ঢাকা , সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন Logo সদরপুরে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উৎসব অনুষ্ঠিত Logo চরভদ্রাসনে নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন Logo মধুখালীতে জমি নিয়ে বিরোধ: নিজের ঘরে নিজেরাই আগুন দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগ Logo বাংলা শুভ নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত Logo শিবপুরে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী পালাতক Logo যশোরের রূপদিয়ায় ১৪ বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট Logo সদরপুরের ৩ ইট ভাটায় অভিযান, ৩ লাখ টাকা জরিমানা Logo নাটোর জেলার শ্রেষ্ঠ এস.আই হিসেবে মাসুমের হ্যাট্রিক Logo শালিখায় আগুনে পুড়ে ছাই হলো সুমন কর্মকার নামের ১ যুবক
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বোয়ালমারীতে শিক্ষক কামরুল হত্যার ১০ বছর পর ৫ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড

সহকারি শিক্ষক কামরুল ইসলাম। -ফাইল ছবি।

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক কামরুল ইসলামকে (৩৮) হত্যার ঘটনার ১০ বছর পর ৫ জনকে অভিযুক্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ আদেশ দেন। একই সাথে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাদের প্রত্যেককে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।
যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ব্যাক্তিরা হলেন, বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের চতুল গ্রামের বকুল মোল্যা (৩২), সুজা মোল্যা (৩৩), নজরুল মোল্যা (৫৫) ও দুই সহোদর ফিরোজ মোল্যা (৩৫) ও মঞ্জু মোল্যা (৩২)। রায় প্রদানের সময় আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। পরে পুলিশ প্রহরায় তাদের জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর বিকেল তিনটার দিকে শিক্ষক কামরুল বাড়ি থেকে একটি বাইসাইকেলে করে বোয়ালমারী বাজারের দিকে যাচ্ছেলেন। তিনি উপজেলার চতুল ইউনিয়নের চতুল চিতাঘাটা এলাকায় মঞ্জু মোল্যার দোকানের সামনে পৌঁছলে উল্লিখিত পাঁচ ব্যাক্তিসহ মোট ১২জন স্থানীয় গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র করে কাঠের লাঠি, বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে কামরুলকে।  এসময় ওই শিক্ষকের কাছে থাকা নগদ সাড়ে সাত হাজার টাকা ও ১৮ হাজার টাকা দামের একটি মুঠোফোন নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
আহত শিক্ষক কামরুলকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থনান্তর করেন। ঢাকা নেওয়ার পথে ওইদিন (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই এস এম খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বোয়ালমারী থানায় একটি হত্যা মামলাদায়ের করেন
২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি বোয়ালমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিপূণ মজুমদার এহাজারভুক্ত ১২জন আসামিকে অভিযুক্ত আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর এপিপি সানোয়ার হোসেন জানায়, আদালত এ হত্যা মামলার ১২জন আসামির মধ্যে পাঁচ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। তিনি বলেন, বাকি সাত আসামির বিরুদ্ধে অনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
এপিপি সানোয়ার হোসেন আরও জানান, হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আদালত বেআইনী ভাবে বাধা দেওয়ার দায়ে প্রত্যেক আসামিকে এক মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন। তবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ায় ওই এক মাসের দণ্ড যাবজ্জীবনের সাথে একই সাথে ভোগ করায় আলাদা ভাবে বাকি এক মাসের দন্ড ভোগ করতে হবে না।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

error: Content is protected !!

বোয়ালমারীতে শিক্ষক কামরুল হত্যার ১০ বছর পর ৫ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড

আপডেট টাইম : ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
দীপংকর পোদ্দার ওপু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ :
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক কামরুল ইসলামকে (৩৮) হত্যার ঘটনার ১০ বছর পর ৫ জনকে অভিযুক্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ আদেশ দেন। একই সাথে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাদের প্রত্যেককে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।
যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ব্যাক্তিরা হলেন, বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের চতুল গ্রামের বকুল মোল্যা (৩২), সুজা মোল্যা (৩৩), নজরুল মোল্যা (৫৫) ও দুই সহোদর ফিরোজ মোল্যা (৩৫) ও মঞ্জু মোল্যা (৩২)। রায় প্রদানের সময় আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। পরে পুলিশ প্রহরায় তাদের জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর বিকেল তিনটার দিকে শিক্ষক কামরুল বাড়ি থেকে একটি বাইসাইকেলে করে বোয়ালমারী বাজারের দিকে যাচ্ছেলেন। তিনি উপজেলার চতুল ইউনিয়নের চতুল চিতাঘাটা এলাকায় মঞ্জু মোল্যার দোকানের সামনে পৌঁছলে উল্লিখিত পাঁচ ব্যাক্তিসহ মোট ১২জন স্থানীয় গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র করে কাঠের লাঠি, বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে কামরুলকে।  এসময় ওই শিক্ষকের কাছে থাকা নগদ সাড়ে সাত হাজার টাকা ও ১৮ হাজার টাকা দামের একটি মুঠোফোন নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
আহত শিক্ষক কামরুলকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থনান্তর করেন। ঢাকা নেওয়ার পথে ওইদিন (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই এস এম খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বোয়ালমারী থানায় একটি হত্যা মামলাদায়ের করেন
২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি বোয়ালমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিপূণ মজুমদার এহাজারভুক্ত ১২জন আসামিকে অভিযুক্ত আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর এপিপি সানোয়ার হোসেন জানায়, আদালত এ হত্যা মামলার ১২জন আসামির মধ্যে পাঁচ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। তিনি বলেন, বাকি সাত আসামির বিরুদ্ধে অনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
এপিপি সানোয়ার হোসেন আরও জানান, হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আদালত বেআইনী ভাবে বাধা দেওয়ার দায়ে প্রত্যেক আসামিকে এক মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন। তবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ায় ওই এক মাসের দণ্ড যাবজ্জীবনের সাথে একই সাথে ভোগ করায় আলাদা ভাবে বাকি এক মাসের দন্ড ভোগ করতে হবে না।

প্রিন্ট