সংবাদ সম্মেলনে খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার বলেন, ইমামুল জোয়াদ্দার ওরফে এনামুল জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে সে রাতের বেলায় দু-তিনদিন রাড়–লী গ্রামের ষষ্টিতলা বাজার সংলগ্ন মাঠের পাশে ভিকটিম জাহানারা বেগমের বাড়ির দক্ষিণ পাশে মেহগুণি বাগানে নেশা করতে গিয়েছিল। গত ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে সে ওই বাড়ির কাছে গিয়ে দেখে ওই মহিলা একা জাল বুনছে। এনামুল পরিকল্পনা অনুযায়ী মাগরিবের নামাজের পর ঘরের সানসেট ধরে ছাদের উপরে উঠে সিঁড়িঘর দিয়ে নিচে নেমে সিঁড়ির নিচে ভাত দেখতে পায়। এরপর সে ভাতে চেতনানাশক ট্যাবলেট মিশিয়ে আসে। রাত ২টার দিকে ছাদ দিয়ে তার ঘরে প্রবেশ করে এনামুল। এ সময় ওই নারীর জ্ঞান ফিরে এলে সে তার মুখ চেপে ধরে চোখে—মুখে সুপার গ্লু লাগিয়ে দেয়।
একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হলে এনামুল শাবল দিয়ে তার ঘাড়ে আঘাত করে। এতে রক্তক্ষণ হওয়ার পর গৃহবধূ অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর এনামুল তার হাত-মুখ বেঁধে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। গৃহবধূর জ্ঞান ফিরে আসলে সে তার হাত খুলে ফেলে। তখন এনামুল রাগান্বিত হয়ে তার বুকে কামড় দেয়। এ সময় ওড়নার একপাশ দিয়ে পেছন থেকে হাত ও অন্যপাশ দিয়ে তার পা বাধে।
আরেকটি ওড়না দিয়ে তার মুখে বাধে। ভুক্তভোগীর গোঙানিতে পাশের বাড়ির একজন নারী চোর চোর বলে ঘরের বেড়ার টিনে বাড়ি দিলে এনামুল একটি মোবাইল ফোন ও কানের দুটি দুল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরের দিন এনামুল পার্শ্ববর্তী ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাজারে গিয়ে ৪ হাজার টাকায় কানের দুল বিক্রি করে।