গত ১৮ আগস্ট ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দুলালমুন্দিয়া থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৬টি গরু উদ্ধার করে পুলিশ। যার মূল্য প্রায় চার লক্ষ টাকা। সর্বশেষ গত ২৩ আগস্ট কালীগঞ্জের চারজন গরু মালিক আদালতের আশ্রয় নিয়েও গরু ফেরত না পাওয়াতে ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার এস আই সুজাত হোসেন জানান, উদ্ধারকৃত ৬ টি গরু থানায় এনে জিডি ও পরে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন থানাতে বেতার বার্তা প্রেরন করা হয়।
এছাড়াও প্রকৃত গরুর মালিকদের প্রমানাদি সহ থানাতে যোগাযোগের আহব্বান জানান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন এলাকা থেকে একাধিক মানুষ গরুগুলো দেখতে আসেন। এ সময়ে স্থানীয় চারজন ছাড়াও একাধিক ব্যক্তি মৌখিক ভাবে গরুগুলোর মালিকানা দাবি করছিল। যে কারণে পুলিশ বাধ্য হয়ে মালিকানা নিশ্চিত করতে একটি জব্দ তালিকা করে ঝিনাইদহে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। দাবীকৃত মালিকগনের আদালতে দায়ের করা প্রতিবেদনটি তদন্তের জন্য ২৫ আগস্ট থানাতে আসে।
তিনি পূনরায় তদন্ত শেষে পরদিনই ওই প্রতিবেদনের জবাব আদালতে দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনে পুলিশ উল্লেখ করেছে, গরুর দাবীকৃত মালিকগন উপযুক্ত প্রমানাদি দেখাতে পারেনী। তাই উপযুক্ত প্রমানাদি দিয়েই প্রকৃত মালিকগন আদালত থেকে গরুগুলি গ্রহন করবেন। গরুর মালিকানা দাবীকৃত ৪ ব্যাক্তি হলেন, কালীগঞ্জ পৌর এলাকার মধুগঞ্জ বাজারের এনামুল হক ঈমানের তিনটি, মুন্নার একটি, ঢাকালে পাড়ার পারভেজ রহমান রচির একটি ও পৌরসভার পানির লাইনের কর্মচারী নুর ইসলাম একটি গরু।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, অনেকেই গরুর মালিকানা দাবি করাতে তারা জব্দ তালিকা করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে মালিকগনও আদালতে গেছে। তাই প্রয়োজনে গরুর সঠিক মালিকানা নির্ধারনে ডিএনএ টেষ্টও করানো হতে পাওে বলে তিনি জানান।
প্রিন্ট