ঢাকা , শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাছের খাবার ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি; করোনা মহামারিতে দুর্দশা কাটেনি মৎস্য চাষীদের!

মাসের পর মাস লোকসান গুনতে হচ্ছে ঝিনাইদহের মৎস্য চাষীদের!

ঝিনাইদহে করোনা মহামারিতে দুর্দশা কাটেনি মৎস্য চাষীদের। মাছের খাবার ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পেলেও খরচের তুলনায় মাছের দাম কম হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে মাছ চাষীদের।

ঝিনাইদহের মাছ চাষী মনিরুল ইসলাম জানান, আমার ৪৫ বিঘা মাছ চাষের পুকুর রয়েছে। এখান থেকে উৎপাদিত মাছ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যাপারীরা এসে চাহিদা মত মাছ নিয়ে যেত। এতে লাভের অঙ্ক ও ভাল হতো। করোনা মহামারির সময় থেকে এ পর্যন্ত প্রচুর লোকসান গুনতে হচ্ছে।

করোনা পূর্ববর্তী সময়ে ৪৫ বিঘা মাছ চাষ করতে বছরে ৭০/৭৫ লাখ টাকা মাছের পিছনে ব্যয় করে ৯০/৯৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হতো। মহামারী করোনার কারণে মাছের খাদ্য, খৈল, ভূষির দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় খরচের টাকা তুলতে রীতিমত হিমসিম খেতে হচ্ছে। আরো এক মাছ চাষী লাবলু বিশ্বাস জানান, বর্তমানে চাছ চাষ করতে প্রচুর ব্যয় হচ্ছে। সেই তুলনায় মাছ বিক্রি করা যাচ্ছে না। লোকসান গুনতে হচ্ছে।

হঠাৎ লোকসানের কারণ সম্পর্কে বলেন, মহামারি করোনার কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যপারি না আসা, হঠাৎ মাছের খাবার প্রতি বস্তায় ৫শ টাকা, প্রতিবস্তা খৈল ৮শ টাকা, এ ছাড়াও পরিবহন খরচ দ্বিগুন বৃদ্ধি পেলেও মাছের দাম বৃদ্ধি পায়নি। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

 


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

গোমস্তাপুরে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু

error: Content is protected !!

মাছের খাবার ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি; করোনা মহামারিতে দুর্দশা কাটেনি মৎস্য চাষীদের!

মাসের পর মাস লোকসান গুনতে হচ্ছে ঝিনাইদহের মৎস্য চাষীদের!

আপডেট টাইম : ০৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১
মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ :

ঝিনাইদহে করোনা মহামারিতে দুর্দশা কাটেনি মৎস্য চাষীদের। মাছের খাবার ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পেলেও খরচের তুলনায় মাছের দাম কম হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে মাছ চাষীদের।

ঝিনাইদহের মাছ চাষী মনিরুল ইসলাম জানান, আমার ৪৫ বিঘা মাছ চাষের পুকুর রয়েছে। এখান থেকে উৎপাদিত মাছ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যাপারীরা এসে চাহিদা মত মাছ নিয়ে যেত। এতে লাভের অঙ্ক ও ভাল হতো। করোনা মহামারির সময় থেকে এ পর্যন্ত প্রচুর লোকসান গুনতে হচ্ছে।

করোনা পূর্ববর্তী সময়ে ৪৫ বিঘা মাছ চাষ করতে বছরে ৭০/৭৫ লাখ টাকা মাছের পিছনে ব্যয় করে ৯০/৯৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হতো। মহামারী করোনার কারণে মাছের খাদ্য, খৈল, ভূষির দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় খরচের টাকা তুলতে রীতিমত হিমসিম খেতে হচ্ছে। আরো এক মাছ চাষী লাবলু বিশ্বাস জানান, বর্তমানে চাছ চাষ করতে প্রচুর ব্যয় হচ্ছে। সেই তুলনায় মাছ বিক্রি করা যাচ্ছে না। লোকসান গুনতে হচ্ছে।

হঠাৎ লোকসানের কারণ সম্পর্কে বলেন, মহামারি করোনার কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যপারি না আসা, হঠাৎ মাছের খাবার প্রতি বস্তায় ৫শ টাকা, প্রতিবস্তা খৈল ৮শ টাকা, এ ছাড়াও পরিবহন খরচ দ্বিগুন বৃদ্ধি পেলেও মাছের দাম বৃদ্ধি পায়নি। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

 


প্রিন্ট