ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo গোমস্তাপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে এক বৃদ্ধ মহিলার আত্মাহত্যা Logo গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে হাতিয়ায় এনসিপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo নলছিটিতে গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা Logo হলদিয়া গুরুদল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির পরিচিতি সভা Logo রাজাপুরে বাজুসের ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo রাজাপুরে বাজুসের ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo ফরিদপুরে বাজুসের ‌ ৬০ তম জন্মদিন পালন  Logo বাগাতিপাড়ায় নবাগত ইউএনওর সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo তানোরে যাঁতাকল শিল্প বিলুপ্তপ্রায় Logo ডাবলিনে গ্রেটার মৌলভীবাজার অ্যাসোসিয়েশন অফ আয়ারল্যান্ডের বার্ষিক সভা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাগুরায় সওজ’র অভিযানে গুড়িয়ে দিলো জেলা পরিষদের নির্মাণ কাজঃ ক্ষয় ক্ষতি ১৫ লাক্ষাধিক টাকা 

মাগুরা জেলা পরিষদের প্রশাসক বাবু পঙ্কজ কুমার কুন্ডু বলেন, এটা এক কথায় বলা যায় যে স্বেচ্ছাচারিতা ও ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অন্যায় এবং অবৈধভাবে দূর্বৃত্তায়নের জন্য তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য এই অপকর্ম করেছে।

কাটাখালের চলমান নির্মাণ কাজ ভেঙ্গেছে আর আমাদের কেউ সেভাবে অবহিত করে নাই। আর ব্যাপার হচ্ছে ঘূর্ণায়মান অক্ষরে জানি না (সওজ) এভাবে ভাঙ্গতে যাবে, জায়গা মাগুরা জেলা পরিষদের। মাগুরা জেলা পরিষদ তৎকালীন সময়ে ব্রিটিশ আমলে ১৮৮৫ সালে এই জেলা বোর্ড বা ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড স্থাপন করার পরবর্তী ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড ছিলো সমস্ত কিছুর দায়দায়িত্বে।

মাগুরায় ২৯৬ মাইল রাস্তা-ঘাঠ আছে জেলা পরিষদের জায়গায়। নির্মিত জেলা পরিষদের সেই জায়গা হঠাৎ করে তারা কিভাবে এটাকে রোডস হাইওয়েকে (সওজ) দিয়েছে রাস্তা বানানোর জন্য। রাস্তার দুই পাশের জায়গা বা অন্যান্য জায়গা সবই জেলা পরিষদের, উনাদের কোন সম্পত্তি না। এই সম্পত্তি সি এস, আর এস ও এস এ যা কিছু আছে সব জেলা পরিষদের নামে।

এই হাল সনের যে রেকর্ড হয়েছে এই রেকর্ডটা অসতর্কার সাথে হোক বা দুর্বৃত্তসত্ব মূলকভাবে হোক, সে সময়ে যারা মাঠ পর্চা দিয়েছে বা মাঠের কাজে যারা নিয়োজিত ছিলো তাদের যোগসাজশে এটা করা হয়েছে। যেটা সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী কাজ, যেটা নিয়মে ছিলো না। আসলে কি ভূমি সংস্কার বা ভূমির এতো দুর্নীতি গ্রস্থ, বাংলাদেশে এর থেকে দুর্নীতি গ্রস্থ আর হয় না। এটা যার যার খুশিমতো সেই সেই করে চলে গেছে। তাদের স্বার্থের কারণে রোডস এ্যান্ড হাইওয়ে (সওজ) কিভাবে দাবি করে, রোডস হাইওয়ে জমি ক্রয় করে নিয়েছে। রোডস হাইওয়ে কার কাছ থেকে নিলো, কিভাবে নিলো, আর পেলো কোথায়। জমি জেলা পরিষদের দখলে আছে আমরা তো রাস্তা বানাতে দিয়েছি।

(১) ১৭ আগস্ট ২০০৯ সালের অর্থবছরের পত্রে আছে, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের জেলা পরিষদের মালিকানাধীন যে কোন রাস্তা ও এলজিইডি কিংবা অন্য কোন সংস্থা বা বিভাগ কর্তৃক উন্নয়ন করা হলেও রাস্তার পার্শ্বের জমির মালিকানা জেলা পরিষদের থাকবে। সাক্ষর- সিনিয়র সহকারী সচিব মাহমুদা খাতুন। (২) স্থানীয় সরকার- যেহেতু পরচা অনুযায়ী মালিকানাধীন জেলা পরিষদের সে কারণে উক্ত সড়কসহ সড়কের উপর অবস্থিত গাছ এবং সড়কের উন্নয়ন কাজ রাস্তার মালিকানাধীন জেলা পরিষদের থাকবে।

