কুষ্টিয়ার মিরপুরে রুনা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. তাজুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিততে এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর তিন আসামিকে খালাস প্রদান করেন আদালত। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্তদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নফরকান্দী ছোন্দুয়া ক্যানেলপাড়া গ্রামের জান আলীর ছেলে আব্দুস সামাদ, শামসুল আক্তার বাগুজার ছেলে মতিয়ার রহমান এবং আব্দুল গণি সর্দ্দারের ছেলে ছালিম সর্দ্দার।
কুষ্টিয়া জজ আদালতের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কমার নন্দি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ৯ আগস্ট রাতে রুনা খাতুন তার স্বামী সন্তানকে নিয়ে রাতে খাওয়া দাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়েন। মধ্যে রাতে রুনা খাতুন টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে বাইরে যান। কিন্তু দীর্ঘসময় পার হলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। ঐ রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরের দিন সকালে নিহতের স্বামী আব্দুল খালেক জানতে পারেন ডুকরা কবরস্থানের পাশে তার স্ত্রীর লাশ পড়ে আছে।
|
রুনা খাতুনকে সাইকেলের টিউব দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত রুনার স্বামী আব্দুল খালেক বাদী হয়ে মিরপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাজীব শিকদার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালত বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
প্রিন্ট