ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফরিদপুরে কেরাম বোর্ডের ভাড়া বাবদ ১০ টাকা না দেয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন Logo পাংশায় ডায়াগনস্টিক এন্ড ক্লিনিক এ্যাসোসিয়েশনের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা Logo বাংলাদেশ ও ঘানার জন্য আইএইচডিএফ গ্লোবাল মেডিকেল ক্যাম্প ইনিশিয়েটিভ ঘোষণা Logo বোয়ালমারীতে অরক্ষিত রেলক্রসিং ট্রেনের ধাক্কায় নছিমন চালক নিহত Logo হাতিয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় চন্দ্রপাড়া দরবার শরীফে ওরছ অনুষ্ঠিত Logo চার দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ফরিদপুর ম্যাটস শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচী পালন Logo চট্টগ্রামের পটিয়ায় অপহরণের ঘটনা বৃদ্ধিতে জনমনে আতঙ্ক Logo নড়াইল পৌর বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে চলছে উৎসবের আমেজ, চলছে প্রার্থীদের জোর প্রচারণা Logo যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে টিউলিপের পদত্যাগ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সদরপুরে টেলিফোন গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে সংযোগ নেই দুই বৎসর

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানী লিমিটেড ( বিটিসিএল) এর সদরপুর উপজেলার গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। দীর্ঘ দুই বৎসর যাবত বন্ধ রয়েছে।
টেলিফোনের সংযোগ তারপরও প্রতি মাসে টেলিফোনের বিল গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় মোট সংযোগ রয়েছে ৬৮ টি। এর মধ্যে চালু রয়েছে মাত্র ১২ টি। বাকি ৫৬ টি টেলিফোনের সংযোগ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ দুই বৎসর যাবত। অথচ প্রতি মাসেই ১৭৩ টাকা করে প্রতি মাসে বিল গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। ভোগান্তির এখানেই শেষ নয় সদরপুর উপজেলায় টেলিফোনের একাউন্ট বন্ধ থাকার কারনে গ্রাহকদের টেলিফোনের বিল দিতে হচ্ছে ফরিদপুর গিয়ে। যেন মরার উপরে খরার ঘা।
সদরপুর উপজেলার আটরশি গ্রামের বি,টি,সিএল এর গ্রাহক সিরাজ মোল্যা বলেন, আমাদের টেলিফোনের সংযোগ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ দুই বৎসর যাবত। নেই টেলিফোনের তার নেই অফিসের জনবল। অথচ প্রতি মাসেই ১৭৩ টাকা করে বিল আসছে। আবার সেই বিল দিতে হয় ফরিদপুরে গিয়ে। এতে আমরা ডবল ভোগান্তির শিকার হচ্ছি, অথচ এর কোন প্রতিকার হচ্ছেনা। তিনি আরো বলেন সদরপুরে বি টি সি এল এর অফিস না থাকার কারনে আমরা অভিযোগ করারও জায়গা পাচ্ছিনা।
বিটিসিএল এর সদরপুর উপজেলার আটরশিতে অবস্থিত এক্সচেক্সে কতজন কর্মকর্তা কর্মচারি রয়েছে সেটাও জানেনা কেউ। উক্ত অফিসের লাইনম্যান নওয়াবালি কে মাঝে মধ্যে দেখা গেলেও আর কাউকেই দেখা যায়না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখানে কর্মরত ষ্টাফ রয়েছে ৪ জন। তবে অফিসে কার্যক্রম না থাকার কারনে বাকিরা নিয়মিত অফিসে আসেননা বলে জানা গেছে।
এছাড়াও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানী লিমিটেডের সদরপুর উপজেলা শাখা অফিসের সাইনবোর্ড না থাকার কারনে দেখে বোঝার উপায় নেই যে সেটা কিশের অফিস। অফিস আছে কিন্তু কাজ নেই, বিল আসছে প্রতিমাসে কিন্তু তার নেই, নেই সংযোগ, দীর্ঘদিন যাবৎ। তারপরেও প্রতি মাসে দিতে হচ্ছে টেলিফোন বিল। গ্রাহকদের এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে
ব্যাপারটি স্বরজমিনে তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবী জানিয়েছেন বিটিসিএল এর গ্রাহক সিরাজ মোল্যা।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ফরিদপুরে কেরাম বোর্ডের ভাড়া বাবদ ১০ টাকা না দেয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

error: Content is protected !!

সদরপুরে টেলিফোন গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে সংযোগ নেই দুই বৎসর

আপডেট টাইম : ০১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
শিমুল তালুকদার সদরপুর (ফরিদপুর) থেকে :
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানী লিমিটেড ( বিটিসিএল) এর সদরপুর উপজেলার গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। দীর্ঘ দুই বৎসর যাবত বন্ধ রয়েছে।
টেলিফোনের সংযোগ তারপরও প্রতি মাসে টেলিফোনের বিল গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় মোট সংযোগ রয়েছে ৬৮ টি। এর মধ্যে চালু রয়েছে মাত্র ১২ টি। বাকি ৫৬ টি টেলিফোনের সংযোগ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ দুই বৎসর যাবত। অথচ প্রতি মাসেই ১৭৩ টাকা করে প্রতি মাসে বিল গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। ভোগান্তির এখানেই শেষ নয় সদরপুর উপজেলায় টেলিফোনের একাউন্ট বন্ধ থাকার কারনে গ্রাহকদের টেলিফোনের বিল দিতে হচ্ছে ফরিদপুর গিয়ে। যেন মরার উপরে খরার ঘা।
সদরপুর উপজেলার আটরশি গ্রামের বি,টি,সিএল এর গ্রাহক সিরাজ মোল্যা বলেন, আমাদের টেলিফোনের সংযোগ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ দুই বৎসর যাবত। নেই টেলিফোনের তার নেই অফিসের জনবল। অথচ প্রতি মাসেই ১৭৩ টাকা করে বিল আসছে। আবার সেই বিল দিতে হয় ফরিদপুরে গিয়ে। এতে আমরা ডবল ভোগান্তির শিকার হচ্ছি, অথচ এর কোন প্রতিকার হচ্ছেনা। তিনি আরো বলেন সদরপুরে বি টি সি এল এর অফিস না থাকার কারনে আমরা অভিযোগ করারও জায়গা পাচ্ছিনা।
বিটিসিএল এর সদরপুর উপজেলার আটরশিতে অবস্থিত এক্সচেক্সে কতজন কর্মকর্তা কর্মচারি রয়েছে সেটাও জানেনা কেউ। উক্ত অফিসের লাইনম্যান নওয়াবালি কে মাঝে মধ্যে দেখা গেলেও আর কাউকেই দেখা যায়না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখানে কর্মরত ষ্টাফ রয়েছে ৪ জন। তবে অফিসে কার্যক্রম না থাকার কারনে বাকিরা নিয়মিত অফিসে আসেননা বলে জানা গেছে।
এছাড়াও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানী লিমিটেডের সদরপুর উপজেলা শাখা অফিসের সাইনবোর্ড না থাকার কারনে দেখে বোঝার উপায় নেই যে সেটা কিশের অফিস। অফিস আছে কিন্তু কাজ নেই, বিল আসছে প্রতিমাসে কিন্তু তার নেই, নেই সংযোগ, দীর্ঘদিন যাবৎ। তারপরেও প্রতি মাসে দিতে হচ্ছে টেলিফোন বিল। গ্রাহকদের এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে
ব্যাপারটি স্বরজমিনে তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবী জানিয়েছেন বিটিসিএল এর গ্রাহক সিরাজ মোল্যা।

প্রিন্ট