অন্য কোন সংস্থা (এলজিইডি বা সড়ক জনপথ বিভাগ) সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী উক্ত সড়কের উন্নয়ন ও রক্ষনাবেক্ষনের কাজ করতে পারে। এর বত্যয় জেলা পরিষদ আইন ২০০০ মতে সম্পত্তি জেলা পরিষদ আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারে। স্মারক ২২৯৭(২), তাং- ১২ আগস্ট ২০০৪ সাল। (৩) স্থানীয় সরকার- সিনিয়র সহকারী সচিব জাকিয়া সুলতানার সাক্ষরে ২৬ মে ২০০৫ সালে, হাই ওয়েজ এ্যাক্ট ১৯২৫ অনুসরণে সড়ক ও সড়ক পার্শ্বস্থ জমির অবস্থিত গাছপালার মালিকানা প্রসঙ্গে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ১৯ মে ২০০৫ সালে,  ৫৩৩ নং স্মারক। উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের প্রেক্ষিতে, নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে জেলা পরিষদের রাস্তায় অন্য কোন সংস্থা গাছ বা যে কোন উন্নয়নমূলক কাজ করালেও রাস্তার মালিকানা সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের থাকবে।

(৪) স্থানীয় সরকার- ২৩ মার্চ ২০১১ সাল, উপযুর্ক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন এলজিইডি এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক উন্নয়নমূলক ও রাস্তার পার্শ্বের গাছের মালিকানা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনকল্পে। গত ২ মার্চ ২০১১ তারিখে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় ৩ টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্ত-১ঃ পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি-একনেক ও সমন্বয় অনুবিভাগ এর ১২ মে ২০০৩ তারিখে পরি/সমন্বয় ২/পকসঅ/কার্য/৫/২০০৩/১৩৯ নম্বর প্রজ্ঞাপনে রাস্তার মালিকানা জেলা পরিষদের নিকট ন্যস্ত করা হয়নি বিধায় উক্ত প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে অন্য কোন সংস্থা রাস্তার মালিকানা দাবী করতে পারবে না।

সিদ্ধান্ত-২ঃ সিএস, এসএ ও আরএস রেকর্ড অনুযায়ী জেলা পরিষদের মালিকানাধীন রাস্তাসমূহের মালিকানা অর্জন করা অপরিহার্য মনে করলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর দেশে বিদ্যমান সম্পত্তি হস্তান্তর আইন মেনে তা অর্জনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারবে। রাস্তার উন্নয়ন বা সম্প্রসারণের জন্য অন্য কোন গাছ কাটার প্রয়োজন হলে (সওজ) সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদকে অনুরোধ জানাবে। জেলা পরিষদ অতি দ্রুততার সাথে গাছসমূহ অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সিদ্ধান্ত-৩ঃ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক জেলা পরিষদের মালিকানাধীন গাছপালা বিক্রির ব্যাপারে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ বাস্তবায়নের স্বার্থে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে অবিলম্বে বিক্রিত গাছের হিসাবসহ পূর্বে কর্তনকৃত গাছের পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যান স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণ করতে হবে। পরিসংখ্যান প্রাপ্তির পর স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীগণকে গাছ কর্তনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশন প্রদান করা হবে। সাক্ষর- সিনিয়র সহকারী সচিব জুবাইদা নাসরীন।

আরও পড়ুনঃ সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন ও মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠিত সভাপতি ফেরদৌস রেজাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন 

১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ সালের বার্ষিক পরিকল্পনা প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন কৌশল নির্ধারণ সভা ২০১২ সালে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন যে সকল সম্পত্তি জেলা প্রশাসক/জনপথ বিভাগের নামে রেকর্ড হয়েছে সে সকল সম্পত্তি স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রাণী বিভাগ ও অন্যান্য অধিদপ্তরের দখলে আছে তা উদ্ধারেরজন্য স্থানীয় ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে বা স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। জমি হইতে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে, উপযুক্ত বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি গোচর হয়েছে এবং বিভিন্ন জেলা পরিষদের মালিকানাধীন সম্পত্তি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে, জেলা প্রশাসকের নামে খতিয়ানে রেকর্ড ভুক্ত করা হয়েছে এবং এই সমস্ত জমি কালেক্টরেট কর্তৃক ইজারা দেওয়া হচ্ছে।

