ঢাকা , শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দৌলতপুর গাছে ঝুলছিল বাকপ্রতিবন্ধী নারীর বিবস্ত্র মরদেহ Logo বালিয়াকান্দিতে মনি মুকুর কিন্ডার গার্টেনের দুই দিনব্যাপী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন Logo বোয়ালমারীতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত Logo দৌলতপুর সীমান্তে বিএসএফের হাতে ৭ বাংলাদেশী আটক Logo ফরিদপুরে ৩১ দফার সমর্থনে বিএনপির আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল Logo শিবগঞ্জ সীমান্তে বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা করল বিএসএফ Logo রতনদিয়া ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সম্মেলন সিরাজুল সভাপতিঃ আক্তার সাধারন সম্পদক Logo রায়পুরায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা, গুলিতে নারী নিহত Logo ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশে লিফলেট বিতরণের অভিযোগে জেলা যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার Logo ফরিদপুর-৪ আসনের বিভিন্ন মাদরাসায় মাওলানা মিজান মোল্লার অনুদান প্রদান
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

আগস্টে সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রম উদ্বোধন

-ছবিঃ প্রতীকী।

দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনার কার্যক্রম আগামী মাসে উদ্বোধন করতে চায় সরকার। তবে সর্বজনীন পেনশন চালু করার জন্য জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আপাতত কাজ চালিয়ে নিতে গত রোববার অর্থ বিভাগের বাজেট ও ব্যয় ব্যবস্থাপনা উপবিভাগের অতিরিক্ত সচিব কবিরুল ইজদানী খানকে কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন একই উপবিভাগের আরেক অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা।

অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চূড়ান্তভাবে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সদস্য নিয়োগ হলে তাদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে। পেনশন কর্মসূচি চালুর আগে পাঁচটি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) হবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের। সংস্থাগুলো হচ্ছে নির্বাচন কমিশন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, সোনালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি।

মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, আগস্টের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার উদ্বোধন করার আশা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সদস্যদের চাকরি বিধিমালা এরই মধ্যে জারি হয়েছে। কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, পেনশন কর্মসূচিতে যোগদানের যোগ্যতা ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিধিমালা এবং জাতীয় পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) বিধিমালা শিগগিরই জারি হবে।

জাতীয় সংসদে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল পাস হয় গত জানুয়ারিতে। এতে বলা হয়, ১৮ বছর বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় যুক্ত হতে পারবেন। ৬০ বছর বয়স থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন। ৫০ বছরের অধিক বয়সীরাও সর্বজনীন পেনশন সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। তবে অন্যদের মতো ৬০ বছর বয়স থেকে পেনশন সুবিধা পাবেন না তারা। ১০ বছর চাঁদা পরিশোধের পর তারাও আজীবন পেনশন পাওয়া শুরু করবেন। কেউ ৬০ বছর বয়সে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হলে তিনি ১০ বছর চাঁদা পরিশোধের পর ৭০ বছর বয়স থেকে পেনশন সুবিধা পাবেন।

আইনে আরও বলা হয়েছে, নিম্ন আয়সীমার নিচের নাগরিকদের অথবা অসচ্ছল চাঁদাদাতার ক্ষেত্রে পেনশন তহবিলে মাসিক চাঁদার একটি অংশ সরকার অনুদান হিসেবে দিতে পারবে। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের এতে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে। এ ক্ষেত্রে কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের চাঁদার অংশ পেনশন কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে। তবে সরকার সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি ও আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিরা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার বাইরে থাকবেন।

এদিকে, এ ধরনের অন্য বড় কর্মযজ্ঞের ক্ষেত্রে পাইলট ভিত্তিতে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চললেও এ ক্ষেত্রে উদ্বোধনের দিন থেকেই দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ এ কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দৌলতপুর গাছে ঝুলছিল বাকপ্রতিবন্ধী নারীর বিবস্ত্র মরদেহ

error: Content is protected !!

আগস্টে সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রম উদ্বোধন

আপডেট টাইম : ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনার কার্যক্রম আগামী মাসে উদ্বোধন করতে চায় সরকার। তবে সর্বজনীন পেনশন চালু করার জন্য জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আপাতত কাজ চালিয়ে নিতে গত রোববার অর্থ বিভাগের বাজেট ও ব্যয় ব্যবস্থাপনা উপবিভাগের অতিরিক্ত সচিব কবিরুল ইজদানী খানকে কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন একই উপবিভাগের আরেক অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা।

অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চূড়ান্তভাবে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সদস্য নিয়োগ হলে তাদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে। পেনশন কর্মসূচি চালুর আগে পাঁচটি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) হবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের। সংস্থাগুলো হচ্ছে নির্বাচন কমিশন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, সোনালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি।

মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, আগস্টের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার উদ্বোধন করার আশা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সদস্যদের চাকরি বিধিমালা এরই মধ্যে জারি হয়েছে। কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, পেনশন কর্মসূচিতে যোগদানের যোগ্যতা ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিধিমালা এবং জাতীয় পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) বিধিমালা শিগগিরই জারি হবে।

জাতীয় সংসদে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল পাস হয় গত জানুয়ারিতে। এতে বলা হয়, ১৮ বছর বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় যুক্ত হতে পারবেন। ৬০ বছর বয়স থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন। ৫০ বছরের অধিক বয়সীরাও সর্বজনীন পেনশন সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। তবে অন্যদের মতো ৬০ বছর বয়স থেকে পেনশন সুবিধা পাবেন না তারা। ১০ বছর চাঁদা পরিশোধের পর তারাও আজীবন পেনশন পাওয়া শুরু করবেন। কেউ ৬০ বছর বয়সে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হলে তিনি ১০ বছর চাঁদা পরিশোধের পর ৭০ বছর বয়স থেকে পেনশন সুবিধা পাবেন।

আইনে আরও বলা হয়েছে, নিম্ন আয়সীমার নিচের নাগরিকদের অথবা অসচ্ছল চাঁদাদাতার ক্ষেত্রে পেনশন তহবিলে মাসিক চাঁদার একটি অংশ সরকার অনুদান হিসেবে দিতে পারবে। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের এতে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে। এ ক্ষেত্রে কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের চাঁদার অংশ পেনশন কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে। তবে সরকার সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি ও আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিরা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার বাইরে থাকবেন।

এদিকে, এ ধরনের অন্য বড় কর্মযজ্ঞের ক্ষেত্রে পাইলট ভিত্তিতে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চললেও এ ক্ষেত্রে উদ্বোধনের দিন থেকেই দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ এ কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।


প্রিন্ট