ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বাংলাদেশের র‌্যাঙ্গস গ্রুপের ম্যানেজারের লাশ মহেশপুর সিমান্তে উদ্ধার নিয়ে রহস্য ঘেরা!

ভারতের কাশিপুর এলাকায় এভাবেই পড়ে ছিলো প্রদিপ কংশ বণিক এর লাশ।

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার লেবুতলা সীমান্তের বিপরীতে ভারতের কাশিপুর এলাকায় প্রদিপ কংশ বণিক (৪৮) নামে কথিত এক বাংলাদেশী নাগরিকের লাশ উদ্ধার নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রদিপকে বাংলাদেশের র‌্যাঙ্গস মটর লিমিটেডের ম্যানেজার দাবী করা হলেও তার মৃতদেহের কাছে মিলেছে ভারতীয় পাসপোর্ট। ফলে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ প্রদিপের লাশ ভারতীয় হিসেবে নিয়ে গেছে।

মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, প্রদিপ কংশ বণিকের লাশ গত মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ভারতের কাশিপুর এলাকার একটি রাস্তার উপর পড়ে ছিল। খবর পেয়ে ভারতের পশ্চিবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। লাশের পাশে ৪টি মোবাইল ফোন, ভারতীয় পাসপোর্ট, র‌্যাঙ্গস মটরের পরিচয়পত্র ও ভিজিটিং কার্ড পড়ে ছিল।

যোগাযোগ করা হলে র‌্যাঙ্গস গ্রুপের কর্মকর্তা লিটন জানান, প্রদীপ কংস বণিক তাদের হেড অফিসের ম্যানেজার। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে। গত ২৩ জানুয়ারি অফিসের কাজে প্রদিপ যশোরে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তবে তার পাসপোর্টে বিজনেস ভিসা লাগানো ছিল বলে প্রদিপের ছোট ভাই এবি ব্যাংকের অফিসার সুবীর কংশ বণিক দাবী করেন। তার ভাই কি কারনে ভারতে গেছেন তা নিয়ে তাদেরও সন্দেহ বলে ভাই সুবীর জানান।

ভারতের বাগদা থেকে সাংবাদিক উত্তম সাহা জানান, পশ্চিবঙ্গের বাগদা থানার কাশিপুর গ্রামের সীমান্ত এলাকায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পাসপোর্ট নম্বর আর ৪৮৮৭৮০৮।

এদিকে বিজিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রদীপের নিকট যে পাসপোর্ট ছিল তা ভারতীয়। ফলে তার লাশ ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ নিজেদের নাগরিক দাবী করে নিয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ ও বিজিবির কর্মকর্তারা মনে করেন, প্রদিপ কংশের দ্বৈত নাগরিক ছিল। তবে তার নিহত হওয়ার ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করছে তার পরিবার। তাছাড়া তিনি কারো কিছু না জানিয়ে কেন ভারতে গিয়েছিলেন, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

বাংলাদেশের র‌্যাঙ্গস গ্রুপের ম্যানেজারের লাশ মহেশপুর সিমান্তে উদ্ধার নিয়ে রহস্য ঘেরা!

আপডেট টাইম : ১০:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২
মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ :

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার লেবুতলা সীমান্তের বিপরীতে ভারতের কাশিপুর এলাকায় প্রদিপ কংশ বণিক (৪৮) নামে কথিত এক বাংলাদেশী নাগরিকের লাশ উদ্ধার নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রদিপকে বাংলাদেশের র‌্যাঙ্গস মটর লিমিটেডের ম্যানেজার দাবী করা হলেও তার মৃতদেহের কাছে মিলেছে ভারতীয় পাসপোর্ট। ফলে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ প্রদিপের লাশ ভারতীয় হিসেবে নিয়ে গেছে।

মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, প্রদিপ কংশ বণিকের লাশ গত মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ভারতের কাশিপুর এলাকার একটি রাস্তার উপর পড়ে ছিল। খবর পেয়ে ভারতের পশ্চিবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। লাশের পাশে ৪টি মোবাইল ফোন, ভারতীয় পাসপোর্ট, র‌্যাঙ্গস মটরের পরিচয়পত্র ও ভিজিটিং কার্ড পড়ে ছিল।

যোগাযোগ করা হলে র‌্যাঙ্গস গ্রুপের কর্মকর্তা লিটন জানান, প্রদীপ কংস বণিক তাদের হেড অফিসের ম্যানেজার। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে। গত ২৩ জানুয়ারি অফিসের কাজে প্রদিপ যশোরে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তবে তার পাসপোর্টে বিজনেস ভিসা লাগানো ছিল বলে প্রদিপের ছোট ভাই এবি ব্যাংকের অফিসার সুবীর কংশ বণিক দাবী করেন। তার ভাই কি কারনে ভারতে গেছেন তা নিয়ে তাদেরও সন্দেহ বলে ভাই সুবীর জানান।

ভারতের বাগদা থেকে সাংবাদিক উত্তম সাহা জানান, পশ্চিবঙ্গের বাগদা থানার কাশিপুর গ্রামের সীমান্ত এলাকায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পাসপোর্ট নম্বর আর ৪৮৮৭৮০৮।

এদিকে বিজিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রদীপের নিকট যে পাসপোর্ট ছিল তা ভারতীয়। ফলে তার লাশ ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ নিজেদের নাগরিক দাবী করে নিয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ ও বিজিবির কর্মকর্তারা মনে করেন, প্রদিপ কংশের দ্বৈত নাগরিক ছিল। তবে তার নিহত হওয়ার ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করছে তার পরিবার। তাছাড়া তিনি কারো কিছু না জানিয়ে কেন ভারতে গিয়েছিলেন, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।


প্রিন্ট