জেলা পরিষদের জমিতে অবৈধ দখলদার আছে এবং ক্রমিক ভাবে এই সকল সম্পত্তি হওয়ায় জেলা পরিষদের যে সকল বেহাত জমি কালেক্টরেট নামে ভুক্ত হয়েছে সে সকল জমি জেলা পরিষদের নামে ফিরিয়ে আনতে আইনানুগ সহযোগিতা প্রদান পূর্বক জেলা পরিষদের নামে জমি রেকর্ড ভুক্ত করতে হবে। জেলা পরিষদের সকল জমি হইতে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা নির্দেশ ক্রমে অনুরোধ জানানো হচ্ছে, সকল জেলা প্রশাসককে। উক্ত সড়ক সহ সড়কের উপর অবস্থিত গাছ, সড়কের উন্নয়ন কাজ, রাস্তার মালিকানা জেলা পরিষদের থাকবে।

অন্য কোন সংস্থা এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী উক্ত সড়কের উন্নয়ন রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করতে পারবে। এর বর্তায় হলে জেলা পরিষদের আইন ২০০০ এর মতে সম্পত্তির রক্ষার্থে জেলা পরিষদ আদালতের কাছে যেতে পারবে। জেলা পরিষদের উপসহকারী প্রকৌশলী শহিদুল আলম বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক জেলা পরিষদের মালিকানা জমিতে জনসাধারণের জন্য নির্মাণ চলমান কাজে (সওজ) বিনা নোটিশে হঠাৎ করে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ ছাড়াই কিভাবে অবৈধভাবে বা পন্থায় এটা বিনষ্ট বা ধ্বংস করলো, এই বিষয়টা আমার বোধগম্য নয়। জেলা পরিষদের মালিকানাধীন যে কোন রাস্তা সংস্থা কর্তৃক উন্নয়নের পূর্বে মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের পূর্ব অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু আমাদের সাথে কোন অনুমতি গ্রহণ করে নাই। ৮ আগস্ট ২০২২ সালে (সওজ) একটা ৭ দিনের সময় দিয়ে চিঠি পাঠায় কিন্তু ১১ আগস্ট সকাল এসেই আইন লংঘন করে অবৈধ উপায়ে বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে, এই স্থাপনার নির্মাণ ক্ষয়ক্ষতির পরিমান টাকায় প্রায় ১৫ লাখ টাকা।

উপজেলা পরিষদ প্রশাসক পঙ্কজ কুমার কুন্ডু বলেন, জেলা পরিষদের আইনজীবী আছে আমরা এই ব্যাপারে আদালতের মাধ্যমে আইন পদক্ষেপ নিবো। জেলা পরিষদ কোন ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান না এটা সরকারের  একটা অঙ্গ বা প্রতিষ্ঠান। এই জেলা পরিষদ মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে। জেলা পরিষদ মাগুরার সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের অংশীদার এবং দুঃসময়ে, সুসময়ে, ভালো ও মন্দ সবসময় জেলা পরিষদ সাধারণ মানুষের পাশে থাকে। জেলা পরিষদ তার নিজস্ব জায়গায় জনগণের স্বার্থের জন্য কাজ করছিলো। ব্যক্তিস্বার্থ, হীনস্বার্থ চরিতার্থার জন্য এত বড় দুঃসাহসিক কাজ কিভাবে সম্ভব হলো এটা আমার বোধগম্য নয়। তারা রাস্তা বানাবে এটার কোন পূর্ব অনুমতিও নেয়নি আমাদের কাছে। রোডস হাইওয়ে জমি চেয়েছে আমি দিয়েছি তারপরও আমার জেলা পরিষদের জমিতে, পরিষদের স্থাপনায় জোর পূর্বক অবৈধ ভাবে ভেঙ্গে দিয়েছে। আসলে দুনিয়ায় এমন অন্যায় নিয়ম আইন আছে কিনা আমার জানা নেই।

জেলা পরিষদের চত্বরে চলমান নির্মিত অডিটোরিয়ামে সুফল ভোগ করবে জনগণ এবং নোমানী ময়দানে বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান অডিটোরিয়াম বানানো এবং নতুন করে সজ্জিত করা হচ্ছে জেলা পরিষদের অর্থায়নে, ভায়নার মোড়ে চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের মনুমেন্ট স্থাপনা তৈরী করা হচ্ছে। যাত্রী ছাউনি এবং তরকারি ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের জন্য বাজার বসানোর জন্য, তারা রোদ ও বৃষ্টির কষ্ট পায় তার জন্য জেলা পরিষদ এমন মহৎ কাজ করে যাচ্ছিলো।

