ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কালীগঞ্জের ফুলবাড়ি ব্রীজ ভাঙ্গা; দুই বছর লাল ফ্লাগের সতর্কবার্তা নিয়ে চলাচল!

রাস্তার দু-ধারে টাঙানো লাল সালু। মাঝে ছোট ব্রীজের একাংশ ভেঙে পড়ে প্রায় দুই বছর। চলাচলের জন্য বাশের সাঁকো তৈরি করা হলেও সেটি নড়বড়ে ও জরাজীর্ন। ভ্যান-রিক্সা, সাইকেল তো যায়ই না বরং কোন রকমে মানুষ চলাচল করতে পারে। চিত্রটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ফুলবাড়ি ব্রীজের।

জানা গেছে, ভৈরব নদীর উপর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বারোবাজার ফুলবাড়ি এলাকায় অবস্থিত ব্রীজটি আকারে ছোট হলেও পাশ্ববর্তি ফুলবাড়ি, ঝনঝনিয়া, কাস্টভাঙ্গা, বেলে ঘাটসহ যশোরের চৌগাছা উপজেলার মানুষ বারোবাজার, কালীগঞ্জ এলাকায় যাতায়াতের পাশাপাশি জরুরী প্রয়োজন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ব্রীজটি ব্যবহার করে থাকে।

কিন্তু প্রায় দুই বছর আছে ভৈরব নদীর এই অংশটি খনন করা হয়। ফলে খনন পরবর্তি বর্ষায় পানির তোড়ে ভেঙে পড়ে ব্রীজের একাংশ। এর কিছুদিন পরে এই স্থানে যেনতেন ভাবে একটি সাকো তৈরি করা হলেও সেটিও ভেঙে গেছে। প্রায় এক মাস আগে এই স্থানে রাতে মটর সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় নদীতে পড়ে দুই জনের মৃত্যুও হয়েছে।

এলাকাবাসি ইসরাইল হোসেন জানান, এই ব্রীজ ভেঙে থাকার কারনে পাশ্ববর্তি ঝনঝনিয়াসহ অন্যান্য গ্রামে যেতে অনেক পথ ঘুরতে হয়। ঝনঝনিয়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আমার বাড়ি থেকে বাজার মত্র দুই কিলোমিটার। কিন্তু এই ব্রীজ ভাঙার কারনে পাচ কিলো ঘুরে যেতে হয় বাজারে। ক্ষেতের কাচা তরকারি বারোবাজার ও যশোরের চুড়ামনকাঠি বাজারে নিতে পারছি না। এলাকার মিজানুর রহমান জানান, বড় বড় কথা বলার অনেকেই আছে। কিন্তু কাজের কাজ কেউ করে না। যদি কেউ কাজ করার মত থাকতো তাহলে গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রীজটি বেহাল অবস্থায় এতো দিন পড়ে থাকতো না।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী রুহুল ইসলাম জানান, চলাচলের অযোগ্য ব্রীজটি অচিরেই পুন:নির্মাণের কাজ শুরু হবে। টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। কাজটি পেয়েছেন ঝিনাইদহের ঠিকাদার মিজানুর রহমান। ৬০ মিটার দৈর্ঘের ব্রীজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

কালীগঞ্জের ফুলবাড়ি ব্রীজ ভাঙ্গা; দুই বছর লাল ফ্লাগের সতর্কবার্তা নিয়ে চলাচল!

আপডেট টাইম : ১০:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ :

রাস্তার দু-ধারে টাঙানো লাল সালু। মাঝে ছোট ব্রীজের একাংশ ভেঙে পড়ে প্রায় দুই বছর। চলাচলের জন্য বাশের সাঁকো তৈরি করা হলেও সেটি নড়বড়ে ও জরাজীর্ন। ভ্যান-রিক্সা, সাইকেল তো যায়ই না বরং কোন রকমে মানুষ চলাচল করতে পারে। চিত্রটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ফুলবাড়ি ব্রীজের।

জানা গেছে, ভৈরব নদীর উপর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বারোবাজার ফুলবাড়ি এলাকায় অবস্থিত ব্রীজটি আকারে ছোট হলেও পাশ্ববর্তি ফুলবাড়ি, ঝনঝনিয়া, কাস্টভাঙ্গা, বেলে ঘাটসহ যশোরের চৌগাছা উপজেলার মানুষ বারোবাজার, কালীগঞ্জ এলাকায় যাতায়াতের পাশাপাশি জরুরী প্রয়োজন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ব্রীজটি ব্যবহার করে থাকে।

কিন্তু প্রায় দুই বছর আছে ভৈরব নদীর এই অংশটি খনন করা হয়। ফলে খনন পরবর্তি বর্ষায় পানির তোড়ে ভেঙে পড়ে ব্রীজের একাংশ। এর কিছুদিন পরে এই স্থানে যেনতেন ভাবে একটি সাকো তৈরি করা হলেও সেটিও ভেঙে গেছে। প্রায় এক মাস আগে এই স্থানে রাতে মটর সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় নদীতে পড়ে দুই জনের মৃত্যুও হয়েছে।

এলাকাবাসি ইসরাইল হোসেন জানান, এই ব্রীজ ভেঙে থাকার কারনে পাশ্ববর্তি ঝনঝনিয়াসহ অন্যান্য গ্রামে যেতে অনেক পথ ঘুরতে হয়। ঝনঝনিয়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আমার বাড়ি থেকে বাজার মত্র দুই কিলোমিটার। কিন্তু এই ব্রীজ ভাঙার কারনে পাচ কিলো ঘুরে যেতে হয় বাজারে। ক্ষেতের কাচা তরকারি বারোবাজার ও যশোরের চুড়ামনকাঠি বাজারে নিতে পারছি না। এলাকার মিজানুর রহমান জানান, বড় বড় কথা বলার অনেকেই আছে। কিন্তু কাজের কাজ কেউ করে না। যদি কেউ কাজ করার মত থাকতো তাহলে গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রীজটি বেহাল অবস্থায় এতো দিন পড়ে থাকতো না।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী রুহুল ইসলাম জানান, চলাচলের অযোগ্য ব্রীজটি অচিরেই পুন:নির্মাণের কাজ শুরু হবে। টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। কাজটি পেয়েছেন ঝিনাইদহের ঠিকাদার মিজানুর রহমান। ৬০ মিটার দৈর্ঘের ব্রীজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।


প্রিন্ট