ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo লালপুরের গোপালপুরে রেলগেটম্যানকে মারধরের ঘটনায় মামলা Logo লালপুরে নারী সহকর্মীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতার সিডিএ কর্মকর্তা বরখাস্ত Logo নলছিটিতে এক দশকের ভোগান্তি শেষে শুরু হলো রাস্তায় ইউনিব্লক নির্মাণ Logo বদলিজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান Logo চরভদ্রাসনে ভুবনেশ্বর নদ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্যোগ Logo আমাদের রবীন্দ্র চর্চা বাড়াতে হবেঃ অর্দ্ধেন্দু প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় Logo শেখ হাসিনাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবেঃ -অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম Logo তানোরে ধান-চাল ক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন Logo বং সিনেমাটিক ডিজিটাল মার্কেটিং এর আয়োজনে কলকাতায় ‘বঙ্গ সন্তান সম্মান- ২০২৪ Logo কালুখালীতে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পুরনো ব্যাগ কিনে লুকানো বাংলাদেশি টাকা পেয়ে গেলেন মার্কিন বাবা!

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ০২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২
  • ৮৮ বার পঠিত
দোকান থেকে কিনে এনেছেন একটি পুরনো স্যুটকেস। কিন্তু বসায় ফিরে দেখলেন স্যুটকেসে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বিদেশি মুদ্রা। এ ঘটনা মার্কিন এক পিতার। ওই ব্যক্তি ব্যবহৃত স্যুটকেস কেনার পর বিদেশি নগদ মুদ্রা পেয়ে সেই কথাই জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। শুনে অবাক হবেন অন্য কোনো দেশের নয়, বাংলাদেশি টাকা পেয়েছেন তিনি।যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওতে অবস্থিত ‘ওভার স্টক এবং রিটার্ন স্টোর’ নামের দোকান থেকে তিনি কয়েকটি স্যুটকেস কিনেছিলেন।  এ ধরনের দোকান পুরনো জিনিস কেনাবেচা করে। দালালের মাধ্যমে পুরনো জিনিস কিনে আবার কম দামে বিক্রি করে তারা।

তিনি স্যুটকেসগুলো কিনে বাড়ি ফিরে আসেন। বাড়ি ফিরে সবচেয়ে ছোট কমলা রঙের ব্যাগের আস্তরণের নিচে কিছু অনুভব করেন। আস্তরণ খুলে দেখেন বাংলাদেশি মুদ্রা। তিনি না জেনেই ধরে নেন এই টাকার পরিমাণ ২০,০০০ ডলার!

ওই ব্যক্তি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি তখন আস্তরণটি খুললাম এবং একটি জিপলক ব্যাগে বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০,০০০ ডলার পেলাম।’ একটি জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ  ‘ডেডিকেটেড টু আনইউজুয়াল ফাইন্ডস’-এ কথা লিখেছেন। তিনি ছবিও পোস্ট  করেছেন। প্রথমে খুশি হলেও পরে হাতাশ হন তিনি। কারণ আসলে পেয়েছেন ২০০ ডলারের চেয়েও কম টাকা।

টাকাটি যিনি পেয়েছেন তিনি একটি সেলুনের মালিক। স্থানীয় সময় শনিবার তিনি লিখেছেন, ‘বিনিময় হার কী হতে পারে তা না জেনে আমার খুব উত্তেজনা হয়েছিল।’
কিন্তু বিনিময় হার জানতে পেরে বুঝতে পারেন, না তার চাকরি ছাড়লে চলবে না বা সেলুনটাও বিক্রি করতে পারবেন না। কারণ দেখতে প্রচুর টাকা মনে হলেও আসলে এখানে ২০০ ডলারের চেয়েও কম টাকা আছে।এরপর তিনি মজা করে লিখেছেন, ‘কিন্তু যে অভিজ্ঞতা হলো সেটা মিলিয়ন ডলার মূল্যের।’ লাখ টাকা না পেলেও নতুন স্যুটকেসগুলো নিজেদের মূল্য নিজেরা পরিশোধ করেছে। এটাই তার সান্ত্বনা।

ভাগ্যবান এই ক্রেতা ইয়াহু নিউজ অস্ট্রেলিয়ার কাছে ঘটনাটি নিশ্চিত করার সময় মন্তব্য করেছেন, এই রকম ঘটনা কিভাবে ঘটতে পারে তা ভেবে তিনি অবাক হয়েছিলেন প্রথমে। এরপর তিনি ধারণা করেন, কেউ হয়তো স্যুটকেসটি কিনে ব্যবহার করেছিলেন। কিছু টাকা ভেতরে রেখে ভুলে গিয়েছিলেন। এরপর ওই অবস্থায়ই বিক্রি করে দিয়েছিলেন।

এ ঘটনা শুনে অনেকে বলেছেন, কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ব্যাগে কী কী জিনিস রাখছেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

লালপুরের গোপালপুরে রেলগেটম্যানকে মারধরের ঘটনায় মামলা

error: Content is protected !!