তিনি বলেন, প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে সওজ। জেলা পরিষদের আইনজীবী বলেন, কাটাখালীর মৌজা ১৬৭ দাগে এসএ ও সিএস রেকর্ড মাগুরা জেলা পরিষদের নামে। আরএস ভুলক্রমে হয়েছে বলে মামলা চলছে, জুন মাসে ৫৩৩/২২ থেকে ৫৪২/২২, দশটি মামলা করা হয় মাগুরা  দেওয়ানী আদালতে। এখন যদি কোথায় কোন স্থাপনা অবৈধ বা বৈধ ভাবে হোক এটা ভাঙ্গতে  গেলে আদালতের পারমিশন বা অনুমতি নিয়ে, আদালতে মামলা বা খাস দখলের মামলা করে ভাঙ্গতে হবে এটাই সঠিক আইনের নিয়ম। জোর করে আদালতের বিনা আদেশে ভাঙ্গার কোন নিয়ম নেই। বিনা নোটিশে ভাঙ্গতে পারবে না, তারা আদালতের মাধ্যমে মামলা করে বা আদেশ করে ভাঙ্গতে পারবে। কিন্তু জোর করে আদালতের স্মরণাপন্ন না হয়ে কোন প্রতিষ্ঠান এটা করতে পারবে না। এটা অবশ্যই আদালতের আদেশ লাগবে ভাঙ্গতে হলে।

জেলা পরিষদের প্রশাসক পঙ্কজ কুমার বলেন, আমাদের অবহিত করে নাই, শুধু একটা পত্র পাঠিয়ে ছিলো ৮ আগস্ট ২০২২ তারিখে ৭ দিনের সময় দিয়ে ছিলো কিন্তু ১১ আগস্ট বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দিলো এটাই এখন প্রশ্নবিদ্ধ। মালিকানায় তারা মানে না। জেলা প্রশাসনের ক্ষমতা ও সওজের ক্ষমতা উভয়ই মিলে যোগসাজশে কাজ করেছে। একচেঞ্জ, এসডি ও সার্ভেয়ার সহ যোগসাজশে অন্তত পক্ষ ৭০-৮০ লক্ষ টাকার বা তার থেকেও বেশি টাকার গাছ ঐ কন্ট্রাক্টরের ভেকু মেশিন দিয়ে উপড়ায়ে তাদের মতো করে বিক্রি করেছে টেন্ডার ছাড়ায়।

স্থানীয় কিছু সাঙ্গ পাঙ্গ গোছায়ে রাতারাতি উঠাইয়াছে ট্রাকে এবং বিক্রি করেছে গাছগুলো। অবৈধভাবে কন্ট্রাক্টরের সাথে যোগসাজশে এরকম চরম অন্যায় ও দুর্নীতি  কাজ আমার জীবনে কখনও দেখিনি। নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) মোঃ আশিকুল ইসলাম বলেন, কাটাখালীর সওজের মালিকানাধীন জায়গায় এসডি সাহেবকে পাঠানো হয়েছে। তারপরও জেলা পরিষদের প্রশাসকের কাছে  কাজটা বন্ধ করার জন্য পত্র পাঠায় ৮ আগস্ট ২০২২ সাল। জেলা পরিষদ ৫০ বছরের পূর্বের রেকর্ড ধরে আছে এটা কোন লজিক্যালে এটা আমার জানা নেই। তারা এটা বলে যে কাটাখালির জায়গা জেলা পরিষদের। রাইট অব ওয়ে বলতে তিনি বুজান, সড়কের ১০ মিটারের মধ্যে কোন স্থাপনা তৈরী করা যাবে না।

আরও পড়ুনঃ বোয়ালমারীতে চাচাতো বোনকে ধর্ষণের পর হত্যা

মাগুরার চাউলিয়া থেকে শুরু করে গঙ্গারামপুরের সড়কের দুই পাশের জেলা পরিষদের জায়গায় অবস্থিত গাছ কর্তন ও বিক্রয় বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সওজের গাছ বিক্রয় হয়েছে কিন্তু জেলা পরিষদের গাছগুলো ডিসি স্যার নিলাম করেছে কিনা জানি না। তবে ডিসি স্যার জেলা পরিষদকে চিঠি দিয়েছে। জেলা পরিষদ প্রশাসক পঙ্কজ কুমার কুন্ডু বলেন, ছয়চার মৌজা জেএল নং-১৬৭ সিএস খতিয়ান ২২৬ দাগ নং- ১০৩২, ১২০০/১৩১৪ এসএ খতিয়ান নং- ০২ দাগে ৪.১৮ একর জমি জেলা পরিষদের মালিকানায়।

আর সওজ চিঠি দিলো ৮ আগস্ট, আর তারা ৭ দিনের কথা বলেই ১১ আগস্ট মাত্র ৪ দিন পরে অবৈধভাবে বা অবৈধ কৌশলে  নির্মাণাদিন স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছে। এজন্য আমরা আদালতে মামলা করেছি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোমস্তাপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে এক বৃদ্ধ মহিলার আত্মাহত্যা

error: Content is protected !!

