ফরিদপুরের সালথা থানার এক এস আইর বিরুদ্ধে এক যুবককে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার (২ অক্টোম্বর) রাতে গ্রামের প্রতিপক্ষ কয়েকজন তাকে বাড়ি থেকে তুলে এনে মারধর করে। পরে সালথা থানা পুলিশের এসআই তন্ময় চক্রবর্তীকে ফোনে ডেকে নিয়ে তার হাতে তুলে দেয়। সারা রাত থানা হাজতে রেখে পরের দিন মঙ্গলবার (৩ অক্টোম্বর) তাকে অন্য গ্রামের ২৭ সেপ্টেম্বর দায়েরকৃত একটি মামলায় আসামী দেখিয়ে আদালতে প্রেরন করে। ভুক্তভোগি আসামী উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কাদগী গ্রামের মৃত্যু কাঞ্চু মুন্সীর ছেলে আচমত মুন্সি (২৪) ।
এ ব্যাপারে ভোক্তভোগি আচমত মুন্সির বড় ভাই আলীম মুন্সি এর প্রতিকার চেয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ১ অক্টোম্বর কর্মস্থল থেকে আচমত বাড়িতে আসে বেড়াতে। তার পরের রাতে ট্রাকের ব্যাটারী চুরি করতে চোর আসে পাশের কাগদী বাজারে। স্থানীয় জনতা ওই চোর কে আটক করে মারধর করলে সে বলে হাসমত নামের একজন তাকে ভাড়া করে এনেছে।
কিন্তু স্থানীয়রা আচমত কে বাড়ি থেকে তুলে এনে মারধর করে পুলিশে খবর দিয়ে তুলে দেয়। কিন্তু আচমত যখন ওই চোরের মুখোমুখি হয়, তখন ওই চোর তাকে কখনও দেখেনি বা চিনেও না। নামের ভুল বুঝাবুঝির কারনে এমনটি হয়েছে অনেকে জানান। চুরি হওয়া ট্রাকের ব্যাটারির মালিক রেজাউল কোন মামলা না করায় আচমত কে অন্য গ্রামের মামলায় আসামী দেখিয়ে ৩ অক্টোম্বর তাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। আচমত মুন্সির বড় ভাই রবিউল মুন্সি বলেন, পুলিশ আমাদের গ্রাম্য প্রতিপক্ষ লোকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা খেয়ে আমার ভাইকে এই মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে।
কিন্তু অভিযুক্ত এস আই তন্ময় চক্রবর্তী অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, স্থানীয়রা চোর আটক করেছে বলে আমাকে ফোন করে। আমি ঘটনাস্থালে গিয়ে আসামী গ্রেফতার করিনি, স্থানীয়রা থানায় পৌছে দিয়ে গেছে। আর যে মামলায় আটক দেখানো হয়েছে সে মামলার দায়িত্বে আমি না অন্য অফিসার ।
সালথা থানার ওসি শেখ সাদিককে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রিন্ট