পুরনো ব্যাগ কিনে লুকানো বাংলাদেশি টাকা পেয়ে গেলেন মার্কিন বাবা!

আপডেট টাইম : ০২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২
অনলাইন ডেস্ক :
দোকান থেকে কিনে এনেছেন একটি পুরনো স্যুটকেস। কিন্তু বসায় ফিরে দেখলেন স্যুটকেসে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বিদেশি মুদ্রা। এ ঘটনা মার্কিন এক পিতার। ওই ব্যক্তি ব্যবহৃত স্যুটকেস কেনার পর বিদেশি নগদ মুদ্রা পেয়ে সেই কথাই জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। শুনে অবাক হবেন অন্য কোনো দেশের নয়, বাংলাদেশি টাকা পেয়েছেন তিনি।যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওতে অবস্থিত ‘ওভার স্টক এবং রিটার্ন স্টোর’ নামের দোকান থেকে তিনি কয়েকটি স্যুটকেস কিনেছিলেন।  এ ধরনের দোকান পুরনো জিনিস কেনাবেচা করে। দালালের মাধ্যমে পুরনো জিনিস কিনে আবার কম দামে বিক্রি করে তারা।

তিনি স্যুটকেসগুলো কিনে বাড়ি ফিরে আসেন। বাড়ি ফিরে সবচেয়ে ছোট কমলা রঙের ব্যাগের আস্তরণের নিচে কিছু অনুভব করেন। আস্তরণ খুলে দেখেন বাংলাদেশি মুদ্রা। তিনি না জেনেই ধরে নেন এই টাকার পরিমাণ ২০,০০০ ডলার!

ওই ব্যক্তি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি তখন আস্তরণটি খুললাম এবং একটি জিপলক ব্যাগে বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০,০০০ ডলার পেলাম।’ একটি জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ  ‘ডেডিকেটেড টু আনইউজুয়াল ফাইন্ডস’-এ কথা লিখেছেন। তিনি ছবিও পোস্ট  করেছেন। প্রথমে খুশি হলেও পরে হাতাশ হন তিনি। কারণ আসলে পেয়েছেন ২০০ ডলারের চেয়েও কম টাকা।

টাকাটি যিনি পেয়েছেন তিনি একটি সেলুনের মালিক। স্থানীয় সময় শনিবার তিনি লিখেছেন, ‘বিনিময় হার কী হতে পারে তা না জেনে আমার খুব উত্তেজনা হয়েছিল।’
কিন্তু বিনিময় হার জানতে পেরে বুঝতে পারেন, না তার চাকরি ছাড়লে চলবে না বা সেলুনটাও বিক্রি করতে পারবেন না। কারণ দেখতে প্রচুর টাকা মনে হলেও আসলে এখানে ২০০ ডলারের চেয়েও কম টাকা আছে।এরপর তিনি মজা করে লিখেছেন, ‘কিন্তু যে অভিজ্ঞতা হলো সেটা মিলিয়ন ডলার মূল্যের।’ লাখ টাকা না পেলেও নতুন স্যুটকেসগুলো নিজেদের মূল্য নিজেরা পরিশোধ করেছে। এটাই তার সান্ত্বনা।

ভাগ্যবান এই ক্রেতা ইয়াহু নিউজ অস্ট্রেলিয়ার কাছে ঘটনাটি নিশ্চিত করার সময় মন্তব্য করেছেন, এই রকম ঘটনা কিভাবে ঘটতে পারে তা ভেবে তিনি অবাক হয়েছিলেন প্রথমে। এরপর তিনি ধারণা করেন, কেউ হয়তো স্যুটকেসটি কিনে ব্যবহার করেছিলেন। কিছু টাকা ভেতরে রেখে ভুলে গিয়েছিলেন। এরপর ওই অবস্থায়ই বিক্রি করে দিয়েছিলেন।

এ ঘটনা শুনে অনেকে বলেছেন, কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ব্যাগে কী কী জিনিস রাখছেন।


প্রিন্ট