মাগুরায় সওজ’র অভিযানে গুড়িয়ে দিলো জেলা পরিষদের নির্মাণ কাজঃ ক্ষয় ক্ষতি ১৫ লাক্ষাধিক টাকা 

আপডেট টাইম : ০২:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২
ফারুক আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরাঃ :

মাগুরা জেলা পরিষদের প্রশাসক বাবু পঙ্কজ কুমার কুন্ডু বলেন, এটা এক কথায় বলা যায় যে স্বেচ্ছাচারিতা ও ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অন্যায় এবং অবৈধভাবে দূর্বৃত্তায়নের জন্য তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য এই অপকর্ম করেছে।

কাটাখালের চলমান নির্মাণ কাজ ভেঙ্গেছে আর আমাদের কেউ সেভাবে অবহিত করে নাই। আর ব্যাপার হচ্ছে ঘূর্ণায়মান অক্ষরে জানি না (সওজ) এভাবে ভাঙ্গতে যাবে, জায়গা মাগুরা জেলা পরিষদের। মাগুরা জেলা পরিষদ তৎকালীন সময়ে ব্রিটিশ আমলে ১৮৮৫ সালে এই জেলা বোর্ড বা ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড স্থাপন করার পরবর্তী ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড ছিলো সমস্ত কিছুর দায়দায়িত্বে।

মাগুরায় ২৯৬ মাইল রাস্তা-ঘাঠ আছে জেলা পরিষদের জায়গায়। নির্মিত জেলা পরিষদের সেই জায়গা হঠাৎ করে তারা কিভাবে এটাকে রোডস হাইওয়েকে (সওজ) দিয়েছে রাস্তা বানানোর জন্য। রাস্তার দুই পাশের জায়গা বা অন্যান্য জায়গা সবই জেলা পরিষদের, উনাদের কোন সম্পত্তি না। এই সম্পত্তি সি এস, আর এস ও এস এ যা কিছু আছে সব জেলা পরিষদের নামে।

এই হাল সনের যে রেকর্ড হয়েছে এই রেকর্ডটা অসতর্কার সাথে হোক বা দুর্বৃত্তসত্ব মূলকভাবে হোক, সে সময়ে যারা মাঠ পর্চা দিয়েছে বা মাঠের কাজে যারা নিয়োজিত ছিলো তাদের যোগসাজশে এটা করা হয়েছে। যেটা সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী কাজ, যেটা নিয়মে ছিলো না। আসলে কি ভূমি সংস্কার বা ভূমির এতো দুর্নীতি গ্রস্থ, বাংলাদেশে এর থেকে দুর্নীতি গ্রস্থ আর হয় না। এটা যার যার খুশিমতো সেই সেই করে চলে গেছে। তাদের স্বার্থের কারণে রোডস এ্যান্ড হাইওয়ে (সওজ) কিভাবে দাবি করে, রোডস হাইওয়ে জমি ক্রয় করে নিয়েছে। রোডস হাইওয়ে কার কাছ থেকে নিলো, কিভাবে নিলো, আর পেলো কোথায়। জমি জেলা পরিষদের দখলে আছে আমরা তো রাস্তা বানাতে দিয়েছি।

(১) ১৭ আগস্ট ২০০৯ সালের অর্থবছরের পত্রে আছে, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের জেলা পরিষদের মালিকানাধীন যে কোন রাস্তা ও এলজিইডি কিংবা অন্য কোন সংস্থা বা বিভাগ কর্তৃক উন্নয়ন করা হলেও রাস্তার পার্শ্বের জমির মালিকানা জেলা পরিষদের থাকবে। সাক্ষর- সিনিয়র সহকারী সচিব মাহমুদা খাতুন। (২) স্থানীয় সরকার- যেহেতু পরচা অনুযায়ী মালিকানাধীন জেলা পরিষদের সে কারণে উক্ত সড়কসহ সড়কের উপর অবস্থিত গাছ এবং সড়কের উন্নয়ন কাজ রাস্তার মালিকানাধীন জেলা পরিষদের থাকবে।

