ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কোলাহলে মুখরিত চাটমোহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো

১৮ মাস পর খোলা হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টা থেকেই শিক্ষার্থীদের  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা শুরু করে। বছরের প্রথম দিনের মতোই শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। স্কুলে যাবার জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ছিল নানা প্রস্তুতি। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে চাটমোহর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তবে দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা। সবার মনে ছিল উৎসবের আমেজ। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক সবাই আনন্দ নিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসেন। এ এক অন্যরকম অনুভূতি। দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত। অনেকের আবারো নতুন ক্লাসে প্রথমবার আসা।
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস পরে সারাদেশের ন্যায় চাটমোহর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও খুলে গেছে। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
সরেজমিনে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে  দেখা গেছে,উপজেলায় স্কুল খোলার আনন্দে সকাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এতদিন পরে স্কুলে আসতে পেরেতাঁদের আনন্দের যেন শেষ নেই। শিক্ষার্থীদের আবেদন বলেন,এত দিন পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও সবাই একসঙ্গে ক্লাস করতে পারছি না। তবে আর যেন স্কুল বন্ধ না হয়।
খতবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আনন্দে সকাল থেকে স্কুলের সকল শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করে। তবে,পঞ্চম শ্রেণি ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে তাদের স্কুলে আসতে হবে।
চাটমোহর আর সি এন এন্ড বি এস এন স্কুলের  প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম জানান,সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক শতভাগ মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা ক্লাস চালু করেছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার মাহবুবুর রহমান জানান,আমরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস চালু করার জন্য সকল প্রধান শিক্ষককে বলেছি। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছি। মাস্ক ব্যবহার, থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপ ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হয়েছে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

তানোরে হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ

error: Content is protected !!

কোলাহলে মুখরিত চাটমোহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো

আপডেট টাইম : ০৪:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
১৮ মাস পর খোলা হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টা থেকেই শিক্ষার্থীদের  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা শুরু করে। বছরের প্রথম দিনের মতোই শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। স্কুলে যাবার জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ছিল নানা প্রস্তুতি। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে চাটমোহর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তবে দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা। সবার মনে ছিল উৎসবের আমেজ। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক সবাই আনন্দ নিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসেন। এ এক অন্যরকম অনুভূতি। দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত। অনেকের আবারো নতুন ক্লাসে প্রথমবার আসা।
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস পরে সারাদেশের ন্যায় চাটমোহর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও খুলে গেছে। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
সরেজমিনে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে  দেখা গেছে,উপজেলায় স্কুল খোলার আনন্দে সকাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এতদিন পরে স্কুলে আসতে পেরেতাঁদের আনন্দের যেন শেষ নেই। শিক্ষার্থীদের আবেদন বলেন,এত দিন পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও সবাই একসঙ্গে ক্লাস করতে পারছি না। তবে আর যেন স্কুল বন্ধ না হয়।
খতবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আনন্দে সকাল থেকে স্কুলের সকল শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করে। তবে,পঞ্চম শ্রেণি ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে তাদের স্কুলে আসতে হবে।
চাটমোহর আর সি এন এন্ড বি এস এন স্কুলের  প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম জানান,সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক শতভাগ মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা ক্লাস চালু করেছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার মাহবুবুর রহমান জানান,আমরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস চালু করার জন্য সকল প্রধান শিক্ষককে বলেছি। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছি। মাস্ক ব্যবহার, থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপ ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হয়েছে।