকে স্ত্রী কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। এর কিছু দিন পরে আরো একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিলে সেটাকে এক প্রতিবেশির কাছে দত্তক দেই। পরের বছর চতুর্থ কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। ওই মেয়ের বয়স এখন ৩ বছর। এর পর গত শুক্রবার পঞ্চম সন্তান জন্ম নিলে শনিবার সকালে প্রতিবেশি এক নিঃসন্তান মামাতো বোনকে দেয়ার জন্য ওই মামার হাতে তুলে দেই।
শফিকুল আরো বলেন, আমি সোনাহাট স্থলবন্দরে পাথর ভাঙ্গা শ্রমিকের কাজ করি। আমার থাকার কোন ঘর নাই। অন্যরে বাড়িতে আশ্রিত থাকি। এই সামান্য আয় দিয়ে অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসা, ৩ সন্তানের ভরণ পোষণ ও সংসারের খরচ চালানো আমার পক্ষে সম্ভব না। তাই বাধ্য হয়ে বুকের ধনকে অন্যরে হাতে তুলে দিয়েছি।
শিশুকে দত্তক নেওয়া পরিবারের সদস্য আকবর আলী জানান, আমার মেয়ে ‘নিঃসন্তান হওয়ায় শিশুটিকে দত্তক নিয়েছি। আমার মেয়ে ঢাকায় থাকে।
সংস্লিষ্ট ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন বলেন, পূর্বে একটি সন্তান দত্তক দেয়ার কথা শুনেছি  কিন্তু আজকের বিষয়টা জানিনা তবে লোকটা খুব অভাবী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস বলেন  বিষয়টি আনি জানিনা তবে খোঁজ খবর নিবো।

প্রিন্ট