ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত উপজেলার সর্ববৃহৎ ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বোয়ালমারী জর্জ একাডেমি এবং বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের সরকারি খাদে উপচে আবর্জনা চলে এসেছে সড়কে। দুর্গন্ধে অতিষ্ট শিক্ষার্থী এবং পথচারী। পথচারীরা নাক ধরে ওই পথ দিয়ে আসা-যাওয়া করলেও ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বক্ষণিক দুর্গন্ধ ভোগ করতে হয়।
পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে ওয়াপদার মোড়-চৌরাস্তার মাঝামাঝি ওই স্থানের সরকারি খালে ফেলছেন। ফলে খালটি ভরাট হয়ে আর্বজনা উপচে পড়ছে সংশ্লিষ্ট স্থানের মাইজকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর। এর ফলে বেড়েছে মশা-মাছির চরম উপদ্রব। জানা গেছে, আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য পৌরসভার কোনো ভাগাড় (ডাম্পিং স্পট) না থাকায় ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য ব্যস্ত সড়কের পাশের ওই স্থানকে বেছে নেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, খালটি ময়লা-আবর্জনার স্তূপে একাকার। ওই স্থানের পাশেই বোয়ালমারী জর্জ একাডেমি এবং বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ময়লা উপচে পড়ছে সড়কে। আবর্জনার দুর্গন্ধে ওই দুই বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া ওই এলাকায় বেশ কিছু পরিবারেরও বসবাস। দুর্গন্ধে তাদের জীবন ওষ্ঠাগত।
বোয়ালমারী জর্জ একাডেমির ১০ম শ্রেণির বেশ কিছু শিক্ষার্থী জানান, আবর্জনার গন্ধে শ্রেণিকক্ষে বসে ক্লাস করা যায় না। নাকে মাস্ক পরেও রেহাই নেই। এজন্য বিদ্যালয়ে খুব একটা যাওয়া হয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোয়ালমারী জর্জ একাডেমির জনৈক অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয়ে প্রায় ১৪’শ ছাত্রছাত্রী চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে ময়লা-আবর্জনার পাশে ক্লাস করছে। পৌর কর্তৃপক্ষের এদিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত। তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ে দুর্গন্ধে বিদ্যালয়ে যেতে চায় না। বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে ছাত্র-ছাত্রীরা জানান।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী জর্জ একাডেমির প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ বলেন, বিদ্যালয় সংলগ্ন খালটি সরকারি হলেও ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বিবেচনা করে এটাকে ডাম্পিং স্পট বানানো থেকে বিরত থাকা উচিত ছিলো।
বোয়ালমারী পৌরসভার মেয়র মো. সেলিম রেজা লিপন বলেন, বোয়ালমারী পৌরসভা ডাম্পিং স্পটের জন্যে একটা জায়গা খরিদ করলেও তা এতোটাই স্বল্প আয়তনের যে, তা ডাম্পিং স্পটের জন্যে অপর্যাপ্ত, বিধায় সরকারি খালটিকে ডাম্পিং স্পট হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা খুব শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
প্রিন্ট