ঢাকা , সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফরিদপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে কিশোরীর ‌ আত্মহত্যা Logo এনসিপির কোন কমিটিতে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা থাকলে বিএনপি ছাড় দিবে নাঃ -আনিসুর রহমান Logo ধর্ষণ-নিপীড়ন বন্ধে ব্যর্থ অর্ন্তবর্তী সরকারওঃ -মোমিন মেহেদী Logo হাতিয়ায় গ্রাম পুলিশের হাত ভেঙে দিলেন শ্রমিকদল নেতা Logo কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে বেনাপোল কাস্টমসের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে Logo কানাইপুরে কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি কুটি মিয়া গ্রেপ্তার Logo পদ্মা নদীতে ৪২ কেজি ওজনের বিরল বাঘাইড় ধরা, ৬২ হাজার টাকায় বিক্রি Logo নরসিংদী সদর উপজেলায় নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘন করে ইমারত নির্মাণে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি Logo নরসিংদীতে অনেক জল্পনা কল্পনা অবসান ঘটিয়ে মরহুম আলহাজ্ব মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া ইরান এর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে শ্রীমৎ বন্ধু কল্যান ব্রত ব্রহ্মচারীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নরসিংদী সদর উপজেলায় নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘন করে ইমারত নির্মাণে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি

মোঃ আলম মৃধাঃ

 

নরসিংদী সদর উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) লঙ্ঘন করে গড়ে উঠছে একের পর এক বহুতল আবাসিক, অনাবাসিক, শিল্প ও বাণিজ্যিক ভবন। এসব ভবনের অধিকাংশই সরকারের অনুমোদন ব্যতীত নির্মিত হচ্ছে, যার ফলে সরকার প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সদরের একাধিক ইউনিয়নে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নতুন বিল্ডিং নির্মাণ যেন প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়েছে। আধুনিক ডিজাইনের দৃষ্টিনন্দন বহুতল ভবন, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট উঠছে যত্রতত্র, কিন্তু সেগুলোর বেশিরভাগেরই নেই কোনো বৈধ প্লান কিংবা নকশা অনুমোদন। অনেকে জানেন না যে, একটি স্থাপনা নির্মাণের আগে অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। আবার কেউ কেউ জেনেও ইচ্ছাকৃতভাবে বিধিমালা উপেক্ষা করছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব অবৈধ নির্মাণ ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ভূমিকম্প বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এসব অননুমোদিত স্থাপনা মারাত্মক প্রাণহানির কারণ হতে পারে। তাছাড়া নকশাবহির্ভূত নির্মাণের ফলে নগর পরিকল্পনা যেমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি কর ফাঁকির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্র।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলার একজন প্রকৌশলী জানান, “বিএনবিসি ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা মেনে ভবন নির্মাণ করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি নিয়মকে পাশ কাটিয়ে লাভবান হচ্ছে। এটা শুধু অনৈতিকই নয়, আইনত অপরাধও বটে।”

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, এখনই সময় প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার। অবিলম্বে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো, ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও অননুমোদিত ইমারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তবেই সরকারের রাজস্ব রক্ষা পাবে এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে।

নির্বিকার নির্মাণযজ্ঞ বন্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে নরসিংদী সদর উপজেলার সচেতন মহল। উন্নয়ন হোক পরিকল্পিত, নিরাপদ ও বিধিমালানুসারী-এটাই সময়ের দাবি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে কিশোরীর ‌ আত্মহত্যা

error: Content is protected !!

নরসিংদী সদর উপজেলায় নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘন করে ইমারত নির্মাণে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি

আপডেট টাইম : ১৫ ঘন্টা আগে
মোঃ আলম মৃধা, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি :

মোঃ আলম মৃধাঃ

 

নরসিংদী সদর উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) লঙ্ঘন করে গড়ে উঠছে একের পর এক বহুতল আবাসিক, অনাবাসিক, শিল্প ও বাণিজ্যিক ভবন। এসব ভবনের অধিকাংশই সরকারের অনুমোদন ব্যতীত নির্মিত হচ্ছে, যার ফলে সরকার প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সদরের একাধিক ইউনিয়নে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নতুন বিল্ডিং নির্মাণ যেন প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়েছে। আধুনিক ডিজাইনের দৃষ্টিনন্দন বহুতল ভবন, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট উঠছে যত্রতত্র, কিন্তু সেগুলোর বেশিরভাগেরই নেই কোনো বৈধ প্লান কিংবা নকশা অনুমোদন। অনেকে জানেন না যে, একটি স্থাপনা নির্মাণের আগে অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। আবার কেউ কেউ জেনেও ইচ্ছাকৃতভাবে বিধিমালা উপেক্ষা করছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব অবৈধ নির্মাণ ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ভূমিকম্প বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এসব অননুমোদিত স্থাপনা মারাত্মক প্রাণহানির কারণ হতে পারে। তাছাড়া নকশাবহির্ভূত নির্মাণের ফলে নগর পরিকল্পনা যেমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি কর ফাঁকির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্র।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলার একজন প্রকৌশলী জানান, “বিএনবিসি ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা মেনে ভবন নির্মাণ করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি নিয়মকে পাশ কাটিয়ে লাভবান হচ্ছে। এটা শুধু অনৈতিকই নয়, আইনত অপরাধও বটে।”

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, এখনই সময় প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার। অবিলম্বে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো, ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও অননুমোদিত ইমারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তবেই সরকারের রাজস্ব রক্ষা পাবে এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে।

নির্বিকার নির্মাণযজ্ঞ বন্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে নরসিংদী সদর উপজেলার সচেতন মহল। উন্নয়ন হোক পরিকল্পিত, নিরাপদ ও বিধিমালানুসারী-এটাই সময়ের দাবি।


প্রিন্ট