করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন কন্ধের পর খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। চাটমোহরের স্কুলগুলোতে এখন চলছে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি। বেশির ভাগ স্কুলের আসবাবপত্রের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন বিদ্যালয়ের আশেপাশের ঝোপঝাড় পরিস্কার করা হচ্ছে। চলছে স্কুল সজ্জিতকরণের কাজ। তবে উপজেলার ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যা কবলিত। এগুলোতে ক্লাস শুরু করা নিয়ে কিছুটা অনিশবচয়তায় রয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
দীর্ঘ দেড় বছর পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চাটমোহর উপজেলায় প্রাথমিক,মাধ্যমিক. মাদ্রাসা মিলে মোট ২২৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া কলেজের সংখ্যা ৭ টি। টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ১০টি।
ইতোমধ্যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের নতুন করে বরণ করতে বিদ্যালয়গুলো অপেক্ষায় আছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা আর ধোয়া-মোছার কাজ চলছে। স্প্রে করা হচ্ছে জীবানুনাশক ওষুধ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস পরিচালনার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে স্কুলে স্কুলে।
সরেজমিন দেখা যায়,উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় ভবন,বেঞ্চ,জানালা-দরজা মেরামত,রংকরণ, বেসিন স্থাপন করা হয়েছে।চাটমোহরের বেঁাথর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহিদা সুলতানা লিপি বলেন,এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর ক্লাস শুরু করতে পারবো। তিনি বলেন,স্কুলে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনা ও শিখন ঘাটতি পূরণ করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। একই কথা বললেন বিলচলন ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আলতাব হোসেন।
চাটমোহর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও চড়ইকোল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস রঞ্জন তলাপাত্র বলেন,আমাদের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সব রকম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারিভাবে যে নির্দেশনা দেওয়া হবে,সেভাবেই সবকিছু করা হবে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মাহবুবুর রহমান বলেন,এরই মধ্যে উপজেলার ১৫৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের প্রস্তুতি রয়েছে।
তিনি বলেন,উপজেলার ২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার কবলে। আমরা পার্শ্ববর্তী কোন উচু জায়গায় বিকল্প ব্যবস্থা করতে চেষ্টা করছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মগরেব আলী বললেন,আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা প্রতিটি স্কুলে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন,উপজেলার ৭টি হাইস্কুল বন্যায় কবলিত। তবে তেমন অসুবিধা হবেনা।
প্রিন্ট