অন্য কোন সংস্থা (এলজিইডি বা সড়ক জনপথ বিভাগ) সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী উক্ত সড়কের উন্নয়ন ও রক্ষনাবেক্ষনের কাজ করতে পারে। এর বত্যয় জেলা পরিষদ আইন ২০০০ মতে সম্পত্তি জেলা পরিষদ আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারে। স্মারক ২২৯৭(২), তাং- ১২ আগস্ট ২০০৪ সাল। (৩) স্থানীয় সরকার- সিনিয়র সহকারী সচিব জাকিয়া সুলতানার সাক্ষরে ২৬ মে ২০০৫ সালে, হাই ওয়েজ এ্যাক্ট ১৯২৫ অনুসরণে সড়ক ও সড়ক পার্শ্বস্থ জমির অবস্থিত গাছপালার মালিকানা প্রসঙ্গে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ১৯ মে ২০০৫ সালে,  ৫৩৩ নং স্মারক। উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের প্রেক্ষিতে, নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে জেলা পরিষদের রাস্তায় অন্য কোন সংস্থা গাছ বা যে কোন উন্নয়নমূলক কাজ করালেও রাস্তার মালিকানা সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের থাকবে।

(৪) স্থানীয় সরকার- ২৩ মার্চ ২০১১ সাল, উপযুর্ক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন এলজিইডি এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক উন্নয়নমূলক ও রাস্তার পার্শ্বের গাছের মালিকানা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনকল্পে। গত ২ মার্চ ২০১১ তারিখে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় ৩ টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্ত-১ঃ পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি-একনেক ও সমন্বয় অনুবিভাগ এর ১২ মে ২০০৩ তারিখে পরি/সমন্বয় ২/পকসঅ/কার্য/৫/২০০৩/১৩৯ নম্বর প্রজ্ঞাপনে রাস্তার মালিকানা জেলা পরিষদের নিকট ন্যস্ত করা হয়নি বিধায় উক্ত প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে অন্য কোন সংস্থা রাস্তার মালিকানা দাবী করতে পারবে না।

সিদ্ধান্ত-২ঃ সিএস, এসএ ও আরএস রেকর্ড অনুযায়ী জেলা পরিষদের মালিকানাধীন রাস্তাসমূহের মালিকানা অর্জন করা অপরিহার্য মনে করলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর দেশে বিদ্যমান সম্পত্তি হস্তান্তর আইন মেনে তা অর্জনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারবে। রাস্তার উন্নয়ন বা সম্প্রসারণের জন্য অন্য কোন গাছ কাটার প্রয়োজন হলে (সওজ) সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদকে অনুরোধ জানাবে। জেলা পরিষদ অতি দ্রুততার সাথে গাছসমূহ অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সিদ্ধান্ত-৩ঃ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক জেলা পরিষদের মালিকানাধীন গাছপালা বিক্রির ব্যাপারে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ বাস্তবায়নের স্বার্থে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে অবিলম্বে বিক্রিত গাছের হিসাবসহ পূর্বে কর্তনকৃত গাছের পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যান স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণ করতে হবে। পরিসংখ্যান প্রাপ্তির পর স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীগণকে গাছ কর্তনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশন প্রদান করা হবে। সাক্ষর- সিনিয়র সহকারী সচিব জুবাইদা নাসরীন।

আরও পড়ুনঃ সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন ও মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠিত সভাপতি ফেরদৌস রেজাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন 

১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ সালের বার্ষিক পরিকল্পনা প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন কৌশল নির্ধারণ সভা ২০১২ সালে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন যে সকল সম্পত্তি জেলা প্রশাসক/জনপথ বিভাগের নামে রেকর্ড হয়েছে সে সকল সম্পত্তি স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রাণী বিভাগ ও অন্যান্য অধিদপ্তরের দখলে আছে তা উদ্ধারেরজন্য স্থানীয় ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে বা স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। জমি হইতে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে, উপযুক্ত বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি গোচর হয়েছে এবং বিভিন্ন জেলা পরিষদের মালিকানাধীন সম্পত্তি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে, জেলা প্রশাসকের নামে খতিয়ানে রেকর্ড ভুক্ত করা হয়েছে এবং এই সমস্ত জমি কালেক্টরেট কর্তৃক ইজারা দেওয়া হচ্ছে।

