ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বোয়ালমারীর ১০ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দশটি গ্রামে একদিন আগে পবিত্র ঈদুল আজহা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ উপজেলার ১০টি গ্রামের আংশিক লোক বহু বছর ধরে দেশের প্রচলিত নিয়মের বাইরে সৌদি আরব রাষ্ট্রের সাথে মিল রেখে একই দিনে ঈদ উদযাপন করেন।

শনিবার সকালে উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের সহস্রাইল, দড়ি সহস্রাইল, ভুলবাড়িয়া, মাইটকুমড়া, গঙ্গানন্দপুর, রাখালতলী, বারাংকুলা, বড়গাঁ, কাটাগড় ও দীঘির পাড় গ্রাম গুলোর মানুষ পৃথক পৃথক স্থানে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। মাইটকুমড়া মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজের ইমাম ছিলেন, যশোর বাইশবাড়িয়া হাফেজী মাদ্রাসার ছাত্র মাইটকুমড়া গ্রামের রিফাত শিকদার।

তারা সকলে চট্রগ্রামের সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারী বলে জানা গেছে।

ঈদের নামাজে আসা মাইটকুমড়া গ্রামের মোকাম্মেল শিকদার (৬৫) বলেন, পবিত্র হজ্বের পরের দিন আমরা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করি। প্রায় ৫০ বছর যাবত এ নিয়মে আমরা ঈদ উদযাপন করে আসছি।

আবুল হোসেন শিকদার বলেন, আমারা সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারী কারণে তাদের সাথে একমত করে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে থাকি, এবং এ দিনটি উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপন করি।

আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র তামীম লস্কার বলেন, আমাদের মাইটকুমড়া গ্রামে দু দিন ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এক পক্ষ একদিন আগে ঈদ করে আমরা করি পরের দিন । আমার কাছে এ বিষয়ট অনেক ভালো লাগে কারণ এক ঈদে পূর্ণ আমেজ দু দিন উদযাপন করি।

আরও পড়ুনঃ শেখর ইউপি চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতা, চরম ভোগান্তিতে সংখ্যা গরিষ্ঠ ইউনিয়নবাসী


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে হত্যাচেষ্টা মামলায় কুষ্টিয়ার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

error: Content is protected !!

বোয়ালমারীর ১০ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন

আপডেট টাইম : ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ জুলাই ২০২২
এস. এম. রুবেল, বিশেষ প্রতিনিধিঃ :

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দশটি গ্রামে একদিন আগে পবিত্র ঈদুল আজহা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ উপজেলার ১০টি গ্রামের আংশিক লোক বহু বছর ধরে দেশের প্রচলিত নিয়মের বাইরে সৌদি আরব রাষ্ট্রের সাথে মিল রেখে একই দিনে ঈদ উদযাপন করেন।

শনিবার সকালে উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের সহস্রাইল, দড়ি সহস্রাইল, ভুলবাড়িয়া, মাইটকুমড়া, গঙ্গানন্দপুর, রাখালতলী, বারাংকুলা, বড়গাঁ, কাটাগড় ও দীঘির পাড় গ্রাম গুলোর মানুষ পৃথক পৃথক স্থানে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। মাইটকুমড়া মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজের ইমাম ছিলেন, যশোর বাইশবাড়িয়া হাফেজী মাদ্রাসার ছাত্র মাইটকুমড়া গ্রামের রিফাত শিকদার।

তারা সকলে চট্রগ্রামের সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারী বলে জানা গেছে।

ঈদের নামাজে আসা মাইটকুমড়া গ্রামের মোকাম্মেল শিকদার (৬৫) বলেন, পবিত্র হজ্বের পরের দিন আমরা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করি। প্রায় ৫০ বছর যাবত এ নিয়মে আমরা ঈদ উদযাপন করে আসছি।

আবুল হোসেন শিকদার বলেন, আমারা সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারী কারণে তাদের সাথে একমত করে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে থাকি, এবং এ দিনটি উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপন করি।

আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র তামীম লস্কার বলেন, আমাদের মাইটকুমড়া গ্রামে দু দিন ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এক পক্ষ একদিন আগে ঈদ করে আমরা করি পরের দিন । আমার কাছে এ বিষয়ট অনেক ভালো লাগে কারণ এক ঈদে পূর্ণ আমেজ দু দিন উদযাপন করি।

আরও পড়ুনঃ শেখর ইউপি চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতা, চরম ভোগান্তিতে সংখ্যা গরিষ্ঠ ইউনিয়নবাসী


প্রিন্ট