কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুই ইউনিয়নের ৩৭ গ্রামের পানিবন্দি প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বেড়েছে দূর্ভোগ। মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে পানিবাহিত বিভিন্ন ধরণের রোগ। কোমর আর হাটু পানির মধ্যে কষ্টে কাটছে তাদের দিন। বন্যার এই দুঃসময়ে প্রসূতি’রও সন্তান হচ্ছে পানির মধ্যে তৈরী করা উচুঁ মাচায় অথবা নৌকায়।
পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের ৩৭টি গ্রাম বন্যা কবলিত হওয়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়ে ওইসকল গ্রামের মানুষজন। কোমর অথবা হাটু পানির মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে তাদের। বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে পানি বাহিত নানা ধরণের রোগ। বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও পশু খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
তারা সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। এদিকে প্রায় ১০দিন ধরে পানিবন্দি অসহায় মানুষের অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটলেও দুই ইউনিয়নে মাত্র দুই হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় একবারে কম।
রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল জানান, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মানুষ এখন বন্যার পানিতে বন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। পানিবন্দি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে পানি বাহিত নানা ধরণের রোগ। এমুহুর্তে বন্যাকবলিতদের প্রয়োজন ওষুধ ও পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তার।
চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ জানান, পানি কিছুটা কমলেও বানভাষি মানুষের দূর্ভোগ ও কষ্ট একটুও কমেনি। প্রয়োজন বা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল ত্রাণসহায়তার কারণে পানিবন্দি মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে। এছাড়াও বন্যায় আমন ধান, পাটক্ষেত, মরিচক্ষেত, কলাবাগান ও পানবরজসহ বিভিন্ন ধরণের জমির ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে চাষীদের।
প্রিন্ট