ঢাকা , রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রেমিকার বাসায় বেড়াতে এসে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা Logo যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃত্বে বকুল ও মিলন Logo তারেক জিয়া পরিষদের রাজবাড়ী জেলা শাখার আহবায়ক কমিটি অনুমোদন Logo শিক্ষার্থীরা অর্ধেক মারা যাওয়া জাতিকে জাগিয়েছেঃ -নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ Logo নোয়াখালী সুবর্ণচরে গাছ থেকে পড়ে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু Logo তানোরে আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে জমি দখলের চেষ্টা Logo চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনের তফসলি ঘোষণা Logo কালুখালীর রতনদিয়া ইউনিয়নে বিএনপির কর্মী সম্মেলন Logo সদরপুরে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo দেশে প্রশাসনের প্রতিটি রন্ধে রন্ধে আওয়ামী লীগের পেতাত্মারা রয়েছেঃ -তাইফুল ইসলাম টিপু
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফের রাজপথে মুখোমুখি

সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রস্তুতি পুলিশ র‌্যাবের

হঠাৎ মগবাজারের ককটেল বিস্ফোরণ ভাবিয়ে তুলছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে। বিশেষ করে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশের দুই দিন আগের এ ঘটনা নিরাপত্তা নিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের শঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এ ধরনের আরও হামলার আশঙ্কা মাথায় নিয়ে ঢাকার পল্টন, মতিঝিল ও রমনাসহ সব এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অন্যদিকে, ভীতি ছড়াতেই রাজধানীর মগবাজার এলাকায় ফ্লাইওভারের ওপর থেকে ককটেল ছুড়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, মোটরসাইকেলে আসা ককটেল বিস্ফোরণে অংশ নেওয়া দুই তরুণের মাথায় ছিল হেলমেট। কাঁধে ব্যাগ। তাদের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে র‌্যাব-পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নগরবাসীর নিরাপত্তা দিতে বদ্ধপরিকর ডিএমপি। রাজধানীবাসীকে নিরাপদে রাখতে আমাদের প্রস্তুতির কমতি নেই। সমাবেশে কেউ আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে চাইলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব। জানা গেছে, রাজধানীতে আজ বড় জমায়েত করার প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এই সমাবেশ কেন্দ্র করে এমন আরও বোমা বিস্ফোরণের পাশাপাশি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে গতকাল সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নয়াপল্টনসহ বায়তুল মোকাররম, মতিঝিল ও রমনা এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, গতকাল থেকেই বিভিন্ন মোড়ে সতর্ক পাহারায় রয়েছে র‌্যাব-পুলিশ।

 

তদন্তে যা মিলছে : সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত ৯টা ৩৬ মিনিটে একটি মোটরসাইকেলে করে ফ্লাইওভারে উঠছিলেন দুই যুবক। বেশ দ্রুত গতিতে তারা সামনের দিকে এগোতে থাকেন। দিলু রোড পার হয়ে এজি চার্চ স্কুলের বিপরীতে যেতেই মোটরসাইকেলের পেছনের সিটে থাকা তরুণ পরপর দুটি ককটেল ছোড়েন। এতে ফ্লাইওভারের নিচে আলিফ ইন্টারন্যাশনাল ভবনের সামনের ফুটপাতে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। তবে যেখানে ককটেলটি পড়েছিল সেখানে বেশি লোকজন ছিল না। তবে অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা নিরাপত্তাকর্মী জাকির হোসেনের পায়ে পড়লে তিনি কিছুটা আহত হন। 

ডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, হামলার ধরন থেকে মনে হচ্ছে আতঙ্ক ছড়াতেই পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্রও জড়িত থাকতে পারে। আমরা মোটরসাইকেল এবং অজ্ঞাত দুই তরুণকে শনাক্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিভিন্ন পয়েন্টের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছি।  প্রসঙ্গত, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ২৬ শর্তে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাছে গোলাপবাগ মাঠে বিএনপিকে গণসমাবেশের অনুমতি দিয়েছিল ডিএমপি। ওই সময় দুপুর ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শর্ত মেনেই বিএনপি সমাবেশ করেছিল। এরও আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ক্ষেত্রেও একই ধরনের শর্ত দিয়েছিল ডিএমপি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রেমিকার বাসায় বেড়াতে এসে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা

error: Content is protected !!

ফের রাজপথে মুখোমুখি

সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রস্তুতি পুলিশ র‌্যাবের

আপডেট টাইম : ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :
হঠাৎ মগবাজারের ককটেল বিস্ফোরণ ভাবিয়ে তুলছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে। বিশেষ করে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশের দুই দিন আগের এ ঘটনা নিরাপত্তা নিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের শঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এ ধরনের আরও হামলার আশঙ্কা মাথায় নিয়ে ঢাকার পল্টন, মতিঝিল ও রমনাসহ সব এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অন্যদিকে, ভীতি ছড়াতেই রাজধানীর মগবাজার এলাকায় ফ্লাইওভারের ওপর থেকে ককটেল ছুড়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, মোটরসাইকেলে আসা ককটেল বিস্ফোরণে অংশ নেওয়া দুই তরুণের মাথায় ছিল হেলমেট। কাঁধে ব্যাগ। তাদের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে র‌্যাব-পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নগরবাসীর নিরাপত্তা দিতে বদ্ধপরিকর ডিএমপি। রাজধানীবাসীকে নিরাপদে রাখতে আমাদের প্রস্তুতির কমতি নেই। সমাবেশে কেউ আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে চাইলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব। জানা গেছে, রাজধানীতে আজ বড় জমায়েত করার প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এই সমাবেশ কেন্দ্র করে এমন আরও বোমা বিস্ফোরণের পাশাপাশি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে গতকাল সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নয়াপল্টনসহ বায়তুল মোকাররম, মতিঝিল ও রমনা এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, গতকাল থেকেই বিভিন্ন মোড়ে সতর্ক পাহারায় রয়েছে র‌্যাব-পুলিশ।

 

তদন্তে যা মিলছে : সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত ৯টা ৩৬ মিনিটে একটি মোটরসাইকেলে করে ফ্লাইওভারে উঠছিলেন দুই যুবক। বেশ দ্রুত গতিতে তারা সামনের দিকে এগোতে থাকেন। দিলু রোড পার হয়ে এজি চার্চ স্কুলের বিপরীতে যেতেই মোটরসাইকেলের পেছনের সিটে থাকা তরুণ পরপর দুটি ককটেল ছোড়েন। এতে ফ্লাইওভারের নিচে আলিফ ইন্টারন্যাশনাল ভবনের সামনের ফুটপাতে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। তবে যেখানে ককটেলটি পড়েছিল সেখানে বেশি লোকজন ছিল না। তবে অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা নিরাপত্তাকর্মী জাকির হোসেনের পায়ে পড়লে তিনি কিছুটা আহত হন। 

ডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, হামলার ধরন থেকে মনে হচ্ছে আতঙ্ক ছড়াতেই পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্রও জড়িত থাকতে পারে। আমরা মোটরসাইকেল এবং অজ্ঞাত দুই তরুণকে শনাক্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিভিন্ন পয়েন্টের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছি।  প্রসঙ্গত, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ২৬ শর্তে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাছে গোলাপবাগ মাঠে বিএনপিকে গণসমাবেশের অনুমতি দিয়েছিল ডিএমপি। ওই সময় দুপুর ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শর্ত মেনেই বিএনপি সমাবেশ করেছিল। এরও আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ক্ষেত্রেও একই ধরনের শর্ত দিয়েছিল ডিএমপি।


প্রিন্ট