জেলা পরিষদের জমিতে অবৈধ দখলদার আছে এবং ক্রমিক ভাবে এই সকল সম্পত্তি হওয়ায় জেলা পরিষদের যে সকল বেহাত জমি কালেক্টরেট নামে ভুক্ত হয়েছে সে সকল জমি জেলা পরিষদের নামে ফিরিয়ে আনতে আইনানুগ সহযোগিতা প্রদান পূর্বক জেলা পরিষদের নামে জমি রেকর্ড ভুক্ত করতে হবে। জেলা পরিষদের সকল জমি হইতে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা নির্দেশ ক্রমে অনুরোধ জানানো হচ্ছে, সকল জেলা প্রশাসককে। উক্ত সড়ক সহ সড়কের উপর অবস্থিত গাছ, সড়কের উন্নয়ন কাজ, রাস্তার মালিকানা জেলা পরিষদের থাকবে।

অন্য কোন সংস্থা এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী উক্ত সড়কের উন্নয়ন রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করতে পারবে। এর বর্তায় হলে জেলা পরিষদের আইন ২০০০ এর মতে সম্পত্তির রক্ষার্থে জেলা পরিষদ আদালতের কাছে যেতে পারবে। জেলা পরিষদের উপসহকারী প্রকৌশলী শহিদুল আলম বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক জেলা পরিষদের মালিকানা জমিতে জনসাধারণের জন্য নির্মাণ চলমান কাজে (সওজ) বিনা নোটিশে হঠাৎ করে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ ছাড়াই কিভাবে অবৈধভাবে বা পন্থায় এটা বিনষ্ট বা ধ্বংস করলো, এই বিষয়টা আমার বোধগম্য নয়। জেলা পরিষদের মালিকানাধীন যে কোন রাস্তা সংস্থা কর্তৃক উন্নয়নের পূর্বে মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের পূর্ব অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু আমাদের সাথে কোন অনুমতি গ্রহণ করে নাই। ৮ আগস্ট ২০২২ সালে (সওজ) একটা ৭ দিনের সময় দিয়ে চিঠি পাঠায় কিন্তু ১১ আগস্ট সকাল এসেই আইন লংঘন করে অবৈধ উপায়ে বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে, এই স্থাপনার নির্মাণ ক্ষয়ক্ষতির পরিমান টাকায় প্রায় ১৫ লাখ টাকা।

উপজেলা পরিষদ প্রশাসক পঙ্কজ কুমার কুন্ডু বলেন, জেলা পরিষদের আইনজীবী আছে আমরা এই ব্যাপারে আদালতের মাধ্যমে আইন পদক্ষেপ নিবো। জেলা পরিষদ কোন ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান না এটা সরকারের  একটা অঙ্গ বা প্রতিষ্ঠান। এই জেলা পরিষদ মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে। জেলা পরিষদ মাগুরার সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের অংশীদার এবং দুঃসময়ে, সুসময়ে, ভালো ও মন্দ সবসময় জেলা পরিষদ সাধারণ মানুষের পাশে থাকে। জেলা পরিষদ তার নিজস্ব জায়গায় জনগণের স্বার্থের জন্য কাজ করছিলো। ব্যক্তিস্বার্থ, হীনস্বার্থ চরিতার্থার জন্য এত বড় দুঃসাহসিক কাজ কিভাবে সম্ভব হলো এটা আমার বোধগম্য নয়। তারা রাস্তা বানাবে এটার কোন পূর্ব অনুমতিও নেয়নি আমাদের কাছে। রোডস হাইওয়ে জমি চেয়েছে আমি দিয়েছি তারপরও আমার জেলা পরিষদের জমিতে, পরিষদের স্থাপনায় জোর পূর্বক অবৈধ ভাবে ভেঙ্গে দিয়েছে। আসলে দুনিয়ায় এমন অন্যায় নিয়ম আইন আছে কিনা আমার জানা নেই।

জেলা পরিষদের চত্বরে চলমান নির্মিত অডিটোরিয়ামে সুফল ভোগ করবে জনগণ এবং নোমানী ময়দানে বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান অডিটোরিয়াম বানানো এবং নতুন করে সজ্জিত করা হচ্ছে জেলা পরিষদের অর্থায়নে, ভায়নার মোড়ে চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের মনুমেন্ট স্থাপনা তৈরী করা হচ্ছে। যাত্রী ছাউনি এবং তরকারি ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের জন্য বাজার বসানোর জন্য, তারা রোদ ও বৃষ্টির কষ্ট পায় তার জন্য জেলা পরিষদ এমন মহৎ কাজ করে যাচ্ছিলো।

