ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পাচঁশত পিচ ইয়াবাসহ স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে ফরিদপুর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের পাতরাইল দিঘিরপাড় গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহল ও প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার গোপঁন ইশারায় বীর দর্পে রমরমা মাদক বানিজ্য চালিয়ে আসছিলো ওই দম্পতি। শুধু ওই দম্পতিই নয় অত্র অঞ্চলের মোবাইল প্রতারকসহ মাদকের সঙ্গে জড়িতদের আড়াল থেকে সহযোগীদের চিহ্নিত করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
আটক দম্পতি হলেন, পশ্চিম পাতরাইলের প্রয়াত আব্দুল ওহাবের ছেলে মাহাবুল হাওলাদার (৪১) ও তার স্ত্রী হামিদা বেগম (৩৬)।
সহকারী উপ-পরিদর্শক হাসান আল মামুন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, সম্প্রতী জেল খেটে আসা মাদক ব্যবসায়ী দম্পতি মাহাবুল ও তার স্ত্রী তাদের নিজ বাড়িতে মাদকের একটি বড় চালান বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত নিয়েছে। পরে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
এসময় মাহাবুল হাওলাদারের কোমর থেকে ৩০০ শত পিঁচ ও তার স্ত্রীর দেখানো মতে ঘরের মধ্যে লুকিঁয়ে রাখা সোকেচের মধ্যে থাকা আরও ২০০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ ওই দম্পতি থানা প্রশাসনের নজর এড়িয়ে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। স্থানীয় একটি প্রভাশালী মহলের ছত্রছায়ায় ও থানা পুলিশের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা অত্র ইউনিয়নের মাদক ব্যবসায়ী ও ওয়েলকাম পার্টিদের কাছ থেকে মাসওয়ারা ভিত্তিক মোটা অংকের উপঢৌকন নেয়। মাদক ব্যবসায়ীসহ আড়ালে লুকিঁয়ে থাকা মাদকের সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান স্থানীয়রা।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম জানান, মাদকের সঙ্গে তার থানার কোন অফিসার জড়িত আছে এমন কোন তথ্য তার জানা নেই। তবে যদি কেউ থাকে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। মাদক ব্যবসায়ী দম্পতির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজুর প্রস্তুতী চলছে।
|
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শামিম হোসেন এই প্রতিবেদককে জানান, মাদক ব্যবসায়ী এক দম্পতিকে ৫০০ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা রুজুর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রিন্ট