ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাগুরায় সরকারি রাস্তার গাছ বিক্রির অভিযোগ

বিধি বহির্ভূতভাবে সরকারি রাস্তার জমির গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাগুরা সদর উপজেলার গোয়ালবাথান ইউনিয়নের শিয়ালজুরি গ্রামের এনামুল মোল্লার বিরুদ্ধে । তিনি ওই গ্রামের হবিবার মোল্লার ছেলে।

 

পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে কাটা গাছগুলো দেখে এবং ব্যাপারির সাথে কথা বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

 

উপজেলার শিয়ালজুরি গ্রামের মধ্য দিয়ে নির্মিত কাঁচা রাস্তার পাশের ০৬ টি গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে সরজমিনে উপস্থিত বিক্রয়কৃত গছগুলো ক্রয় করা বেপারী জাকির হোসেন জানান শিয়ালজুরি গ্রামের হবিবার মোল্লার ছেলে এনামুলের নিকট থেকে ২৬০০ টাকা দিয়ে তিনি গাছগুলো ক্রয় করেছেন। সরকারি জায়গার গাছ কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ক্রয় বিক্রয় দন্ডনিয় অপরাধ- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান ক্রয়কৃত গাছ সরকারি জায়গার কি না সে বিষয়ে তিনি জানতেন না।

 

মুঠোফোনে গোপালগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাসিরুল ইসলাম মিলনের নিকট সরকারি রাস্তার জমির গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ফসলের ক্ষতি হচ্ছে তাই যাদের জমির পাশের রাস্তার গাছ, যারা লাগিয়েছে তারা কেটে বিক্রি করছে। তিনি আরও বলেন এত দেখে লাভ কি? লাখ লাখ টাকার জিনিস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাতে কিছু হয় না, এ-তো সামান্য গাছ।

 

 

মুঠোফোনে শত্রুজিৎপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ সুভাস চন্দ্র রায়ের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান রাস্তার গাছ কাটার সংবাদ পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে এস. আই কামরুজ্জামান কে পাঠানো হয়েছে। চেয়ারম্যান মুঠোফোনে এস.আই কামরুজ্জামান কে বলেছেন, ফসল নষ্ট হচ্ছে তাই জমির পাশের রাস্তার গাছ কাটার মৌখিক অনুমতি তিনি দিয়েছেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

মাগুরায় সরকারি রাস্তার গাছ বিক্রির অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩
মো: রনি আহমেদ রাজু, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি :

বিধি বহির্ভূতভাবে সরকারি রাস্তার জমির গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাগুরা সদর উপজেলার গোয়ালবাথান ইউনিয়নের শিয়ালজুরি গ্রামের এনামুল মোল্লার বিরুদ্ধে । তিনি ওই গ্রামের হবিবার মোল্লার ছেলে।

 

পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে কাটা গাছগুলো দেখে এবং ব্যাপারির সাথে কথা বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

 

উপজেলার শিয়ালজুরি গ্রামের মধ্য দিয়ে নির্মিত কাঁচা রাস্তার পাশের ০৬ টি গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে সরজমিনে উপস্থিত বিক্রয়কৃত গছগুলো ক্রয় করা বেপারী জাকির হোসেন জানান শিয়ালজুরি গ্রামের হবিবার মোল্লার ছেলে এনামুলের নিকট থেকে ২৬০০ টাকা দিয়ে তিনি গাছগুলো ক্রয় করেছেন। সরকারি জায়গার গাছ কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ক্রয় বিক্রয় দন্ডনিয় অপরাধ- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান ক্রয়কৃত গাছ সরকারি জায়গার কি না সে বিষয়ে তিনি জানতেন না।

 

মুঠোফোনে গোপালগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাসিরুল ইসলাম মিলনের নিকট সরকারি রাস্তার জমির গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ফসলের ক্ষতি হচ্ছে তাই যাদের জমির পাশের রাস্তার গাছ, যারা লাগিয়েছে তারা কেটে বিক্রি করছে। তিনি আরও বলেন এত দেখে লাভ কি? লাখ লাখ টাকার জিনিস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাতে কিছু হয় না, এ-তো সামান্য গাছ।

 

 

মুঠোফোনে শত্রুজিৎপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ সুভাস চন্দ্র রায়ের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান রাস্তার গাছ কাটার সংবাদ পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে এস. আই কামরুজ্জামান কে পাঠানো হয়েছে। চেয়ারম্যান মুঠোফোনে এস.আই কামরুজ্জামান কে বলেছেন, ফসল নষ্ট হচ্ছে তাই জমির পাশের রাস্তার গাছ কাটার মৌখিক অনুমতি তিনি দিয়েছেন।


প্রিন্ট