তিনি বলেন, প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে সওজ। জেলা পরিষদের আইনজীবী বলেন, কাটাখালীর মৌজা ১৬৭ দাগে এসএ ও সিএস রেকর্ড মাগুরা জেলা পরিষদের নামে। আরএস ভুলক্রমে হয়েছে বলে মামলা চলছে, জুন মাসে ৫৩৩/২২ থেকে ৫৪২/২২, দশটি মামলা করা হয় মাগুরা  দেওয়ানী আদালতে। এখন যদি কোথায় কোন স্থাপনা অবৈধ বা বৈধ ভাবে হোক এটা ভাঙ্গতে  গেলে আদালতের পারমিশন বা অনুমতি নিয়ে, আদালতে মামলা বা খাস দখলের মামলা করে ভাঙ্গতে হবে এটাই সঠিক আইনের নিয়ম। জোর করে আদালতের বিনা আদেশে ভাঙ্গার কোন নিয়ম নেই। বিনা নোটিশে ভাঙ্গতে পারবে না, তারা আদালতের মাধ্যমে মামলা করে বা আদেশ করে ভাঙ্গতে পারবে। কিন্তু জোর করে আদালতের স্মরণাপন্ন না হয়ে কোন প্রতিষ্ঠান এটা করতে পারবে না। এটা অবশ্যই আদালতের আদেশ লাগবে ভাঙ্গতে হলে।

জেলা পরিষদের প্রশাসক পঙ্কজ কুমার বলেন, আমাদের অবহিত করে নাই, শুধু একটা পত্র পাঠিয়ে ছিলো ৮ আগস্ট ২০২২ তারিখে ৭ দিনের সময় দিয়ে ছিলো কিন্তু ১১ আগস্ট বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দিলো এটাই এখন প্রশ্নবিদ্ধ। মালিকানায় তারা মানে না। জেলা প্রশাসনের ক্ষমতা ও সওজের ক্ষমতা উভয়ই মিলে যোগসাজশে কাজ করেছে। একচেঞ্জ, এসডি ও সার্ভেয়ার সহ যোগসাজশে অন্তত পক্ষ ৭০-৮০ লক্ষ টাকার বা তার থেকেও বেশি টাকার গাছ ঐ কন্ট্রাক্টরের ভেকু মেশিন দিয়ে উপড়ায়ে তাদের মতো করে বিক্রি করেছে টেন্ডার ছাড়ায়।

স্থানীয় কিছু সাঙ্গ পাঙ্গ গোছায়ে রাতারাতি উঠাইয়াছে ট্রাকে এবং বিক্রি করেছে গাছগুলো। অবৈধভাবে কন্ট্রাক্টরের সাথে যোগসাজশে এরকম চরম অন্যায় ও দুর্নীতি  কাজ আমার জীবনে কখনও দেখিনি। নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) মোঃ আশিকুল ইসলাম বলেন, কাটাখালীর সওজের মালিকানাধীন জায়গায় এসডি সাহেবকে পাঠানো হয়েছে। তারপরও জেলা পরিষদের প্রশাসকের কাছে  কাজটা বন্ধ করার জন্য পত্র পাঠায় ৮ আগস্ট ২০২২ সাল। জেলা পরিষদ ৫০ বছরের পূর্বের রেকর্ড ধরে আছে এটা কোন লজিক্যালে এটা আমার জানা নেই। তারা এটা বলে যে কাটাখালির জায়গা জেলা পরিষদের। রাইট অব ওয়ে বলতে তিনি বুজান, সড়কের ১০ মিটারের মধ্যে কোন স্থাপনা তৈরী করা যাবে না।

আরও পড়ুনঃ বোয়ালমারীতে চাচাতো বোনকে ধর্ষণের পর হত্যা

মাগুরার চাউলিয়া থেকে শুরু করে গঙ্গারামপুরের সড়কের দুই পাশের জেলা পরিষদের জায়গায় অবস্থিত গাছ কর্তন ও বিক্রয় বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সওজের গাছ বিক্রয় হয়েছে কিন্তু জেলা পরিষদের গাছগুলো ডিসি স্যার নিলাম করেছে কিনা জানি না। তবে ডিসি স্যার জেলা পরিষদকে চিঠি দিয়েছে। জেলা পরিষদ প্রশাসক পঙ্কজ কুমার কুন্ডু বলেন, ছয়চার মৌজা জেএল নং-১৬৭ সিএস খতিয়ান ২২৬ দাগ নং- ১০৩২, ১২০০/১৩১৪ এসএ খতিয়ান নং- ০২ দাগে ৪.১৮ একর জমি জেলা পরিষদের মালিকানায়।

আর সওজ চিঠি দিলো ৮ আগস্ট, আর তারা ৭ দিনের কথা বলেই ১১ আগস্ট মাত্র ৪ দিন পরে অবৈধভাবে বা অবৈধ কৌশলে  নির্মাণাদিন স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছে। এজন্য আমরা আদালতে মামলা করেছি।


প্রিন্ট