আজ শনিবার(১৩ মে) সকাল ৭ টার দিকে সদর উপজেলার লতিফুর ইউনিয়নের চরমানিকদাহ গ্রামে কাজীর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইসমাইল কাজী ওই এলাকার মৃত তাইজেল কাজীর ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কাজীর বাজারের পাশে মধুমতি নদীর তীরে গুচ্ছগ্ৰাম স্থাপনের পরে এলাকার যুব সমাজ বিভিন্ন মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। ওই গুচ্ছগ্ৰামে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চলতাম থাকলেও পুলিশ প্রশাসন দৃশ্য মান কোন ব্যবস্তা নিচ্ছেনা। আজ এই এলাকায় মাদকের টাকার জন্য পুত্রের হাতে পিতা খুন হলো। এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানান, ঘাতক ছেলে আলীম কাজী (২৪) তার পিতা ইসমাইল কাজীকে কুপিয়ে দৌড়ে মানিকহার ব্রিজ পার হয়ে পালানোর সময় উরফি ইউনিয়নের মধুপুর এলাকায় গেলে সাধারণ মানুষ তাকে আটকে রাখে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। গ্ৰামবাসী আরো জানান, আলীম কাজী ইসমাইল কাজীর প্রথম পক্ষের ২য় সন্তান। ইসমাইল কাজীর প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি ২য় বিবাহ করলেও এখন পর্যন্ত সন্তান হয়নি।
নিহত ইসমাইল কাজীর বড় ছেলে সেলিম বলেন, আমার মেঝ ভাই আলীম কাজী(২৪) মাদকাসক্ত ছিলো। প্রায় প্রতিদিনই আমার মেঝ ভাই মাদকের টাকার জন্য আমার পিতার সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হতো। আজ শনিবার সকালে মাদকের টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ধারালো বটি দিয়ে আমার পিতার পিছন থেকে ঘাড়ে কোপ দিলে দেহ থেকে মাথা কেটে ঝুলে পড়ে। পরে আমরা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী ফিরোজা বেগম জানিয়েছেন, আলীম, খায়েরুল সারাক্ষণ নেশা করতো। তাদেরকে এই পথ থেকে ফেরানোর জন্য আমরা অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি। আজ মাদকের টাকার জন্য আলীম তার পিতার সাথে ঝগড়া শুরু করে। এরই এক পর্যায়ে পিছন থেকে বটি দিয়ে তার পিতার ঘাড়ে কোপ দেয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাবেদ মাসুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ঘাতক আলীম কাজীকে আটক করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রিন্ট